ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদার কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিন পদে নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৪১:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনটি পদে মোটা অঙ্কের নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি বিশ্বাস ৩৮ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। আগামী ২৬ জুন চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ওই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। এর আগে ৯ জানুয়ারি শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য সম্প্রতি আবেদনপত্রগুলো বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে নিয়োগপ্রত্যাশী প্রার্থীদের কাছে প্রবেশপত্রও পাঠিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চাকরিপ্রত্যাশী কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পরীক্ষা দিয়ে আর কী হবে। টাকার কাছে হেরে যাচ্ছি। কারা কোন পদে নিয়োগ পাচ্ছেন, তা তো পরীক্ষার আগেই শোনা যাচ্ছে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে আটজন আবেদন করেছেন। অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় সংলগ্ন কুতুবপুর গ্রামের আসান আলীর ছেলে শফিকুল ইসলামকে ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সভাপতি। একইভাবে আবেদনকারী পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে একই গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে ওয়াহেদুর রহমান পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, নিয়োগ দেওয়ার জন্য সভাপতি তাঁর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এছাড়া একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে আয়া পদেও। ওই পদে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন কুতুবপুর গ্রামের আবদুল জলিলের মেয়ে স্বপ্না খাতুন। এ ব্যাপারে কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল বারিকে বারবার ফোন দিলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মনিরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আদর্শগতভাবে আমার মতপার্থক্য রয়েছে। এ কারণেই এসব টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠছে। প্রকৃতপক্ষে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ পরীক্ষা হবে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে যারাই যোগ্য হবেন, তারাই নিয়োগ পাবেন। ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক। তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতিটি নিয়োগ প্রার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কী করেছে, আমি জানি না।’ উপজেলা ম্যাধমিক অফিসার আব্দুল মতিন বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে নিয়োগ, এই রকম বিষয়ে আমার জানা নেই। নিয়োগ স্বচ্ছ হবে।’

চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন বলেন, কুতুবপুর ম্যাধমিক বিদ্যালয়ে তিনটি পদে নিয়োগ হবে। তবে যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণে করবে, তাদের যে রেজাল্ট ভালো করবে, তারা নিয়োগ পাবে। এখন ম্যানেজিং কমিটি কী করেছে, না করেছে, সেটা আমার জানা নেই। জানার প্রয়োজনও নেই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদার কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিন পদে নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৭:৪১:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনটি পদে মোটা অঙ্কের নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি বিশ্বাস ৩৮ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। আগামী ২৬ জুন চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ওই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। এর আগে ৯ জানুয়ারি শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য সম্প্রতি আবেদনপত্রগুলো বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে নিয়োগপ্রত্যাশী প্রার্থীদের কাছে প্রবেশপত্রও পাঠিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চাকরিপ্রত্যাশী কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পরীক্ষা দিয়ে আর কী হবে। টাকার কাছে হেরে যাচ্ছি। কারা কোন পদে নিয়োগ পাচ্ছেন, তা তো পরীক্ষার আগেই শোনা যাচ্ছে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে আটজন আবেদন করেছেন। অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় সংলগ্ন কুতুবপুর গ্রামের আসান আলীর ছেলে শফিকুল ইসলামকে ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সভাপতি। একইভাবে আবেদনকারী পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে একই গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে ওয়াহেদুর রহমান পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, নিয়োগ দেওয়ার জন্য সভাপতি তাঁর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এছাড়া একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে আয়া পদেও। ওই পদে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন কুতুবপুর গ্রামের আবদুল জলিলের মেয়ে স্বপ্না খাতুন। এ ব্যাপারে কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল বারিকে বারবার ফোন দিলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মনিরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আদর্শগতভাবে আমার মতপার্থক্য রয়েছে। এ কারণেই এসব টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠছে। প্রকৃতপক্ষে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ পরীক্ষা হবে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে যারাই যোগ্য হবেন, তারাই নিয়োগ পাবেন। ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক। তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতিটি নিয়োগ প্রার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কী করেছে, আমি জানি না।’ উপজেলা ম্যাধমিক অফিসার আব্দুল মতিন বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে নিয়োগ, এই রকম বিষয়ে আমার জানা নেই। নিয়োগ স্বচ্ছ হবে।’

চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন বলেন, কুতুবপুর ম্যাধমিক বিদ্যালয়ে তিনটি পদে নিয়োগ হবে। তবে যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণে করবে, তাদের যে রেজাল্ট ভালো করবে, তারা নিয়োগ পাবে। এখন ম্যানেজিং কমিটি কী করেছে, না করেছে, সেটা আমার জানা নেই। জানার প্রয়োজনও নেই।