ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবর আলী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাসুয়া উদ্ধার; থানা হেফাজতে স্ত্রী মহিমা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০৩:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, কুড়ুলগাছি:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামে বাবর আলী (৪৫) নামের এক ফল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক তার স্ত্রী মহিমার নিকট থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো হাসুয়া জব্দ করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খুন হন ধান্যঘরা গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে ফল ব্যবসায়ী বাবর আলী।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, বাবার আলী প্রতিদিনের মতো ঘটনার রাতেও ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে তার গলায় কোপ দেয়। এতে বাবার আলী রক্তাক্ত জখম হন বলে তার স্ত্রী দাবি করেন। এসময় বাবর আলীর স্ত্রী চিৎকার করলে স্বজনেরা দ্রুত ছুটে এলে বাবরকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে রাত ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবরকে মৃত ঘোষণা করেন। এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনেন পুলিশ কাজ শুরু করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাবর আলীর ভাই সাবের আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) এসএম আমান উল্লাহ। ময়নাতদন্তর পর গত শুক্রবার রাত ৯টায় জানাজা শেষে ধান্যঘরা কবরস্থানে বাবর আলীকে দাফন করা হয়।
অপরদিকে, ঘটনার দিন লিচু বিক্রির চার লাখ টাকা পাওনা নিয়ে সন্ধ্যায় তিন ব্যক্তি বাড়িতে এসে বাবর আলীকে হুমকি দেয় এবং তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে নিহতের স্ত্রী মহিমা খাতুন জানান। কিন্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীর অনেকেই বলছেন, বাবর আলী ছিলেন সহজ সরল মানুষ। তার কোনো শত্রু ছিল না। আবার অনেকেই বলছেন, বাবর আলী স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছেন। ঋণে জর্জরিত বাবর আলীর সংসারে প্রায় কলহ চলত। স্বামী মারা গেলে এনজিওর ঋণ মওকুফ হয়ে যায়, সেই ধারণা নিয়েই কি স্ত্রী মহিমা নিজেই স্বামীকে হত্যা করে কল্প কাহিনি সাজাচ্ছেন! সেটাও ভাবনার বিষয়।
গতকাল বিকেলে দর্শনা থানা-পুলিশের একটি দল বাবর আলীর বাড়ির খাটের নীচ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করেছে বলে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে এলাকাবাসী বলছে, পুলিশ তদন্ত করলেই আসল অপরাধী শনাক্ত হবে। এ হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদ্ঘাটন বিষয়ে আজ রোববার সকাল ১০ টায় দর্শনা থানায় জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন সংবাদ সম্মেলন করবেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বাবর আলী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাসুয়া উদ্ধার; থানা হেফাজতে স্ত্রী মহিমা

আপলোড টাইম : ১২:০৩:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

প্রতিবেদক, কুড়ুলগাছি:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামে বাবর আলী (৪৫) নামের এক ফল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক তার স্ত্রী মহিমার নিকট থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো হাসুয়া জব্দ করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খুন হন ধান্যঘরা গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে ফল ব্যবসায়ী বাবর আলী।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, বাবার আলী প্রতিদিনের মতো ঘটনার রাতেও ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে তার গলায় কোপ দেয়। এতে বাবার আলী রক্তাক্ত জখম হন বলে তার স্ত্রী দাবি করেন। এসময় বাবর আলীর স্ত্রী চিৎকার করলে স্বজনেরা দ্রুত ছুটে এলে বাবরকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে রাত ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবরকে মৃত ঘোষণা করেন। এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনেন পুলিশ কাজ শুরু করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাবর আলীর ভাই সাবের আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) এসএম আমান উল্লাহ। ময়নাতদন্তর পর গত শুক্রবার রাত ৯টায় জানাজা শেষে ধান্যঘরা কবরস্থানে বাবর আলীকে দাফন করা হয়।
অপরদিকে, ঘটনার দিন লিচু বিক্রির চার লাখ টাকা পাওনা নিয়ে সন্ধ্যায় তিন ব্যক্তি বাড়িতে এসে বাবর আলীকে হুমকি দেয় এবং তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে নিহতের স্ত্রী মহিমা খাতুন জানান। কিন্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীর অনেকেই বলছেন, বাবর আলী ছিলেন সহজ সরল মানুষ। তার কোনো শত্রু ছিল না। আবার অনেকেই বলছেন, বাবর আলী স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছেন। ঋণে জর্জরিত বাবর আলীর সংসারে প্রায় কলহ চলত। স্বামী মারা গেলে এনজিওর ঋণ মওকুফ হয়ে যায়, সেই ধারণা নিয়েই কি স্ত্রী মহিমা নিজেই স্বামীকে হত্যা করে কল্প কাহিনি সাজাচ্ছেন! সেটাও ভাবনার বিষয়।
গতকাল বিকেলে দর্শনা থানা-পুলিশের একটি দল বাবর আলীর বাড়ির খাটের নীচ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করেছে বলে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে এলাকাবাসী বলছে, পুলিশ তদন্ত করলেই আসল অপরাধী শনাক্ত হবে। এ হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদ্ঘাটন বিষয়ে আজ রোববার সকাল ১০ টায় দর্শনা থানায় জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন সংবাদ সম্মেলন করবেন।