ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে ১৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র উত্তোলন

আওয়ামী লীগের ৮ নেতার স্বতন্ত্র মনোনয়ন সংগ্রহ, ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী থাকার গুঞ্জন আছে। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না কেউই। ঢাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধানের সাথে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মতবিনিময় সভার পরই চুয়াডাঙ্গায় এমন গুঞ্জন শোনা গেছে। ইতোমধ্যে গতকাল সোমবার পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে ১৫ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে দুটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত দুই প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের এমন স্বতন্ত্র আরও ৮ জন প্রার্থী আছেন। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এনপিপি, জাতীয় পার্টি ও একজন সাবেক নৌ কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের আরও চারজন মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন। তারা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আবেদিন খোকন, জেলা মহিলা যুবলীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ উপ-কমিটির সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার।

এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এনপিপির মনোনীত প্রার্থী ইদ্রিস চৌধুরী, জাতীয় পার্টির জেলা শাখার সভাপতি অ্যাড. সোহরাব হোসেন ও আলমডাঙ্গার আনন্দধামের বাসিন্দা নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডার শহিদ-উর-রহমান মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগরের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নজরুল মল্লিক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হাসেম রেজা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সাদিকুর রহমান বকুল, সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা, দামুড়হুদা উপজেলার দুধপাতিলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ও জাতীয় পার্টির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জীবননগরের অ্যাড. রবিউল ইসলাম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

এছাড়াও, চুয়াডাঙ্গায় কারো কারো মুখে গুঞ্জনে শোনা যাচ্ছে আরও কয়েকজন সম্ভাব্য বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর নাম। তবে ঠিক করে এখনি বলা মুশকিল, কতজন নির্বাচনের মাঠে থাকবেন। চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন ১৬ জন। বাকি ১৫ জনের মধ্যে থেকে আরও দু-একজন প্রার্থী থাকতে পারে বলেও গুঞ্জন উঠেছে। বিশেষ করে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপুর নামও শোনা যাচ্ছে। গুঞ্জনে রয়েছে তিনি হয়ত হতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। অপর দিকে, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদের নাম শোনা যাচ্ছে। গুঞ্জনে রয়েছে তার বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার খবর। তবে তিনি কখনোই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হতে পারেন, সেটাও মানতে নারাজ অনেক দলীয় নেতা-কর্মী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী জানান, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ যদি কোনো আসনে জয়ী হয়, তাহলে বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দলীয় প্রধান জানিয়েছেন। দলীয় প্রতীকের প্রার্থীর পাশাপাশি দলের যে কোনো নেতা বা যে কোনো ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন বলেও নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারী কোনো প্রার্থীই এ বিষয়ে আপাতত কথা বলতে রাজি হননি।

এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইলেকটোরাল ইনকোয়ারী কমিটির দুই কর্মকর্তাকে নিয়োগ প্রদান করেছে নির্বাচন কমিশনের মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান। তারা হলেন- চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জন্য চুয়াডাঙ্গার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. সাজ্জাদুর রহমান ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জন্য চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র সহকারী জজ দেলোয়ার হোসেন। নির্বাচনী এলাকার শান্তি বজায় রাখার জন্য দায়িত্ব পালন করবেন তাঁরা।

জাতীয় সংসদের ৭৯, চুয়াডাঙ্গা-১ ও ৮০, চুয়াডাঙ্গা-২ সংসদীয় আসনে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, সহকারী রিটার্নিং অফিসার পদে চার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এক নির্বাচন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। তারা হলেন- ৭৯, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আলমডাঙ্গা উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার শামীম ভূঁইয়া। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা ও জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ, বেগমপুর, নেহালপুর ও গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার রাহুল রায় দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৯, চুয়াডাঙ্গা-১ সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৩৮৭ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ৫৮৯ জন। মোট ভোট কেন্দ্রে সংখ্যা ১৮১টি। ৮০, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪২ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৩১ হাজার ৬৯২ জন। মোট ভোটকেন্দ্রে সংখ্যা ১৭৩টি।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। সেই হিসেবে আগামী ৩০ নভেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন, ১-৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬-১৫ নভেম্বর, ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহার এবং ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে ১৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র উত্তোলন

আওয়ামী লীগের ৮ নেতার স্বতন্ত্র মনোনয়ন সংগ্রহ, ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন!

