ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭ লক্ষাধিক নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট, হতভম্ব ব্যবসায়ীরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় দিনের বেলায় অন্তত ৮টি দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে পৌনে ৯টা পর্যন্ত একই সময়ে শহরের প্রাণকেন্দ্রে সদর থানার গেটের সামনেসহ তিন দিকের তিনটি মার্কেটে এ অপরাধ কর্মকাণ্ড চালায় চোর চক্র। এতে প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষাধিক নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি গেছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। মার্কেটের সিসিটিভি ক্যামেরায় চুরির দৃশ্য ধরা পড়েছে।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দিনের বেলায় শহরের প্রাণকেন্দ্রে সদর থানার একেবারেই সামনেসহ আসেপাশের এলাকায় একসাথে একযোগে কয়েকটি মার্কেট টার্গেট করে চুরির ঘটনা ভাবিয়ে তুলছে তাদের। পুলিশের নাকের ডগায় এমন দুঃসাহসিক কাজে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তাঁরা। বিশেষ করে শহরের প্রাণকেন্দ্রের মতো জায়গায়, আবার সদর থানার সামনে এই চুরি স্বাভাবিক ঘটনা নয়।

এদিকে, শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় হতভম্ব ব্যবসায়ীসহ শহরবাসী। কেউ কেউ বলছেন, সদর থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরুত্বে এতোগুলি চুরি এক প্রকার নতুন উদাহরণ চুয়াডাঙ্গার জন্য। এর আগে কখনো একসাথে এতোগুলি চুরির ঘটনা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এতো নিকটে ঘটেনি।

পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা জানান, শহরের ফাতেমা প্লাজার আরিফ কম্পিউটারে ২ লাখ টাকা, কম্পিউটার ক্লিনিকে এক লাখ ৮ হাজার, সদর থানার সামনে অঙ্কুশ জুয়েলার্সে এক ভরি ১২ আনা স্বর্ণ এবং নগদ ২৭ হাজার টাকা, মুন্সি সুপার মার্কেটের মিম-বনি শাড়ি কালেকশনে ১ লাখ ৯ হাজার ৫ শ টাকা, ইরানি টেইলার্সে ১২ হাজার ৫ শ টাকা ও পুরাতন গলির সুগন্ধা প্লাজার মারুফ গার্মেন্টেসে ৫০ হাজার টাকা, নন্দলাল গার্মেন্টসে ৪ হাজার টাকা, হবি বোরকা হাউজে ৫ হাজার টাকার এ চুরির ঘটনা ঘটে। এসব দোকান থেকে নগদ সাড়ে ৫ লাখ ও ২ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে। একই সময়ে শহরের আলী হোসেন মার্কেটসহ ওই মার্কেটগুলির আরও বেশ কিছু দোকানে চুরির চেষ্টা চালায় চক্রের সদস্যরা।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে মার্কেটগুলো পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান বলেন, কয়েকটি মার্কেটে চুরির ঘটনায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে পুলিশের একাধিক ইউনিট কাজ শুরু করেছে। দ্রুতই প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এসময় তিনি মার্কেটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। তবে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার মতো চুরি হয়েছে

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

৭ লক্ষাধিক নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট, হতভম্ব ব্যবসায়ীরা

আপলোড টাইম : ১০:১৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় দিনের বেলায় অন্তত ৮টি দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে পৌনে ৯টা পর্যন্ত একই সময়ে শহরের প্রাণকেন্দ্রে সদর থানার গেটের সামনেসহ তিন দিকের তিনটি মার্কেটে এ অপরাধ কর্মকাণ্ড চালায় চোর চক্র। এতে প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষাধিক নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি গেছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। মার্কেটের সিসিটিভি ক্যামেরায় চুরির দৃশ্য ধরা পড়েছে।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দিনের বেলায় শহরের প্রাণকেন্দ্রে সদর থানার একেবারেই সামনেসহ আসেপাশের এলাকায় একসাথে একযোগে কয়েকটি মার্কেট টার্গেট করে চুরির ঘটনা ভাবিয়ে তুলছে তাদের। পুলিশের নাকের ডগায় এমন দুঃসাহসিক কাজে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তাঁরা। বিশেষ করে শহরের প্রাণকেন্দ্রের মতো জায়গায়, আবার সদর থানার সামনে এই চুরি স্বাভাবিক ঘটনা নয়।

এদিকে, শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় হতভম্ব ব্যবসায়ীসহ শহরবাসী। কেউ কেউ বলছেন, সদর থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরুত্বে এতোগুলি চুরি এক প্রকার নতুন উদাহরণ চুয়াডাঙ্গার জন্য। এর আগে কখনো একসাথে এতোগুলি চুরির ঘটনা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এতো নিকটে ঘটেনি।

পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা জানান, শহরের ফাতেমা প্লাজার আরিফ কম্পিউটারে ২ লাখ টাকা, কম্পিউটার ক্লিনিকে এক লাখ ৮ হাজার, সদর থানার সামনে অঙ্কুশ জুয়েলার্সে এক ভরি ১২ আনা স্বর্ণ এবং নগদ ২৭ হাজার টাকা, মুন্সি সুপার মার্কেটের মিম-বনি শাড়ি কালেকশনে ১ লাখ ৯ হাজার ৫ শ টাকা, ইরানি টেইলার্সে ১২ হাজার ৫ শ টাকা ও পুরাতন গলির সুগন্ধা প্লাজার মারুফ গার্মেন্টেসে ৫০ হাজার টাকা, নন্দলাল গার্মেন্টসে ৪ হাজার টাকা, হবি বোরকা হাউজে ৫ হাজার টাকার এ চুরির ঘটনা ঘটে। এসব দোকান থেকে নগদ সাড়ে ৫ লাখ ও ২ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে। একই সময়ে শহরের আলী হোসেন মার্কেটসহ ওই মার্কেটগুলির আরও বেশ কিছু দোকানে চুরির চেষ্টা চালায় চক্রের সদস্যরা।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে মার্কেটগুলো পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান বলেন, কয়েকটি মার্কেটে চুরির ঘটনায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে পুলিশের একাধিক ইউনিট কাজ শুরু করেছে। দ্রুতই প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এসময় তিনি মার্কেটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। তবে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার মতো চুরি হয়েছে