ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুমন্ত স্বামীকে গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করেন স্ত্রী মহিমা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৭:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস:
পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী ফল ব্যবসায়ী বাবর আলীকে (৪৫) গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করেন স্ত্রী মহিমা খাতুন (৩৮)। ঘটনা ধামাচাপা দিতে চিৎকার শুরু করেন তিনি। সাজান নাটক। তবে সন্দেহ হলে পুলিশ মহিমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়। পরে পুলিশি জিজ্ঞাসায় স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাঁসুয়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন মহিমা। গতকাল রোববার দুপুরে দর্শনা থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেলে) জাকিয়া সুলতানা। এদিকে, মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করায় পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে জাকিয়া সুলতানা বলেন, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় বাবর আলীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দুইটায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাবর আলীর ছোট ভাই মো. সাবের আলী দর্শনা থানায় একটি মামলা করেন। তিনি মামলার এজাহারে বলেন, তার ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রী মহিমা খাতুনের প্রায়ই সমিতির কিস্তির টাকা নিয়ে পারিবারিক কলহ হতো। তার ভাবিই বাবর আলীকে হত্যা করতে পারে।
জাকিয়া সুলতানা আরও বলেন, মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মহিমাকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাবাদের একপর্যায়ে তিনি বলেন, ওই রাতে পারিবারিক কলহের জেরে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। রাতে বাবর আলী ঘুমিয়ে পড়লে ধারালো হাসুয়া দিয়ে স্বামীর গলায় কোপ দেন মহিমা। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে বাবর আলীকে উদ্ধার করে চুুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপাতালে নিয়ে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়।
তবে হত্যাকাণ্ডের পর বাবর আলীর স্ত্রী মহিমা খাতুন দাবি করেছিলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লিচু বিক্রির চার লাখ টাকা দেনা-সংক্রান্ত বিষয়ে তিন ব্যক্তি বাড়িতে এসে বাবর আলীকে হুমকি দেন। রাতে বাবর আলী বারান্দায় শুয়েছিলেন। আর তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন বাড়িতে ঢুকে বাবর আলীর গলায় কোপ দেয়। তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামে বাবর আলী (৪৫) নামের এক ফল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঘুমন্ত স্বামীকে গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করেন স্ত্রী মহিমা

আপলোড টাইম : ০৭:৫৭:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

দর্শনা অফিস:
পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী ফল ব্যবসায়ী বাবর আলীকে (৪৫) গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করেন স্ত্রী মহিমা খাতুন (৩৮)। ঘটনা ধামাচাপা দিতে চিৎকার শুরু করেন তিনি। সাজান নাটক। তবে সন্দেহ হলে পুলিশ মহিমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়। পরে পুলিশি জিজ্ঞাসায় স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাঁসুয়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন মহিমা। গতকাল রোববার দুপুরে দর্শনা থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেলে) জাকিয়া সুলতানা। এদিকে, মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করায় পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে জাকিয়া সুলতানা বলেন, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় বাবর আলীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দুইটায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাবর আলীর ছোট ভাই মো. সাবের আলী দর্শনা থানায় একটি মামলা করেন। তিনি মামলার এজাহারে বলেন, তার ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রী মহিমা খাতুনের প্রায়ই সমিতির কিস্তির টাকা নিয়ে পারিবারিক কলহ হতো। তার ভাবিই বাবর আলীকে হত্যা করতে পারে।
জাকিয়া সুলতানা আরও বলেন, মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মহিমাকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাবাদের একপর্যায়ে তিনি বলেন, ওই রাতে পারিবারিক কলহের জেরে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। রাতে বাবর আলী ঘুমিয়ে পড়লে ধারালো হাসুয়া দিয়ে স্বামীর গলায় কোপ দেন মহিমা। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে বাবর আলীকে উদ্ধার করে চুুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপাতালে নিয়ে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়।
তবে হত্যাকাণ্ডের পর বাবর আলীর স্ত্রী মহিমা খাতুন দাবি করেছিলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লিচু বিক্রির চার লাখ টাকা দেনা-সংক্রান্ত বিষয়ে তিন ব্যক্তি বাড়িতে এসে বাবর আলীকে হুমকি দেন। রাতে বাবর আলী বারান্দায় শুয়েছিলেন। আর তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন বাড়িতে ঢুকে বাবর আলীর গলায় কোপ দেয়। তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামে বাবর আলী (৪৫) নামের এক ফল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।