আপলোড টাইম : ০৪:০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী থাকার গুঞ্জন আছে। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না কেউই। ঢাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধানের সাথে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মতবিনিময় সভার পরই চুয়াডাঙ্গায় এমন গুঞ্জন শোনা গেছে। ইতোমধ্যে গতকাল সোমবার পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে ১৫ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে দুটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত দুই প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের এমন স্বতন্ত্র আরও ৮ জন প্রার্থী আছেন। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এনপিপি, জাতীয় পার্টি ও একজন সাবেক নৌ কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের আরও চারজন মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন। তারা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আবেদিন খোকন, জেলা মহিলা যুবলীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ উপ-কমিটির সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার।

এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এনপিপির মনোনীত প্রার্থী ইদ্রিস চৌধুরী, জাতীয় পার্টির জেলা শাখার সভাপতি অ্যাড. সোহরাব হোসেন ও আলমডাঙ্গার আনন্দধামের বাসিন্দা নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডার শহিদ-উর-রহমান মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগরের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নজরুল মল্লিক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হাসেম রেজা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সাদিকুর রহমান বকুল, সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা, দামুড়হুদা উপজেলার দুধপাতিলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ও জাতীয় পার্টির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জীবননগরের অ্যাড. রবিউল ইসলাম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

এছাড়াও, চুয়াডাঙ্গায় কারো কারো মুখে গুঞ্জনে শোনা যাচ্ছে আরও কয়েকজন সম্ভাব্য বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর নাম। তবে ঠিক করে এখনি বলা মুশকিল, কতজন নির্বাচনের মাঠে থাকবেন। চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন ১৬ জন। বাকি ১৫ জনের মধ্যে থেকে আরও দু-একজন প্রার্থী থাকতে পারে বলেও গুঞ্জন উঠেছে। বিশেষ করে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপুর নামও শোনা যাচ্ছে। গুঞ্জনে রয়েছে তিনি হয়ত হতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। অপর দিকে, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদের নাম শোনা যাচ্ছে। গুঞ্জনে রয়েছে তার বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার খবর। তবে তিনি কখনোই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হতে পারেন, সেটাও মানতে নারাজ অনেক দলীয় নেতা-কর্মী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী জানান, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ যদি কোনো আসনে জয়ী হয়, তাহলে বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দলীয় প্রধান জানিয়েছেন। দলীয় প্রতীকের প্রার্থীর পাশাপাশি দলের যে কোনো নেতা বা যে কোনো ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন বলেও নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারী কোনো প্রার্থীই এ বিষয়ে আপাতত কথা বলতে রাজি হননি।

এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইলেকটোরাল ইনকোয়ারী কমিটির দুই কর্মকর্তাকে নিয়োগ প্রদান করেছে নির্বাচন কমিশনের মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান। তারা হলেন- চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জন্য চুয়াডাঙ্গার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. সাজ্জাদুর রহমান ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জন্য চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র সহকারী জজ দেলোয়ার হোসেন। নির্বাচনী এলাকার শান্তি বজায় রাখার জন্য দায়িত্ব পালন করবেন তাঁরা।

জাতীয় সংসদের ৭৯, চুয়াডাঙ্গা-১ ও ৮০, চুয়াডাঙ্গা-২ সংসদীয় আসনে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, সহকারী রিটার্নিং অফিসার পদে চার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এক নির্বাচন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। তারা হলেন- ৭৯, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আলমডাঙ্গা উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার শামীম ভূঁইয়া। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা ও জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ, বেগমপুর, নেহালপুর ও গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার রাহুল রায় দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৯, চুয়াডাঙ্গা-১ সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৩৮৭ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ৫৮৯ জন। মোট ভোট কেন্দ্রে সংখ্যা ১৮১টি। ৮০, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪২ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৩১ হাজার ৬৯২ জন। মোট ভোটকেন্দ্রে সংখ্যা ১৭৩টি।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। সেই হিসেবে আগামী ৩০ নভেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন, ১-৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬-১৫ নভেম্বর, ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহার এবং ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।