ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হেড অফিসের দুই সদস্যের তদন্ত দল ঝিনাইদহে, ব্যাংক এশিয়ার টাকা লুট প্রমাণিত

ফেঁসে যাচ্ছেন জেলা পরিষদের সদস্য রাজিব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৫:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

জেলা পরিষদের সদস্য রাজিব

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে প্রবাসীর অর্ধকোটিরও বেশি টাকা গায়েব হওয়ার ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিনব্যাপী ঢাকা থেকে আসা তদন্ত দলের দুই সদস্য ব্যাংকটির ঝিনাইদহ শাখায় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেন। ব্যাংক এশিয়ার ঝিনাইদহ শাখার ম্যানেজার সাইফুর রহমান খবর নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকার তদন্ত দল নিবিড়ভাবে বিষয়টি তদন্ত করছেন। আশা করা যায় আজকের মধ্যেই রিপোর্ট চূড়ান্ত হবে। তদন্ত দল ভুক্তভোগী কোটচাঁদপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রোকনুজ্জামান রোকন, এজেন্ট ব্যাংকের দায়িত্বে থাকা দুই ভাই মনিরুল ইসলাম ও রাজিবুল কবির রাজিবের সঙ্গে কথা বলেছেন।

এদিকে ব্যাংক এশিয়ার একটি সূত্র জানায়, তদন্ত দলের কাছে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সদস্য ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের দায়িত্বে থাকা রাজিবুল কবির রাজিব আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গ্রাহকের টাকা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তুলে নিয়েছেন। জানা গেছে, ২০২১ সালে ব্যাংক এশিয়ার আউটলেটের দায়িত্বে থাকা মনিরুল ইসলাম ব্যাংকের দায়িত্বভার তার ভাই ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ সদস্য রাজিবুল কবির রাজিবের কাছে দেন। দায়িত্ব পেয়ে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে রাজিব প্রবাসে থাকা রোকনুজ্জামান রোকনের মাসিক মুনাফা সঞ্চয়ী হিসাব দুটি ভেঙে ফেলে সব টাকা ১০৮৩৪৪৪০০৬১০৬ নম্বর হিসেবে নিয়ে আসেন। এখান থেকে রাজিব নিজের দুটি হিসাব নম্বরে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ট্রান্সফার করেন। বাকি টাকা আরও ২ থেকে ৩টি গ্রাহকের হিসাব নম্বরে নিয়ে আসেন। এভাবে সব টাকা তুলে নেন রাজিব। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে ব্যাংক এশিয়ার হেড অফিস নড়েচড়ে বসে। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার থেকে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেন।

ব্যাংক এশিয়ার ঝিনাইদহ শাখার ম্যানেজার সাইফুর রহমান বলেন, ‘জালিয়াতির বিষয়টি আমাদের কাছে এখন পরিষ্কার। তদন্ত দল ঢাকা ফিরে টাকা উদ্ধারে পদক্ষেপ নিবেন।’ বিষয়টি নিয়ে রাজিবুল কবির রাজিব বলেন, আমি আগেই বলেছি টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সময়ের প্রয়োজন। সময় হলে তিনি টাকা গ্রাহককে বুঝিয়ে দিবেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হেড অফিসের দুই সদস্যের তদন্ত দল ঝিনাইদহে, ব্যাংক এশিয়ার টাকা লুট প্রমাণিত

ফেঁসে যাচ্ছেন জেলা পরিষদের সদস্য রাজিব

আপলোড টাইম : ১০:১৫:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে প্রবাসীর অর্ধকোটিরও বেশি টাকা গায়েব হওয়ার ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিনব্যাপী ঢাকা থেকে আসা তদন্ত দলের দুই সদস্য ব্যাংকটির ঝিনাইদহ শাখায় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেন। ব্যাংক এশিয়ার ঝিনাইদহ শাখার ম্যানেজার সাইফুর রহমান খবর নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকার তদন্ত দল নিবিড়ভাবে বিষয়টি তদন্ত করছেন। আশা করা যায় আজকের মধ্যেই রিপোর্ট চূড়ান্ত হবে। তদন্ত দল ভুক্তভোগী কোটচাঁদপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রোকনুজ্জামান রোকন, এজেন্ট ব্যাংকের দায়িত্বে থাকা দুই ভাই মনিরুল ইসলাম ও রাজিবুল কবির রাজিবের সঙ্গে কথা বলেছেন।

এদিকে ব্যাংক এশিয়ার একটি সূত্র জানায়, তদন্ত দলের কাছে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সদস্য ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের দায়িত্বে থাকা রাজিবুল কবির রাজিব আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গ্রাহকের টাকা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তুলে নিয়েছেন। জানা গেছে, ২০২১ সালে ব্যাংক এশিয়ার আউটলেটের দায়িত্বে থাকা মনিরুল ইসলাম ব্যাংকের দায়িত্বভার তার ভাই ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ সদস্য রাজিবুল কবির রাজিবের কাছে দেন। দায়িত্ব পেয়ে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে রাজিব প্রবাসে থাকা রোকনুজ্জামান রোকনের মাসিক মুনাফা সঞ্চয়ী হিসাব দুটি ভেঙে ফেলে সব টাকা ১০৮৩৪৪৪০০৬১০৬ নম্বর হিসেবে নিয়ে আসেন। এখান থেকে রাজিব নিজের দুটি হিসাব নম্বরে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ট্রান্সফার করেন। বাকি টাকা আরও ২ থেকে ৩টি গ্রাহকের হিসাব নম্বরে নিয়ে আসেন। এভাবে সব টাকা তুলে নেন রাজিব। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে ব্যাংক এশিয়ার হেড অফিস নড়েচড়ে বসে। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার থেকে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেন।

ব্যাংক এশিয়ার ঝিনাইদহ শাখার ম্যানেজার সাইফুর রহমান বলেন, ‘জালিয়াতির বিষয়টি আমাদের কাছে এখন পরিষ্কার। তদন্ত দল ঢাকা ফিরে টাকা উদ্ধারে পদক্ষেপ নিবেন।’ বিষয়টি নিয়ে রাজিবুল কবির রাজিব বলেন, আমি আগেই বলেছি টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সময়ের প্রয়োজন। সময় হলে তিনি টাকা গ্রাহককে বুঝিয়ে দিবেন।