ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শৈলকুপায় দোকানের ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের মিনগ্রামে রিপন হত্যার পর থেকে বন্ধ থাকা একটি দোকানে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৫ মাস দোকান বন্ধ থাকার পর পুলিশের সহযোগিতায় গতকাল সোমবার সকালে দোকানটি খোলা হয়েছে। তবে দোকান মালিক নজরুল ইসলামের পরিবারের দাবি, দোকান বন্ধ থাকাকালীন সময়ে দোকান থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে প্রতিপক্ষরা।
দোকান মালিক নজরুল ইসলামের ভাই রবিউল ইসলাম জানান, মিনগ্রামে তাদের বেশকয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা মামামারি-হানাহানির মধ্যে থাকেন না। রিপন হত্যাকাণ্ডের আগে তার ভাই দোকান বন্ধ করে তালা লাগিয়ে চলে যায়। পরে কে বা কারা আবাইপুর ওয়াপদা এলাকায় রিপনকে হত্যা করে। সে হত্যাকাণ্ডে প্রতিপক্ষরা তাদের ফাঁসাতে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে বিগত ৪ মাস তারা বাড়ি ছাড়া ছিলেন। জামিন পেয়ে বাড়িতে এসে দেখেন তার ভাইয়ের দোকানে অন্য তালা লাগানো রয়েছে। পরে গতকাল সকালে পুলিশের সহযোগিতায় তালা ভেঙ্গে দেখতে পান দোকানে থাকা গ্যাসের চুলা, গ্যাস সিলিন্ডার, বৈদ্যুতিক তার, রাইস কুকার, টেলিভিশন, মনিটর, সাউন্ড বক্সসহ দোকানে থাকা হার্ডওয়্যার ও ইলেকট্র্রনিক্স এর দামিদামি সকল মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
নজরুল ইসলামের স্ত্রী জানান, তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য। তার পেনশনের সমস্ত টাকা দিয়ে তিনি এই দোকানে ব্যবসা শুরু করেন। রিপন হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে দোকান বন্ধ ছিল। আজ (সোমবার) দোকান খুলে দেখেন মালামাল লুট হয়েছে। তাতে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট হয়েছে। তিনি এর বিচার চান। স্থানীয়রা জানান, মিনগ্রাম বাজারে মোল্লা হার্ডওয়্যার অ্যান্ড ট্রেডার্সে সকল প্রকার মালামাল পাওয়া যেত। কিন্তু আজ দেখছেন দোকানের মধ্যে কোন মালামাল নেই।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রায় ৫মাস মোল্লা হার্ডওয়্যার অ্যান্ড ট্রেডাসে তালা লাগানো ছিল। পুলিশের সহযোগিতায় তালা খোলা হয়েছে। দোকান মালিকরা দাবি করছেন তাদের দোকান থেকে অনেক মালামাল চুরি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ৪ মাস আগে আওয়ামী লীগ নেতা রিপনকে হত্যা করে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা। এই ঘটনায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো একাধিক জনের নামে শৈলকুপা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর থেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রামছাড়া হয় প্রায় শতাধিক পুরুষ। বর্তমানে মোল্লা হার্ডওয়্যার অ্যান্ড ট্রেডার্সের মালিক নজরুল ইসলামসহ ২১ জন হত্যা মামলায় জেল হাজতে রয়েছে। বাকিরা জামিন ও পলাতক রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

শৈলকুপায় দোকানের ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৪:০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের মিনগ্রামে রিপন হত্যার পর থেকে বন্ধ থাকা একটি দোকানে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৫ মাস দোকান বন্ধ থাকার পর পুলিশের সহযোগিতায় গতকাল সোমবার সকালে দোকানটি খোলা হয়েছে। তবে দোকান মালিক নজরুল ইসলামের পরিবারের দাবি, দোকান বন্ধ থাকাকালীন সময়ে দোকান থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে প্রতিপক্ষরা।
দোকান মালিক নজরুল ইসলামের ভাই রবিউল ইসলাম জানান, মিনগ্রামে তাদের বেশকয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা মামামারি-হানাহানির মধ্যে থাকেন না। রিপন হত্যাকাণ্ডের আগে তার ভাই দোকান বন্ধ করে তালা লাগিয়ে চলে যায়। পরে কে বা কারা আবাইপুর ওয়াপদা এলাকায় রিপনকে হত্যা করে। সে হত্যাকাণ্ডে প্রতিপক্ষরা তাদের ফাঁসাতে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে বিগত ৪ মাস তারা বাড়ি ছাড়া ছিলেন। জামিন পেয়ে বাড়িতে এসে দেখেন তার ভাইয়ের দোকানে অন্য তালা লাগানো রয়েছে। পরে গতকাল সকালে পুলিশের সহযোগিতায় তালা ভেঙ্গে দেখতে পান দোকানে থাকা গ্যাসের চুলা, গ্যাস সিলিন্ডার, বৈদ্যুতিক তার, রাইস কুকার, টেলিভিশন, মনিটর, সাউন্ড বক্সসহ দোকানে থাকা হার্ডওয়্যার ও ইলেকট্র্রনিক্স এর দামিদামি সকল মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
নজরুল ইসলামের স্ত্রী জানান, তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য। তার পেনশনের সমস্ত টাকা দিয়ে তিনি এই দোকানে ব্যবসা শুরু করেন। রিপন হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে দোকান বন্ধ ছিল। আজ (সোমবার) দোকান খুলে দেখেন মালামাল লুট হয়েছে। তাতে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট হয়েছে। তিনি এর বিচার চান। স্থানীয়রা জানান, মিনগ্রাম বাজারে মোল্লা হার্ডওয়্যার অ্যান্ড ট্রেডার্সে সকল প্রকার মালামাল পাওয়া যেত। কিন্তু আজ দেখছেন দোকানের মধ্যে কোন মালামাল নেই।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রায় ৫মাস মোল্লা হার্ডওয়্যার অ্যান্ড ট্রেডাসে তালা লাগানো ছিল। পুলিশের সহযোগিতায় তালা খোলা হয়েছে। দোকান মালিকরা দাবি করছেন তাদের দোকান থেকে অনেক মালামাল চুরি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ৪ মাস আগে আওয়ামী লীগ নেতা রিপনকে হত্যা করে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা। এই ঘটনায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো একাধিক জনের নামে শৈলকুপা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর থেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রামছাড়া হয় প্রায় শতাধিক পুরুষ। বর্তমানে মোল্লা হার্ডওয়্যার অ্যান্ড ট্রেডার্সের মালিক নজরুল ইসলামসহ ২১ জন হত্যা মামলায় জেল হাজতে রয়েছে। বাকিরা জামিন ও পলাতক রয়েছে।