ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুষ ছাড়া কাজ করেন ‘না’ শিক্ষা অফিসার

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১২:৪৮:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
  • / ৫৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে কারাগারে যাওয়া শিক্ষককে রক্ষা করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত না করে তাকে গোপনে রক্ষার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া শিক্ষিকাদের মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য মোটা অঙ্কের টাকা গ্রহণ করে থাকেন বলে কথিত আছে।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি এক শিক্ষক কারাগারে গেলেও তার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে স্বাস্থ্য সনদ দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা না নিয়ে বহাল তবিয়তে কর্মস্থলে যোগদান করার ব্যবস্থা করে দেন। এদিকে ক্যানসারে আক্রান্ত এক শিক্ষক ভারতে চিকিৎসা করতে যাওয়ার জন্য ছুটির আবেদন করলে শিক্ষা অফিসারের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষিকা বলেন, ‘আমি ৫ মাসের গর্ভাবস্থায় ছুটির জন্য আবেদন করতে যায়। তখন স্যার আমার কাছে ৩৫ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে সাথে সাথে আমাকে শোকজ করেন। সেই সাথে হুমকি দেন আমার বিরুদ্ধে আরও বড় ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি ভয়ে এনজিও থেকে লোন তুলে ওই টাকা পরিশোধ করি।’ অপর দিকে পলিয়ানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধের জেরে একটি মিথ্যা মামলায় আমি কয়েকদিন কারাবাসে ছিলাম। জেল থেকে বের হওয়ার পর রফিকুল স্যার আমাকে ডেকে ৭ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে চাকরি চলে যাবে বলে ভয় দেখান। সে কারণে আমি আমার জমি বন্ধক রেখে দাবিকৃত ৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এমনকি সরেজমিন তার কার্যালয়ে গিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা বলেন, ‘তার বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঘুষ ছাড়া কাজ করেন ‘না’ শিক্ষা অফিসার

আপলোড টাইম : ১২:৪৮:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে কারাগারে যাওয়া শিক্ষককে রক্ষা করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত না করে তাকে গোপনে রক্ষার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া শিক্ষিকাদের মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য মোটা অঙ্কের টাকা গ্রহণ করে থাকেন বলে কথিত আছে।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি এক শিক্ষক কারাগারে গেলেও তার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে স্বাস্থ্য সনদ দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা না নিয়ে বহাল তবিয়তে কর্মস্থলে যোগদান করার ব্যবস্থা করে দেন। এদিকে ক্যানসারে আক্রান্ত এক শিক্ষক ভারতে চিকিৎসা করতে যাওয়ার জন্য ছুটির আবেদন করলে শিক্ষা অফিসারের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষিকা বলেন, ‘আমি ৫ মাসের গর্ভাবস্থায় ছুটির জন্য আবেদন করতে যায়। তখন স্যার আমার কাছে ৩৫ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে সাথে সাথে আমাকে শোকজ করেন। সেই সাথে হুমকি দেন আমার বিরুদ্ধে আরও বড় ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি ভয়ে এনজিও থেকে লোন তুলে ওই টাকা পরিশোধ করি।’ অপর দিকে পলিয়ানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধের জেরে একটি মিথ্যা মামলায় আমি কয়েকদিন কারাবাসে ছিলাম। জেল থেকে বের হওয়ার পর রফিকুল স্যার আমাকে ডেকে ৭ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে চাকরি চলে যাবে বলে ভয় দেখান। সে কারণে আমি আমার জমি বন্ধক রেখে দাবিকৃত ৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এমনকি সরেজমিন তার কার্যালয়ে গিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা বলেন, ‘তার বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’