ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়ুলগাছিতে জমির খাজনা পরিশোধ করতে পদে পদে ভোগান্তি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৩৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩
  • / ৩৯ বার পড়া হয়েছে

ছবি: কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন ভূমি অফিস

দর্শনা অফিস:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জমির খাজনা দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। নানা অজুহাতে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তহশিলদার তরিকুলের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, ভূমি সেবা অধিকতর জনবান্ধব করার লক্ষ্যে সরকার পহেলা বৈশাখ থেকে ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়। ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইন হওয়ায় তহশিলদারদের অসহযোগিতায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে অশিক্ষিত/অর্ধ শিক্ষিত মানুষদের। অনেকের অভিযোগ, তহশিলদারের পোষ্য দালালরা ঠিকই তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার বলছেন, বিভিন্ন স্থান থেকে খাজনা দেওয়ার জন্য নাম রেজিস্ট্রশন করলেও টাকা ছাড়া মিলছে না খাজনা পরিশোধের অনুমোদন।

কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অধীন মদনা গ্রামের মুরশীদ আলম বলেন, ‘আমি গত মাসের ৩০ তারিখে জমির খাজনা দেওয়ার জন্য নাম রেজিস্ট্রেশন করি। তার পর থেকে অনুমোদনের জন্য ১০ দিন তহশিলদারের নিকট ধরনা দিলেও নানা অজুহাতে অনুমোদন না দিয়ে তিনি আমাকে ফেরত দেন। আমি অনুপায় হয়ে এই মাসের ১৮ তারিখে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে গেলে তিনি আমার সামনেই মোবাইল ফোনে তহশিলদার তরিকুল ইসলামকে বলেন, হোল্ডিং ঠিক থাকলে অনুমোদন দিয়ে দেন। আমাকে বলেন, লাঞ্চের পর অফিসে যেতে বললেন। লাঞ্চের পর আমি তহশিল অফিসে গেলে তরিকুল ইসলাম বলেন, বণ্টননামা ও নাম খারিজ বাদে মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া জমির খাজনা নেওয়া যাবে না। আমি তহশিলদারকে বলি তাহলে আমাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র দেন। কিন্তু তিনি তাতে কোনো কর্ণপাত করেনি। আমি দিশেহারা হয়ে অন্য একজন তহশিলদারকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন কেন খাজনা নেওয়া যাবে না? আমরাতো মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশগণের কাছ থেকে খাজনা নিচ্ছি। তবে তিনি কেন খাজনা নেবেন না। সেটা তার ব্যাপার। তিনি আরও বলেন ভূমি মন্ত্রণালয় এ বিষয় কোনো পরিপত্র প্রকাশ করেনি। অথচ কুড়ুলগাছি ভূমি অফিসের তহশিলদার তরিকুল ইসলাম ও অফিস সহকারী উজ্জল হোসেন তহশিলের আওতাধীন ভূমি মালিকদের কাছ থেকে অনুমোদন দেওয়ার নামে প্রতিদিন নানাভাবে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ যেন ইংরেজ আমল দেখার কেউ নেই। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু দৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে তহশিলদা তরিকুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভাই আমি অসুস্থ কাল দেখা হবে। দ্বিতীয় দিন মোবাইলে ফোন করলে তিনি বলেন, ভাই কাকে ফোন করেছেন?

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কুড়ুলগাছিতে জমির খাজনা পরিশোধ করতে পদে পদে ভোগান্তি

আপলোড টাইম : ০৩:৩৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩

দর্শনা অফিস:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জমির খাজনা দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। নানা অজুহাতে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তহশিলদার তরিকুলের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, ভূমি সেবা অধিকতর জনবান্ধব করার লক্ষ্যে সরকার পহেলা বৈশাখ থেকে ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়। ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইন হওয়ায় তহশিলদারদের অসহযোগিতায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে অশিক্ষিত/অর্ধ শিক্ষিত মানুষদের। অনেকের অভিযোগ, তহশিলদারের পোষ্য দালালরা ঠিকই তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার বলছেন, বিভিন্ন স্থান থেকে খাজনা দেওয়ার জন্য নাম রেজিস্ট্রশন করলেও টাকা ছাড়া মিলছে না খাজনা পরিশোধের অনুমোদন।

কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অধীন মদনা গ্রামের মুরশীদ আলম বলেন, ‘আমি গত মাসের ৩০ তারিখে জমির খাজনা দেওয়ার জন্য নাম রেজিস্ট্রেশন করি। তার পর থেকে অনুমোদনের জন্য ১০ দিন তহশিলদারের নিকট ধরনা দিলেও নানা অজুহাতে অনুমোদন না দিয়ে তিনি আমাকে ফেরত দেন। আমি অনুপায় হয়ে এই মাসের ১৮ তারিখে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে গেলে তিনি আমার সামনেই মোবাইল ফোনে তহশিলদার তরিকুল ইসলামকে বলেন, হোল্ডিং ঠিক থাকলে অনুমোদন দিয়ে দেন। আমাকে বলেন, লাঞ্চের পর অফিসে যেতে বললেন। লাঞ্চের পর আমি তহশিল অফিসে গেলে তরিকুল ইসলাম বলেন, বণ্টননামা ও নাম খারিজ বাদে মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া জমির খাজনা নেওয়া যাবে না। আমি তহশিলদারকে বলি তাহলে আমাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র দেন। কিন্তু তিনি তাতে কোনো কর্ণপাত করেনি। আমি দিশেহারা হয়ে অন্য একজন তহশিলদারকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন কেন খাজনা নেওয়া যাবে না? আমরাতো মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশগণের কাছ থেকে খাজনা নিচ্ছি। তবে তিনি কেন খাজনা নেবেন না। সেটা তার ব্যাপার। তিনি আরও বলেন ভূমি মন্ত্রণালয় এ বিষয় কোনো পরিপত্র প্রকাশ করেনি। অথচ কুড়ুলগাছি ভূমি অফিসের তহশিলদার তরিকুল ইসলাম ও অফিস সহকারী উজ্জল হোসেন তহশিলের আওতাধীন ভূমি মালিকদের কাছ থেকে অনুমোদন দেওয়ার নামে প্রতিদিন নানাভাবে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ যেন ইংরেজ আমল দেখার কেউ নেই। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু দৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে তহশিলদা তরিকুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভাই আমি অসুস্থ কাল দেখা হবে। দ্বিতীয় দিন মোবাইলে ফোন করলে তিনি বলেন, ভাই কাকে ফোন করেছেন?