আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গায় আপন খালু মকছেদ আলীর (৭০) ধর্ষণের শিকার হয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরী। সম্প্রতি মানসিক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর আচার-আচরণ ও শারীরিক ঘঠনের পরিবর্তন হলে বিষয়টি স্থানীয়দের চোখে পড়ে। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গা-ঢাকা দেয় মকছেদ আলী। অভিযুক্ত মকছেদ একই গ্রামের আবুল হোসেন ওরফে চতুর আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের সাহেবপুর গ্রামের হতদরিদ্র শ্রবণ প্রতিবন্ধী সামসুল হকের কিশোরী মেয়ে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। শ্রবণ প্রতিবন্ধী সামসুল হক ও তার স্ত্রী দুজনেই রাতকানা রোগে আক্রান্ত। এরই সুযোগ নিয়ে সামসুল হকের ভাইরাভাই মকছেদ আলী রাতের আধারে বিভিন্ন সময় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে। সম্প্রতি বিষয়টি গ্রামের মানুষের চোখে পড়লে ওই কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ‘কিশোরী জানায় তার খালু মকছেদ আলী বিভিন্ন সময় রাতে তার ঘরে ঢুকে তার সঙ্গে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়।’ এদিকে, ঘটনাটি জানাজানি হলে গ্রাম থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত মকছেদ আলী।
স্থানীয়রা আরও জানায়, ধর্ষক মকছেদ আলী প্রভাবশালী হওয়াই গ্রামের অনেকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে, ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর পিতা-মাতাও প্রতিবন্ধী হওয়ায়ই তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না। পাশে পাচ্ছে না গ্রামের কাউকে। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও অভিযুক্ত মকছেদ আলীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে গ্রামবাসী।

এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার বারিক আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘এমন জঘন্যতম কাজের জন্য প্রশাসনসহ মানবাধিকার সংগঠনের সহযোগিতা কামনা করেছে গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারটি।’ আলমডাঙ্গা থানার অফিসার (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি। তবে পরিবারের কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।’