ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি, যুবদল ও জামায়াতের ২৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার, কারাগারে প্রেরণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৪৯:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা থেকে বিএনপি, যুবদল ও জামায়েতের ২৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত থেকে গতকাল শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকালই চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তারকৃত ২১ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তাদের পুলিশ প্রহরায় প্রিজন ভ্যানে আদালত চত্বরে আনা হয়। এসময় স্বজন ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাদের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা বলেন, মিথ্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা দ্রুত তাদের মুক্তির দাবি জানান। এদিকে, গতকাল শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে জীবননগর থানা-পুলিশ বিএনপি ও জামায়াতের আরও দুই নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (৩০), সদস্য আব্দুর রশিদ (৩৭), মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান লিটন (৪১), কোষাধ্যক্ষ হাজি লাল্টু (৪৭), জেলা বিএনপির সদস্য ও আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ জিল্লুর রহমান ওল্টু (৫৬), গাংনী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হক (৫৭), রফিকুল ইসলাম (৪২), উজ্জল হোসেন (৩৫), আব্দুল আলিম (৩৬), হাবিবুর রহমান রাজু (৩০), মকলেছ রহমান মিলান (৪৫), সাফায়েত হোসেন (৩৭), এফতেখারুল ইসলাম রাশেদ (২৯) শফিকুল আজম ডালিম (৩৭) জহুরুল ইসলাম (৩৬), বেনজির আহমেদ স্বপন (৪৫), নাসির উদ্দিন (৪৫), ওবাইদুর রহমান বেল্টু (৩৩), সাইফুর রহমান (৪৪), মো. ইকতা (৪৫) ও দেলোয়ার হোসেন ঝণ্টু (৪৩), জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়ন জামায়াতের নেতা ইসরাইল (৫০) ও আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সাইদ বলেন, ‘নাশকতা মামলায় জীবননগর থেকে বিএনপি ও জামায়ামের দুই নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার বলেন, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর কওমি মাদ্রাসায় নাশকতার পরিকল্পনার সময় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় নয়জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। তিনি আরও বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা বেশির ভাগই ওই মামলার আসামি। এতদিন তারা পলাতক ছিলেন।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বর ও ফেব্রুয়ারির মাসের নাশকতার প্রস্তুতিসহ বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলা করা হয়েছিল। ওই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘আগামী ২৬ মে চুয়াডাঙ্গায় কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে। বিক্ষোভ সমাবেশ যাতে সফল না হয়, সে জন্য নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মামলা ও গ্রেপ্তার করে সরকার পতনের এই আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। বিএনপির নেতা-কর্মীরা ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরবে না।’ এসময় তিনি, মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বিএনপি, যুবদল ও জামায়াতের ২৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার, কারাগারে প্রেরণ

আপলোড টাইম : ০৩:৪৯:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা থেকে বিএনপি, যুবদল ও জামায়েতের ২৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত থেকে গতকাল শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকালই চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তারকৃত ২১ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তাদের পুলিশ প্রহরায় প্রিজন ভ্যানে আদালত চত্বরে আনা হয়। এসময় স্বজন ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাদের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা বলেন, মিথ্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা দ্রুত তাদের মুক্তির দাবি জানান। এদিকে, গতকাল শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে জীবননগর থানা-পুলিশ বিএনপি ও জামায়াতের আরও দুই নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (৩০), সদস্য আব্দুর রশিদ (৩৭), মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান লিটন (৪১), কোষাধ্যক্ষ হাজি লাল্টু (৪৭), জেলা বিএনপির সদস্য ও আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ জিল্লুর রহমান ওল্টু (৫৬), গাংনী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হক (৫৭), রফিকুল ইসলাম (৪২), উজ্জল হোসেন (৩৫), আব্দুল আলিম (৩৬), হাবিবুর রহমান রাজু (৩০), মকলেছ রহমান মিলান (৪৫), সাফায়েত হোসেন (৩৭), এফতেখারুল ইসলাম রাশেদ (২৯) শফিকুল আজম ডালিম (৩৭) জহুরুল ইসলাম (৩৬), বেনজির আহমেদ স্বপন (৪৫), নাসির উদ্দিন (৪৫), ওবাইদুর রহমান বেল্টু (৩৩), সাইফুর রহমান (৪৪), মো. ইকতা (৪৫) ও দেলোয়ার হোসেন ঝণ্টু (৪৩), জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়ন জামায়াতের নেতা ইসরাইল (৫০) ও আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সাইদ বলেন, ‘নাশকতা মামলায় জীবননগর থেকে বিএনপি ও জামায়ামের দুই নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার বলেন, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর কওমি মাদ্রাসায় নাশকতার পরিকল্পনার সময় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় নয়জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। তিনি আরও বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা বেশির ভাগই ওই মামলার আসামি। এতদিন তারা পলাতক ছিলেন।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বর ও ফেব্রুয়ারির মাসের নাশকতার প্রস্তুতিসহ বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলা করা হয়েছিল। ওই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘আগামী ২৬ মে চুয়াডাঙ্গায় কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে। বিক্ষোভ সমাবেশ যাতে সফল না হয়, সে জন্য নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মামলা ও গ্রেপ্তার করে সরকার পতনের এই আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। বিএনপির নেতা-কর্মীরা ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরবে না।’ এসময় তিনি, মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।