ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাজার মনিটরিংয়ের ওপর গুরত্বারোপ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য হুটহাট বাড়ছে কেনা? গরু-খাসির গোস্তের দামই বা আকাশছোঁয়া হলো কেন? সঙ্গত এসব প্রশ্নে সরব ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষে গঠিত চুয়াডাঙ্গা জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য চাহিদা মোতাবেক আমদানি থাকলে মূল্য বাড়ে না। চুয়াডাঙ্গায় শাক-সবজির দামও বেড়েছে। স্থানীয়ভাবে কৃষি উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বেড়েছে রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরে। আবার দূর থেকে পণ্য আমদানি করতে গিয়ে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমদানিকৃত দ্রব্যের দামও বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীদের তরফে বলা হয়। শুধু চুয়াডাঙ্গায় নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বমন্দার প্রভাব পড়ছে বলে উল্লেখ করা হলেও বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমাদের সকলকেই আন্তরিক হতে হবে। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফার দিকে ঝুঁকছে কি না, তা দেখতে অবশ্যই দোকানে বিক্রির জন্য রাখা পণ্যের ক্রয়ের পাকা রশিদ রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ফলে দোকানে ক্রয়ের রোশিদ যেমন রাখতে হবে, তেমনই দোকানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে দ্রব্যের বিক্রয় মূল্যের তালিকা।

আলোচনায় এসব নিয়ে বিষদে আলোচনা হয়। সভার সভাপাতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উপস্থিত সদস্যদের অভিমত গভীর মনোযোগসহকারে শোনার পর বলেন, ভোক্তা সাধারণকেও সচেতন হওয়া দরকার। ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিরিক্ত লাভের মানসিকতা পরিহারে সমাজের সুধিমহলেরও আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকতে হবে। একই সাথে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সংখ্যাও বাড়ানো হবে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষে গঠিত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভার পরপরই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সভা, নিরাপদ খাদ্য কমিটির সভাও একই স্থানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠিত হয় কৃষি পণ্য বিপণন সমন্বয় কমিটির সভা। এ কমিটির পূর্বের সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন জেলা মার্কেটিং অফিসার মো. সহিদুল ইসলাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির বিগত সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন সহকারী কমিশনার এনডিসি শাহদাত হোসেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সভা পরিচালনায় ছিলেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গাস্থ সহকারী পরিচালক মো. সজল আহম্মেদ ও নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক সভা পরিচালনায় ছিলেন নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজিব পাল। সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কমকর্তা, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার প্রতিনিধি পরিচালক নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চুয়াডাঙ্গার সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হোসেন জোয়ার্দ্দার প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাজার মনিটরিংয়ের ওপর গুরত্বারোপ

আপলোড টাইম : ০৯:৩০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য হুটহাট বাড়ছে কেনা? গরু-খাসির গোস্তের দামই বা আকাশছোঁয়া হলো কেন? সঙ্গত এসব প্রশ্নে সরব ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষে গঠিত চুয়াডাঙ্গা জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য চাহিদা মোতাবেক আমদানি থাকলে মূল্য বাড়ে না। চুয়াডাঙ্গায় শাক-সবজির দামও বেড়েছে। স্থানীয়ভাবে কৃষি উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বেড়েছে রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরে। আবার দূর থেকে পণ্য আমদানি করতে গিয়ে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমদানিকৃত দ্রব্যের দামও বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীদের তরফে বলা হয়। শুধু চুয়াডাঙ্গায় নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বমন্দার প্রভাব পড়ছে বলে উল্লেখ করা হলেও বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমাদের সকলকেই আন্তরিক হতে হবে। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফার দিকে ঝুঁকছে কি না, তা দেখতে অবশ্যই দোকানে বিক্রির জন্য রাখা পণ্যের ক্রয়ের পাকা রশিদ রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ফলে দোকানে ক্রয়ের রোশিদ যেমন রাখতে হবে, তেমনই দোকানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে দ্রব্যের বিক্রয় মূল্যের তালিকা।

আলোচনায় এসব নিয়ে বিষদে আলোচনা হয়। সভার সভাপাতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উপস্থিত সদস্যদের অভিমত গভীর মনোযোগসহকারে শোনার পর বলেন, ভোক্তা সাধারণকেও সচেতন হওয়া দরকার। ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিরিক্ত লাভের মানসিকতা পরিহারে সমাজের সুধিমহলেরও আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকতে হবে। একই সাথে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সংখ্যাও বাড়ানো হবে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষে গঠিত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভার পরপরই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সভা, নিরাপদ খাদ্য কমিটির সভাও একই স্থানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠিত হয় কৃষি পণ্য বিপণন সমন্বয় কমিটির সভা। এ কমিটির পূর্বের সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন জেলা মার্কেটিং অফিসার মো. সহিদুল ইসলাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির বিগত সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন সহকারী কমিশনার এনডিসি শাহদাত হোসেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সভা পরিচালনায় ছিলেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গাস্থ সহকারী পরিচালক মো. সজল আহম্মেদ ও নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক সভা পরিচালনায় ছিলেন নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজিব পাল। সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কমকর্তা, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার প্রতিনিধি পরিচালক নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চুয়াডাঙ্গার সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হোসেন জোয়ার্দ্দার প্রমুখ।