ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুকে গাছে বেঁধে রাখার অভিযোগ, দোকানি গ্রেপ্তার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
  • / ৩৭ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
জীবননগরে একটি দোকানে চুরির অভিযোগে ১২ বছর বয়সী এক শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার ঘটনায় জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া স্টেশনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করায় গতকাল রাতেই জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা। তিনি বলেন, ওই শিশুর বাবা জহির উদ্দীন বাদী হয়ে থানায় ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ করলে সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। পরে অভিযুক্ত জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকালে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া স্টেশনপাড়ায় রিয়োন ট্রেডার্স নামের একটি দোকানে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে ওই শিশু। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে গাছে বেঁধে রাখে। সেই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। রিয়োন ট্রেডার্সের মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সকাল আমি বাড়ি ছিলাম। হঠাৎ দোকানের শার্টার টানার শব্দ শুনি। পরে এসে দেখি দোকানের শার্টার তুলে ওই শিশু ভেতরে ঢুকেছে।’ ওই শিশু কিছু চুরি করেছে কী জানতে চাইলে জসিম বলেন, ‘সে দোকান থেকে কিছু নিতে পারেনি। আমার যেতে একটু দেরি হলে চুরি করে নিয়ে যেত।’ গাছে বেধে নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে জসিম বলেন, ‘চোর ধরার খবর শুনে দোকানের সামনে অনেক মানুষ জড়ো হয়। তারাই তাকে গাছে বাঁধে। আমি তাকে গাছে বেঁধে রাখিনি।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই শিশু বলে, আমি চুরি করতে দোকানে ঢুকেছিলাম। এসময় দোকানদার আমাকে ধরে ফেলে। পরে একটি গাছে বেঁধে আমাকে কয়েকজন চড়-থাপ্পড় মারে। আমার ভুল হয়ে গেছে। আর এমন কাজ করব না।’
গতকাল বেলা তিনটার দিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানার ওসি বলেন, থানা-পুলিশের সদস্যরা গিয়ে ওই শিশুকে বাঁধা অবস্থায় পায়নি। স্থানীয় লোকজন তাকে একটি দোকানে বসিয়ে রেখেছিল। পরে তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে তার অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তার বয়স কম, তাই পরিবারের সদস্যরা দায়িত্ব নিয়ে মুচলেকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ওসি জানান, জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে ওসিকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ওই শিশুকে বেঁধে রাখার ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হলে জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই শিশুর ভাই বলেন, ‘আমার ভাই বাড়ি থাকতে চায় না। শিকল দিয়েও বেঁধে রেখে বাড়িতে রাখা যায়নি। আজ (গতকাল) একটি দোকানে চুরি করার অভিযোগে তাকে আটকে রাখার খরব পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

শিশুকে গাছে বেঁধে রাখার অভিযোগ, দোকানি গ্রেপ্তার

আপলোড টাইম : ০৮:০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
জীবননগরে একটি দোকানে চুরির অভিযোগে ১২ বছর বয়সী এক শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার ঘটনায় জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া স্টেশনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করায় গতকাল রাতেই জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা। তিনি বলেন, ওই শিশুর বাবা জহির উদ্দীন বাদী হয়ে থানায় ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ করলে সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। পরে অভিযুক্ত জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকালে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া স্টেশনপাড়ায় রিয়োন ট্রেডার্স নামের একটি দোকানে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে ওই শিশু। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে গাছে বেঁধে রাখে। সেই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। রিয়োন ট্রেডার্সের মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সকাল আমি বাড়ি ছিলাম। হঠাৎ দোকানের শার্টার টানার শব্দ শুনি। পরে এসে দেখি দোকানের শার্টার তুলে ওই শিশু ভেতরে ঢুকেছে।’ ওই শিশু কিছু চুরি করেছে কী জানতে চাইলে জসিম বলেন, ‘সে দোকান থেকে কিছু নিতে পারেনি। আমার যেতে একটু দেরি হলে চুরি করে নিয়ে যেত।’ গাছে বেধে নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে জসিম বলেন, ‘চোর ধরার খবর শুনে দোকানের সামনে অনেক মানুষ জড়ো হয়। তারাই তাকে গাছে বাঁধে। আমি তাকে গাছে বেঁধে রাখিনি।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই শিশু বলে, আমি চুরি করতে দোকানে ঢুকেছিলাম। এসময় দোকানদার আমাকে ধরে ফেলে। পরে একটি গাছে বেঁধে আমাকে কয়েকজন চড়-থাপ্পড় মারে। আমার ভুল হয়ে গেছে। আর এমন কাজ করব না।’
গতকাল বেলা তিনটার দিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানার ওসি বলেন, থানা-পুলিশের সদস্যরা গিয়ে ওই শিশুকে বাঁধা অবস্থায় পায়নি। স্থানীয় লোকজন তাকে একটি দোকানে বসিয়ে রেখেছিল। পরে তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে তার অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তার বয়স কম, তাই পরিবারের সদস্যরা দায়িত্ব নিয়ে মুচলেকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ওসি জানান, জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে ওসিকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ওই শিশুকে বেঁধে রাখার ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হলে জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই শিশুর ভাই বলেন, ‘আমার ভাই বাড়ি থাকতে চায় না। শিকল দিয়েও বেঁধে রেখে বাড়িতে রাখা যায়নি। আজ (গতকাল) একটি দোকানে চুরি করার অভিযোগে তাকে আটকে রাখার খরব পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি।’