ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্কুলছাত্রকে বলাৎকার, হাসপাতালে ভর্তি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:
জীবননগর উপজেলার হাসাদাহে এক মসজিদের মুয়াজ্জিন নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রকে (৮) বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে হাসাদাহ ঘুষিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন নাজমুল। গতকাল জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘নাজমুল হোসেনকে আটকের জন্য কাজ করছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. নাজমুল হোসেনের নিকট আরবি পড়ত। আজ (মঙ্গলবার) আমার ছেলেকে একা পেয়ে নাজমুল ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোর করে বলাৎকার করে। এতে আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় নাজমুল তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তাই তাকে চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে এসেছি।’

নির্যাতনের শিকার ওই শিশু জানায়, ‘গত সোমবার হুজুর আমাকে ঠিক সময়ে পড়তে আসতে বলে। তবে অন্য ছাত্রদের দেরিতে আসতে বলেছিল। আজ (মঙ্গলবার) সকালে আমি আরবি শিখছিলাম। এসময় হুজুর আমাকে পাশের একটি ঘরে নিয়ে যায়। পরে আমার ওপর নির্যাতন করে। এ ঘটনা কাউকে বললে আমাকে মেরে ফেলবে বলে।’

হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, যাতে তার শাস্তি দেখে আর কেউ এ ধরনের খারাপ কাজ না করে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন বলেন, ‘শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমরা নমুনা সংগ্রহ করেছি। বিস্তারিত প্রতিবেদন পেলে জানাতে পারব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

স্কুলছাত্রকে বলাৎকার, হাসপাতালে ভর্তি

আপলোড টাইম : ০৯:৩৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

জীবননগর অফিস:
জীবননগর উপজেলার হাসাদাহে এক মসজিদের মুয়াজ্জিন নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রকে (৮) বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে হাসাদাহ ঘুষিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন নাজমুল। গতকাল জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘নাজমুল হোসেনকে আটকের জন্য কাজ করছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. নাজমুল হোসেনের নিকট আরবি পড়ত। আজ (মঙ্গলবার) আমার ছেলেকে একা পেয়ে নাজমুল ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোর করে বলাৎকার করে। এতে আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় নাজমুল তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তাই তাকে চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে এসেছি।’

নির্যাতনের শিকার ওই শিশু জানায়, ‘গত সোমবার হুজুর আমাকে ঠিক সময়ে পড়তে আসতে বলে। তবে অন্য ছাত্রদের দেরিতে আসতে বলেছিল। আজ (মঙ্গলবার) সকালে আমি আরবি শিখছিলাম। এসময় হুজুর আমাকে পাশের একটি ঘরে নিয়ে যায়। পরে আমার ওপর নির্যাতন করে। এ ঘটনা কাউকে বললে আমাকে মেরে ফেলবে বলে।’

হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, যাতে তার শাস্তি দেখে আর কেউ এ ধরনের খারাপ কাজ না করে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন বলেন, ‘শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমরা নমুনা সংগ্রহ করেছি। বিস্তারিত প্রতিবেদন পেলে জানাতে পারব।’