ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ তুলে জমি বিক্রির অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৯:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
  • / ৩৪ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:

জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় ভুয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে জমি দখল করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে গ্রামের ফজলুর রহমানসহ তার ভাইদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জমির মূল মালিক দাবিদার গয়েশপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ও তার ভাইয়েরা সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফজলুর রহমানের দাদার নাম রফিক মন্ডল। কিন্তু তার দাদী গয়েশপুর গ্রামে বিয়ে করায় ফজলুর রহমানের বাবা জেহের আলী তার পালিত বাবা ছাদের আলী মন্ডলের কাছে থাকতো। সেই সুবাদে জেহের আলীর ছেলে ফজলুসহ তার ভাইয়েরা ভুয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে ছাদের আলীর ওয়ারিশদের ফাঁকি দিয়ে গয়েশপুর মৌজার ৫ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখল করে বিক্রি করছেন। জমি বিক্রিতে বাধা দিলে ফজলুসহ তার ভাইয়েরা ছাদের আলীর ওয়ারিশদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

ছাদের আলীর ওয়ারিশ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দাদার নাম ছাদের আলী মন্ডল। আর ফজলুর দাদার নাম রফিক মন্ডল। তাদের বাড়ি ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ফজলুর দাদি তার বাবাসহ আমার দাদার সাথে বিয়ে করেন। সেই সুবাদে ফজলুর বাবা আমার দাদাকে বাবা বলতো। কিন্তু ফজলুরা রফিক মন্ডলের ওয়ারিশ সনদ তুলে চুয়াডাঙ্গাতে জমি দখল করেছে। আবার আমার দাদার ওয়ারিশ সেজে তারা আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করছে। আমরা বিষয়টি জানার পর তাদের বললে, তারা আমাদের হুমকি-ধমকি প্রদান করে। এবং তারা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।’

এ বিষয়ে ফজলুর বলেন, ‘আমরা দুইটা ওয়ারিশ দুই নামে তুলেছি এটা সঠিক। কিন্তু আমরা কারও জমি দখল করে বিক্রি করছি না। আমার বাবার জমি আমরা বিক্রি করছি।’

সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, ‘গয়েশপুর গ্রামে জাহিদুল ও ফজলুর পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে, এটা আমি জানি। তবে ফজলুরা দুই ব্যক্তির নামে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওয়ারিশ তুলেছে এটা শুনে আমি হতবাক। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমাকে ডেকেছিল। আমি লিখিতভাবে বলেছি এটা সম্পূর্ণ অন্যায় ও অনিয়ম। একই ব্যক্তির বাবার নাম দুইটা কীভাবে সম্ভব? শুধুমাত্র জমি দখল করার জন্য ওয়ারিশ পত্রে এ নাম ব্যবহার করেছে। এটা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’

জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র বলেন, ‘গয়েশপুর গ্রামে ওয়ারিশ পত্র নিয়ে দুইটা পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত নেওয়া হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ তুলে জমি বিক্রির অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৭:৫৯:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

জীবননগর অফিস:

জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় ভুয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে জমি দখল করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে গ্রামের ফজলুর রহমানসহ তার ভাইদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জমির মূল মালিক দাবিদার গয়েশপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ও তার ভাইয়েরা সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফজলুর রহমানের দাদার নাম রফিক মন্ডল। কিন্তু তার দাদী গয়েশপুর গ্রামে বিয়ে করায় ফজলুর রহমানের বাবা জেহের আলী তার পালিত বাবা ছাদের আলী মন্ডলের কাছে থাকতো। সেই সুবাদে জেহের আলীর ছেলে ফজলুসহ তার ভাইয়েরা ভুয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে ছাদের আলীর ওয়ারিশদের ফাঁকি দিয়ে গয়েশপুর মৌজার ৫ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখল করে বিক্রি করছেন। জমি বিক্রিতে বাধা দিলে ফজলুসহ তার ভাইয়েরা ছাদের আলীর ওয়ারিশদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

ছাদের আলীর ওয়ারিশ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দাদার নাম ছাদের আলী মন্ডল। আর ফজলুর দাদার নাম রফিক মন্ডল। তাদের বাড়ি ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ফজলুর দাদি তার বাবাসহ আমার দাদার সাথে বিয়ে করেন। সেই সুবাদে ফজলুর বাবা আমার দাদাকে বাবা বলতো। কিন্তু ফজলুরা রফিক মন্ডলের ওয়ারিশ সনদ তুলে চুয়াডাঙ্গাতে জমি দখল করেছে। আবার আমার দাদার ওয়ারিশ সেজে তারা আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করছে। আমরা বিষয়টি জানার পর তাদের বললে, তারা আমাদের হুমকি-ধমকি প্রদান করে। এবং তারা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।’

এ বিষয়ে ফজলুর বলেন, ‘আমরা দুইটা ওয়ারিশ দুই নামে তুলেছি এটা সঠিক। কিন্তু আমরা কারও জমি দখল করে বিক্রি করছি না। আমার বাবার জমি আমরা বিক্রি করছি।’

সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, ‘গয়েশপুর গ্রামে জাহিদুল ও ফজলুর পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে, এটা আমি জানি। তবে ফজলুরা দুই ব্যক্তির নামে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওয়ারিশ তুলেছে এটা শুনে আমি হতবাক। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমাকে ডেকেছিল। আমি লিখিতভাবে বলেছি এটা সম্পূর্ণ অন্যায় ও অনিয়ম। একই ব্যক্তির বাবার নাম দুইটা কীভাবে সম্ভব? শুধুমাত্র জমি দখল করার জন্য ওয়ারিশ পত্রে এ নাম ব্যবহার করেছে। এটা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’

জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র বলেন, ‘গয়েশপুর গ্রামে ওয়ারিশ পত্র নিয়ে দুইটা পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত নেওয়া হবে।’