ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য

পিবিজিএসআই প্রকল্পের ৫ লাখ টাকা কার পকেটে?

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৪:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর সোনাতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সরকারি অনুদানের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিয়ে স্কুলটির সভাপতি প্রধান শিক্ষক পরস্পরকে দুষছেন। সম্প্রতি ওই স্কুলে পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (পিবিজিএসআই) প্রকল্প থেকে লাখ টাকার অনুদান প্রদান করা হয়। বরাদ্দকৃত টাকায় ছাত্রছাত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এদিকে পিবিজিএসআই প্রকল্পের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রধান শিক্ষকের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়েছে। সভাপতি   দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিনি প্রথমে লাখ টাকার চেকে স্বাক্ষর করে দেন। প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিন সেই টাকা খরচের কোনো হিসাব দেননি। তাকে বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও তিনি কোনো ভাউচার সমপরিমাণ কাজ স্কুলে দেখাতে পারেননি। সভাপতির দাবি, পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে স্কুলের অ্যাকাউন্ট থেকে দুই লাখ টাকা তুলে গায়েব করে দেন। এই টাকা প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিনকে ফেরত প্রদানের জন্য বারবার তাগিদা দেওয়ার পরও তিনি কোনো হিসাব দিচ্ছেন না। অন্যদিকে সনাতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্কুলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বিদ্যালয়ের পিবিজিএসআইয়ের অনুদানের লাখ টাকার মধ্যে এক লাখ টাকা প্রদান করেন। এর বাইরে তিনি কোনো টাকা দেননি। টাকা প্রদানের সময় হরিণাকুণ্ডুর দৌলতপুর পিবি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামাল উপস্থিত ছিলেন বলেও প্রধান শিক্ষক জানান। এদিকে অনুদানের এই টাকা কার পকেটে উঠেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সভাপতি প্রধান শিক্ষক একঅপরকে দোষারোপ করলেও বিদ্যালয়ের অভিভাবক এলাকার শিক্ষানুরাগীরা সুষ্ঠু তদন্ত করে টাকা উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী জানান, টাকা নয় ছয় করার বিষয়টি আমি জেনেছি। দোষী যেই হোক তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য

পিবিজিএসআই প্রকল্পের ৫ লাখ টাকা কার পকেটে?

আপলোড টাইম : ০৯:৩৪:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ঝিনাইদহ অফিস:ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর সোনাতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সরকারি অনুদানের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিয়ে স্কুলটির সভাপতি প্রধান শিক্ষক পরস্পরকে দুষছেন। সম্প্রতি ওই স্কুলে পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (পিবিজিএসআই) প্রকল্প থেকে লাখ টাকার অনুদান প্রদান করা হয়। বরাদ্দকৃত টাকায় ছাত্রছাত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এদিকে পিবিজিএসআই প্রকল্পের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রধান শিক্ষকের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়েছে। সভাপতি   দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিনি প্রথমে লাখ টাকার চেকে স্বাক্ষর করে দেন। প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিন সেই টাকা খরচের কোনো হিসাব দেননি। তাকে বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও তিনি কোনো ভাউচার সমপরিমাণ কাজ স্কুলে দেখাতে পারেননি। সভাপতির দাবি, পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে স্কুলের অ্যাকাউন্ট থেকে দুই লাখ টাকা তুলে গায়েব করে দেন। এই টাকা প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিনকে ফেরত প্রদানের জন্য বারবার তাগিদা দেওয়ার পরও তিনি কোনো হিসাব দিচ্ছেন না। অন্যদিকে সনাতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্কুলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বিদ্যালয়ের পিবিজিএসআইয়ের অনুদানের লাখ টাকার মধ্যে এক লাখ টাকা প্রদান করেন। এর বাইরে তিনি কোনো টাকা দেননি। টাকা প্রদানের সময় হরিণাকুণ্ডুর দৌলতপুর পিবি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামাল উপস্থিত ছিলেন বলেও প্রধান শিক্ষক জানান। এদিকে অনুদানের এই টাকা কার পকেটে উঠেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সভাপতি প্রধান শিক্ষক একঅপরকে দোষারোপ করলেও বিদ্যালয়ের অভিভাবক এলাকার শিক্ষানুরাগীরা সুষ্ঠু তদন্ত করে টাকা উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী জানান, টাকা নয় ছয় করার বিষয়টি আমি জেনেছি। দোষী যেই হোক তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।