ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তালসারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারটি পদে নিয়োগে নানা অভিযোগ; প্রার্থীর পরীক্ষা বয়কট

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের তালসারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারটি পদে নিয়োগে ‘নিয়োগ বাণিজ্যের’ অভিযোগ উঠেছে। যোগ্য ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, নৈশপ্রহরী, নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে চারজনেক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক প্রার্থী। সবাই যখন কোরবানির ঈদের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত ঠিক ঈদের আগের দিন নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ ও পরীক্ষার আগের দিন সন্ধ্যার পর পরীক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহনের প্রবেশপত্র প্রদান করা হয়েছে। যা নিয়ে পরিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মনে নানাবিধ প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বিধি মোতাবেক দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের তালসারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সৃষ্ট কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, নৈশপ্রহরী, নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ চারটি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগে বাণিজ্যের কারণে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেও কারচুপি করা হয়েছে। সৃষ্ট চারটি পদের জন্য একটি পত্রিকায় কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও নৈশপ্রহরী এবং অপর এমন একটি পত্রিকায় নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কমী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে যে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয় না।

তালসারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরীপদে আবেদনকারী মুজাহিদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি নৈশ প্রহরী পদে আবেদন করেছিলাম। আবেদনের পর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি এই নিয়োগে আমাদের কোনো ভেল নেয়। নিয়োগের জন্য কয়েকজন টাকাও দিয়েছে। যারা টাকা দিয়েছে তাদেরই নিয়োগ করা হবে। যে কারণে এই নিয়োগ নিয়ে আমি আর বেশি চিন্তা করিনি। তবে আজ (গতকাল মঙ্গলবার) সন্ধ্যার পর একজন আমার বাড়িতে এসে নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র দিয়ে গেছে। প্রবেশপত্র দেখে জানতে পারি পরদিন সকালেই (আজ বুধবার) নিয়োগ পরীক্ষা। আমাকে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ সম্পর্কে আগে কিছুই জানানো হয়নি। কোনো প্রস্তুতিও নেওয়া হয়নি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই নিয়োগ পরীক্ষায় আমি অংশগ্রহন করবো না। আমি পরীক্ষা বয়কট করছি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও এক প্রার্থী একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যার পর নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া, ঈদের আগের দিন পরীক্ষা নেওয়া সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে চুরি পরে পরীক্ষা দিতে হবে আমাদেরকে। নিয়োগে টাকা-পয়সা লেনদেন হয়েছে তা আগেই শুনেছিলাম, নিয়োগ কর্তৃপক্ষের এমন কার্যকলাপে সন্দেহ আরও বাড়ছে। এই পরীক্ষা না দেওয়াই ভালো।’

এ বিষয়ে জানতে তালসারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানারা খাতুনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি রিসিভ করে একটি পুরুষ কণ্ঠ নিজের পরিচয় দেন তিনি প্রধান শিক্ষিকা শাহানারা খাতুনের স্বামী ও একই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। এসময় তাঁর কাছে নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে একজন ও নৈশ প্রহরী পদে একজনসহ দুটি পদের জন্য বুধবার (আজ) নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে। ঈদের আগের দিন বিদ্যালয়টির নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত? ও নিয়োগ পরীক্ষায় অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করেন ডিজির প্রতিনিধি। সে অনুযায়ী ডিজির প্রতিনিধি কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে। নিয়োগে অর্থ বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি অথবা তাঁর স্ত্রী প্রধান শিক্ষিকা শাহানারা খাতুন কিছুই জানেন না। এসময় প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি অন্য একটি নাম্বার দেন। ওই নাম্বারটিতে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে, এ বিষয়ে আরও জানতে চেয়ে মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তালসারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি হাসানুজ্জামান পিন্টুর ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ডিজির প্রতিনিধি বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি রিসিভ করেন তার ছেলে। একাধিকবার তার নাম জানতে চাওয়া হলেও তিনি নিজের নাম বলেন নি। তিনি বলেন, ‘ফোনটি আমার বাবার, বাবা ঘুমিয়ে পড়েছেন।’ এসময় সংবাদটির প্রতিবেদক তালসারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে কথা বলা প্রয়োজন বলে জানালে ফোন রিসিভকারী বলেন, ‘ঠিক আছে বাবাকে ডেকে দিচ্ছি।’ পরক্ষণেই তিনি বলেন, ‘বাবা কাল সকালে কথা বলবেন।’ এই বলে তিনি ফোনটি কেটে দেন।

অপ্রকাশিত পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ, ঈদের আগের দিন নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ, পরীক্ষা শুরুর মাত্র ১৬ ঘণ্টারও কম সময় পূর্বে ও সন্ধ্যার পর প্রবেশপত্র প্রদানসহ নিয়োগ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কার্যক্রম বিদ্যালয়টির নিয়োগ পরীক্ষাটিতে বাণিজ্যের বিষয়ে শক্ত ভিত দাঁড় করিয়েছে। এমতাবস্থায় অন্যান্য প্রার্থীরা স্বচ্ছ নিয়োগের প্রত্যাশায় এই নিয়োগ পরীক্ষাটি স্থগিতসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেত কামণা করেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

তালসারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারটি পদে নিয়োগে নানা অভিযোগ; প্রার্থীর পরীক্ষা বয়কট

আপলোড টাইম : ০৪:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের তালসারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারটি পদে নিয়োগে ‘নিয়োগ বাণিজ্যের’ অভিযোগ উঠেছে। যোগ্য ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, নৈশপ্রহরী, নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে চারজনেক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক প্রার্থী। সবাই যখন কোরবানির ঈদের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত ঠিক ঈদের আগের দিন নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ ও পরীক্ষার আগের দিন সন্ধ্যার পর পরীক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহনের প্রবেশপত্র প্রদান করা হয়েছে। যা নিয়ে পরিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মনে নানাবিধ প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বিধি মোতাবেক দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের তালসারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সৃষ্ট কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, নৈশপ্রহরী, নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ চারটি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগে বাণিজ্যের কারণে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেও কারচুপি করা হয়েছে। সৃষ্ট চারটি পদের জন্য একটি পত্রিকায় কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও নৈশপ্রহরী এবং অপর এমন একটি পত্রিকায় নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কমী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে যে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয় না।

তালসারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরীপদে আবেদনকারী মুজাহিদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি নৈশ প্রহরী পদে আবেদন করেছিলাম। আবেদনের পর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি এই নিয়োগে আমাদের কোনো ভেল নেয়। নিয়োগের জন্য কয়েকজন টাকাও দিয়েছে। যারা টাকা দিয়েছে তাদেরই নিয়োগ করা হবে। যে কারণে এই নিয়োগ নিয়ে আমি আর বেশি চিন্তা করিনি। তবে আজ (গতকাল মঙ্গলবার) সন্ধ্যার পর একজন আমার বাড়িতে এসে নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র দিয়ে গেছে। প্রবেশপত্র দেখে জানতে পারি পরদিন সকালেই (আজ বুধবার) নিয়োগ পরীক্ষা। আমাকে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ সম্পর্কে আগে কিছুই জানানো হয়নি। কোনো প্রস্তুতিও নেওয়া হয়নি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই নিয়োগ পরীক্ষায় আমি অংশগ্রহন করবো না। আমি পরীক্ষা বয়কট করছি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও এক প্রার্থী একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যার পর নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া, ঈদের আগের দিন পরীক্ষা নেওয়া সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে চুরি পরে পরীক্ষা দিতে হবে আমাদেরকে। নিয়োগে টাকা-পয়সা লেনদেন হয়েছে তা আগেই শুনেছিলাম, নিয়োগ কর্তৃপক্ষের এমন কার্যকলাপে সন্দেহ আরও বাড়ছে। এই পরীক্ষা না দেওয়াই ভালো।’

এ বিষয়ে জানতে তালসারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানারা খাতুনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি রিসিভ করে একটি পুরুষ কণ্ঠ নিজের পরিচয় দেন তিনি প্রধান শিক্ষিকা শাহানারা খাতুনের স্বামী ও একই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। এসময় তাঁর কাছে নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে একজন ও নৈশ প্রহরী পদে একজনসহ দুটি পদের জন্য বুধবার (আজ) নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে। ঈদের আগের দিন বিদ্যালয়টির নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত? ও নিয়োগ পরীক্ষায় অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করেন ডিজির প্রতিনিধি। সে অনুযায়ী ডিজির প্রতিনিধি কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে। নিয়োগে অর্থ বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি অথবা তাঁর স্ত্রী প্রধান শিক্ষিকা শাহানারা খাতুন কিছুই জানেন না। এসময় প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি অন্য একটি নাম্বার দেন। ওই নাম্বারটিতে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে, এ বিষয়ে আরও জানতে চেয়ে মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তালসারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি হাসানুজ্জামান পিন্টুর ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ডিজির প্রতিনিধি বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি রিসিভ করেন তার ছেলে। একাধিকবার তার নাম জানতে চাওয়া হলেও তিনি নিজের নাম বলেন নি। তিনি বলেন, ‘ফোনটি আমার বাবার, বাবা ঘুমিয়ে পড়েছেন।’ এসময় সংবাদটির প্রতিবেদক তালসারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে কথা বলা প্রয়োজন বলে জানালে ফোন রিসিভকারী বলেন, ‘ঠিক আছে বাবাকে ডেকে দিচ্ছি।’ পরক্ষণেই তিনি বলেন, ‘বাবা কাল সকালে কথা বলবেন।’ এই বলে তিনি ফোনটি কেটে দেন।

অপ্রকাশিত পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ, ঈদের আগের দিন নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ, পরীক্ষা শুরুর মাত্র ১৬ ঘণ্টারও কম সময় পূর্বে ও সন্ধ্যার পর প্রবেশপত্র প্রদানসহ নিয়োগ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কার্যক্রম বিদ্যালয়টির নিয়োগ পরীক্ষাটিতে বাণিজ্যের বিষয়ে শক্ত ভিত দাঁড় করিয়েছে। এমতাবস্থায় অন্যান্য প্রার্থীরা স্বচ্ছ নিয়োগের প্রত্যাশায় এই নিয়োগ পরীক্ষাটি স্থগিতসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেত কামণা করেছেন।