ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের ফল উৎসব অনুষ্ঠিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মধুমাসে ফল উৎসব-১৪৩০ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটায় জমকালো আয়োজনে ডিসি সাহিত্য মঞ্চ প্রাঙ্গনে এ ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ফল উৎসবের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। ফল উৎসবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রশাসক পত্নী মেহনাজ খান বাঁধন, পুলিশ সুপা পত্মী ফরিদা ইয়াসমিন, তারাদেবী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, ডায়মন্ড ওর্য়াল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মাহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আব্দুর রশীদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূঁইয়া, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রনি আলম নূর, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপ-পরিচালক ইয়াসিন সোহেল, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম, জেলা প্রশাসনের এনডিসি সাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার নূর পেয়া বেগম, নজরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল-আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, সিনিয়র সাংবাদিক অ্যাড. মানিক আকবর, শাহ আলম সনি, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলা ফল ও ফসলে সমৃদ্ধ। এই সময়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রচুর পরিমাণে আম, জাম, কলা, লিচুসহ সকল প্রকার মৌসুমী ফল রয়েছে। সকলেই যেন সব ফলের স্বাদ পায়, নতুন প্রজন্ম যেন সব ধরনের ফল চেনে, সে জন্য আমাদের এই আয়োজন। এখানে আমাদের চারটি উপজেলার উপজেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ অংশগ্রহণ করেছে। আমরা দেখছি, এখানে অনেক ধরনের ফল আছে। আমরা হয়ত অনেকেই নাম শুনেছি, আগে দেখেনি, এমন ফলও আছে। চার কেজি ওজনের আম আছে। নবীন প্রজন্ম অনেকে ফল চিনে না। আগে যেমন গ্রামে গ্রামে গাব ফল দেখতাম, এখনকার নবীনরা সবাই এই ফলটি চেনেই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই মেলার মাধ্যমে অনুরোধ করব, প্রত্যেকে যেন বাড়িতে ফলের গাছ লাগাই। এই দেশি ফল প্রচুর ভিটামিন সমৃদ্ধ। অনেক রোগের প্রতিষেধক। নিয়মিত মৌসুমী ফল খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আমাদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে। আমরা প্রতি বছর এরকম ফল উৎসব করব।’ এ সময় জেলা প্রশাসক প্রত্যেককে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘এই ফলমেলায় বহু ফলের সাথে আমরা পরিচিত হতে পারছি। এই মধু মেলা আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ। এর মাধ্যমে আমরা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হবো। নবীনরা দেশি ফলের সাথে পরিচিত হলো। এটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এই উদ্যোগের জন্য জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।’
মধু মাসের ফল উৎসবে চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলার আলাদা আলাদা চারটি স্টলসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একটি নিয়ে মোট পাঁচটি স্টল ফল উৎসবে অংশ নেয়। একদিকে যেমন ফল উৎসবের স্টলগুলো পরিদর্শন করছিলেন অতিথিগণ, অন্যদিকে ডিসি সাহিত্য মঞ্চে বাজতে থাকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান। ফল উৎসবের এক পর্যায়ে অতিথিদেরকে এবং উৎসব আয়োজনে উপস্থিত সকলকে বুফে সিস্টেমে ৭২ প্রকারের ফল খাওয়ানো হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উৎসবমুখর এ আয়োজনে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও উৎসবস্থলে আগত সকল সাধারণ মানুষ মধু মাসের মৌসুমী ফল খেয়ে আনন্দের ঢেকুর তোলে। শুধু ফলই নয়, মধুমাসের আয়োজনে বাড়তি শোভা বৃদ্ধি করে গ্রাম্য বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি এবং মাটন জাতীয় খাবার। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের ফল উৎসব অনুষ্ঠিত

আপলোড টাইম : ০৮:৩২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মধুমাসে ফল উৎসব-১৪৩০ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটায় জমকালো আয়োজনে ডিসি সাহিত্য মঞ্চ প্রাঙ্গনে এ ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ফল উৎসবের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। ফল উৎসবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রশাসক পত্নী মেহনাজ খান বাঁধন, পুলিশ সুপা পত্মী ফরিদা ইয়াসমিন, তারাদেবী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, ডায়মন্ড ওর্য়াল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মাহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আব্দুর রশীদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূঁইয়া, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রনি আলম নূর, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপ-পরিচালক ইয়াসিন সোহেল, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম, জেলা প্রশাসনের এনডিসি সাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার নূর পেয়া বেগম, নজরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল-আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, সিনিয়র সাংবাদিক অ্যাড. মানিক আকবর, শাহ আলম সনি, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলা ফল ও ফসলে সমৃদ্ধ। এই সময়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রচুর পরিমাণে আম, জাম, কলা, লিচুসহ সকল প্রকার মৌসুমী ফল রয়েছে। সকলেই যেন সব ফলের স্বাদ পায়, নতুন প্রজন্ম যেন সব ধরনের ফল চেনে, সে জন্য আমাদের এই আয়োজন। এখানে আমাদের চারটি উপজেলার উপজেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ অংশগ্রহণ করেছে। আমরা দেখছি, এখানে অনেক ধরনের ফল আছে। আমরা হয়ত অনেকেই নাম শুনেছি, আগে দেখেনি, এমন ফলও আছে। চার কেজি ওজনের আম আছে। নবীন প্রজন্ম অনেকে ফল চিনে না। আগে যেমন গ্রামে গ্রামে গাব ফল দেখতাম, এখনকার নবীনরা সবাই এই ফলটি চেনেই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই মেলার মাধ্যমে অনুরোধ করব, প্রত্যেকে যেন বাড়িতে ফলের গাছ লাগাই। এই দেশি ফল প্রচুর ভিটামিন সমৃদ্ধ। অনেক রোগের প্রতিষেধক। নিয়মিত মৌসুমী ফল খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আমাদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে। আমরা প্রতি বছর এরকম ফল উৎসব করব।’ এ সময় জেলা প্রশাসক প্রত্যেককে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘এই ফলমেলায় বহু ফলের সাথে আমরা পরিচিত হতে পারছি। এই মধু মেলা আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ। এর মাধ্যমে আমরা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হবো। নবীনরা দেশি ফলের সাথে পরিচিত হলো। এটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এই উদ্যোগের জন্য জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।’
মধু মাসের ফল উৎসবে চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলার আলাদা আলাদা চারটি স্টলসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একটি নিয়ে মোট পাঁচটি স্টল ফল উৎসবে অংশ নেয়। একদিকে যেমন ফল উৎসবের স্টলগুলো পরিদর্শন করছিলেন অতিথিগণ, অন্যদিকে ডিসি সাহিত্য মঞ্চে বাজতে থাকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান। ফল উৎসবের এক পর্যায়ে অতিথিদেরকে এবং উৎসব আয়োজনে উপস্থিত সকলকে বুফে সিস্টেমে ৭২ প্রকারের ফল খাওয়ানো হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উৎসবমুখর এ আয়োজনে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও উৎসবস্থলে আগত সকল সাধারণ মানুষ মধু মাসের মৌসুমী ফল খেয়ে আনন্দের ঢেকুর তোলে। শুধু ফলই নয়, মধুমাসের আয়োজনে বাড়তি শোভা বৃদ্ধি করে গ্রাম্য বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি এবং মাটন জাতীয় খাবার। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন।