ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে মোট ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন। গতকাল রোববার প্রথম দিন সকাল ১০টায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা। পরীক্ষা চলে বেলা একটা পর্যন্ত। এর আগে পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট পূর্বে কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

করোনাভাইরাস মহামারির আগে প্রতিবছর সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিকের পরীক্ষা শুরু হতো। কিন্তু গতবছর করোনাভাইরাস ও বন্যার কারণে সাত মাস পিছিয়ে পরীক্ষা শুরু হয় ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবছর পরীক্ষা এগিয়ে এপ্রিল মাসের শেষ দিন শুরু হলো। ২০২৩ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময় তিন ঘণ্টায়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের এসএসসি ও সমমানের প্রথম দিনের পরীক্ষা। গতকাল রোববার সারাদেশে একযোগে মাধ্যমিক বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জেলার কোনো পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা বা বহিষ্কারের খবর পাওয়া যায়নি। তবে জেলার চার উপজেলায় মোট ১৯৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল বলে জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখা সূত্রে জানা গেছে।

তথ্য মতে, প্রথম দিনের পরীক্ষায় জেলার মোট ১১ হাজার ৫৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মাঝে ১১ হাজার ৩৪৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। বাকি ১৯৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এর মধ্যে এসএসসি (সাধারণ) পরীক্ষায় মোট ৯ হাজার ১৬৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিতির সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ২৩ জন। অনুপস্থিত ১৪৪ জন। এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) মোট ১ হাজার ৩৭৬ জন পরীক্ষার্থীর মাঝে উপস্থিত ছিল ১ হাজার ৩৫৭ জন। অনুপস্থিত ১৯ জন। দাখিল পরীক্ষায় ৯৯৬ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিল ৯৬৩ জন। অনুপস্থিত ৩৩ জন।

এদিকে, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ছিল কড়া নিরাপত্তা। যে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা, অনিয়ম এড়াতে এবং প্রশ্নফাঁস রোধে সার্বক্ষণিক চারটি ভিজিলেন্স টিম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট ও পুলিশ সদস্যরা মাঠে ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। তিনি কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি কক্ষ পর্যবেক্ষণ করেন এবং সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। পরে সেখান থেকে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক।

সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রসঙ্গ কথায় জেলা প্রশাসক বলেন, পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও অত্যন্ত মানসম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষার্র্থীরা সাবলীলভাবে তাদের প্রশ্নের উত্তর লিখতে পেরেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ সকল প্রকার অনিয়ম রোধে সার্বক্ষণিক কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলার ৩০টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা সুষ্ঠু সুন্দর নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। প্রতিটি কেন্দ্রে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছে। এডিসি, ইউএনওরা দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া উপজেলার ট্যাগ অফিসাররা দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা আশা করছি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাগুলো আমরা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করে সুষ্ঠু এবং নকলমুক্ত পরিবেশে চুয়াডাঙ্গার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সম্পন্ন করব।

আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গায় সুষ্ঠুভাবে প্রথম দিনের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল আলমডাঙ্গা সরকারি স্কুল কেন্দ্রের হলসুপার ইলিয়াস হোসেন ও কেন্দ্র সচিব প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান জানান, এসএসসি, ভোকেশনাল ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে চলছে। এই কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৯৪ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ২০৩ ও ছাত্রী ৩৯১ জন। অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ জন। ভোকেশনাল থেকে মোট পরিক্ষার্থী ১৮৪ জন। ছাত্র ১৬৫ ও ছাত্রী ১৯ জন। অনুপস্থিত ২ জন।

আলমডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব মনিরুজ্জামান ও হলসুপার আবুল কাশেম জানান, এই কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৭৯ জন, এর মধ্যে ছাত্র ২৪২ জন ও ছাত্রী ২৫৬ জন। অনুপস্থিত ছিল ৪ জন। সরকারি কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ৫১২ জন। ছাত্র ২৪৪ ও ছাত্রী ২৮৬ জন। অনুপস্থিত ১৬ জন। অন্যদিকে আলমডাঙ্গা সিদ্দিকিয়া আলিম মাদ্রাসায় মোট পরীক্ষার্থী ২১৭ জন। ছাত্র ১৩৮ ও ছাত্রী ৭৯ জন। অনুপস্থিত ২ জন। কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম জানান, এই কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও মুন্সিগঞ্জের দুটি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৬৬০ জন পরীক্ষার্থী ও হাটবোয়ালিয়া দুটি কেন্দ্র মোট ৬৬৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রনি আলম নূর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক সকল কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। উপজেলার মোট ৮টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৬৭৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ট্যাগ অফিসার সার্বক্ষণিক নিয়োগ দেওয়া ছিল।

জীবননগর:
জীবননগরে সুন্দর পরিবেশের মধ্যদিয়ে প্রথম দিনের এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় উপজেলার ৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর উপজেলা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২ হাজার ৯০ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা কেন্দ্রে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামান বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

জীবননগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জীবননগর উপজেলায় সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৫৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০১ জন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নিচ্ছে ৩৩০ জন পরীক্ষার্থী।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আমজাদ হোসেন বলেন, খুব সুন্দরভাবেই প্রথম দিনের এসএসসি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই। কেউ প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ালেও তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

আন্দুলবাড়ীয়া:
জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় দুটি কেন্দ্রে প্রথম দিনের এসএসসি সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তপূর্ণভাবে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা গেছে, আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮৭ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৬ জন। কোনো বহিস্কার নেই। কেন্দ্র সচিব ছিলেন আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী হোসেন। হল সুপারের দায়িত্ব পালন করেন আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আকিদুল ইসলাম। অপর দিকে, আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮৬ জন। অনুপস্থিতির সংখ্যা ছিল ৫ জন পরীক্ষার্থী। বহিস্কার নেই। হল সুপারের দায়িত্ব পালন করেন আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাফিয়া খাতুন। কেন্দ্র সচিব ছিলেন আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাইদুর রহমান।

মেহেরপুর:
মেহেরপুরে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় একযোগে শুরু হয় মাধ্যমিক বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা। করোনাকালীন সময়ের পরে এই প্রথম পূর্ণমানে পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই অভিভাবকদের সাথে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রগুলোর সামনে ভিড় করতে দেখা যায়। কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃংখলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শনে ৫ সদস্যের ভিজিলেন্স টিম গঠন করেছে জেলা প্রশাসক। এবার জেলায় মোট ২৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৮ হাজার ৯২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এসএসসি সাধারণ ৭৩৭৯ জন, দাখিল ৬৪২ জন এবং ভোকেশনাল বিভাগ থেকে ৯০৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।

পরীক্ষা শুরুর পর মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. আজিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লিউজা উল জান্নাহ, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেহেরপুর সদরের অতিরিক্ত দায়িত্ব সাজিয়া আক্তার সেতু, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্বাস উদ্দীনসহ কর্মকর্তারা পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেছেন। জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহে নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এসএসসি ও সমমানের প্রথম দিনের পরীক্ষা। জেলার ৬ উপজেলার ৫৪টি কেন্দ্রের মধ্যে এসএসসিতে ৩৬টি, দাখিলে ৯ এবং ভোকেশনালে ৯টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর জেলায় মোট ২৩ হাজার ৪৮০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা গ্রহণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পরীক্ষা শুরুর পর জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়ার জেরিন উপস্থিত ছিলেন। সে সময় জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে ৬টি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা পরীক্ষা গ্রহণ করেছি। কোনো প্রকার নকল ও প্রশ্নফাঁসের প্রশ্নই ওঠে না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

আপলোড টাইম : ০৭:৫৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে মোট ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন। গতকাল রোববার প্রথম দিন সকাল ১০টায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা। পরীক্ষা চলে বেলা একটা পর্যন্ত। এর আগে পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট পূর্বে কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

করোনাভাইরাস মহামারির আগে প্রতিবছর সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিকের পরীক্ষা শুরু হতো। কিন্তু গতবছর করোনাভাইরাস ও বন্যার কারণে সাত মাস পিছিয়ে পরীক্ষা শুরু হয় ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবছর পরীক্ষা এগিয়ে এপ্রিল মাসের শেষ দিন শুরু হলো। ২০২৩ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময় তিন ঘণ্টায়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের এসএসসি ও সমমানের প্রথম দিনের পরীক্ষা। গতকাল রোববার সারাদেশে একযোগে মাধ্যমিক বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জেলার কোনো পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা বা বহিষ্কারের খবর পাওয়া যায়নি। তবে জেলার চার উপজেলায় মোট ১৯৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল বলে জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখা সূত্রে জানা গেছে।

তথ্য মতে, প্রথম দিনের পরীক্ষায় জেলার মোট ১১ হাজার ৫৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মাঝে ১১ হাজার ৩৪৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। বাকি ১৯৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এর মধ্যে এসএসসি (সাধারণ) পরীক্ষায় মোট ৯ হাজার ১৬৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিতির সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ২৩ জন। অনুপস্থিত ১৪৪ জন। এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) মোট ১ হাজার ৩৭৬ জন পরীক্ষার্থীর মাঝে উপস্থিত ছিল ১ হাজার ৩৫৭ জন। অনুপস্থিত ১৯ জন। দাখিল পরীক্ষায় ৯৯৬ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিল ৯৬৩ জন। অনুপস্থিত ৩৩ জন।

এদিকে, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ছিল কড়া নিরাপত্তা। যে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা, অনিয়ম এড়াতে এবং প্রশ্নফাঁস রোধে সার্বক্ষণিক চারটি ভিজিলেন্স টিম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট ও পুলিশ সদস্যরা মাঠে ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। তিনি কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি কক্ষ পর্যবেক্ষণ করেন এবং সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। পরে সেখান থেকে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক।

সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রসঙ্গ কথায় জেলা প্রশাসক বলেন, পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও অত্যন্ত মানসম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষার্র্থীরা সাবলীলভাবে তাদের প্রশ্নের উত্তর লিখতে পেরেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ সকল প্রকার অনিয়ম রোধে সার্বক্ষণিক কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলার ৩০টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা সুষ্ঠু সুন্দর নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। প্রতিটি কেন্দ্রে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছে। এডিসি, ইউএনওরা দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া উপজেলার ট্যাগ অফিসাররা দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা আশা করছি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাগুলো আমরা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করে সুষ্ঠু এবং নকলমুক্ত পরিবেশে চুয়াডাঙ্গার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সম্পন্ন করব।

আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গায় সুষ্ঠুভাবে প্রথম দিনের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল আলমডাঙ্গা সরকারি স্কুল কেন্দ্রের হলসুপার ইলিয়াস হোসেন ও কেন্দ্র সচিব প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান জানান, এসএসসি, ভোকেশনাল ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে চলছে। এই কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৯৪ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ২০৩ ও ছাত্রী ৩৯১ জন। অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ জন। ভোকেশনাল থেকে মোট পরিক্ষার্থী ১৮৪ জন। ছাত্র ১৬৫ ও ছাত্রী ১৯ জন। অনুপস্থিত ২ জন।

আলমডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব মনিরুজ্জামান ও হলসুপার আবুল কাশেম জানান, এই কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৭৯ জন, এর মধ্যে ছাত্র ২৪২ জন ও ছাত্রী ২৫৬ জন। অনুপস্থিত ছিল ৪ জন। সরকারি কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ৫১২ জন। ছাত্র ২৪৪ ও ছাত্রী ২৮৬ জন। অনুপস্থিত ১৬ জন। অন্যদিকে আলমডাঙ্গা সিদ্দিকিয়া আলিম মাদ্রাসায় মোট পরীক্ষার্থী ২১৭ জন। ছাত্র ১৩৮ ও ছাত্রী ৭৯ জন। অনুপস্থিত ২ জন। কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম জানান, এই কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও মুন্সিগঞ্জের দুটি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৬৬০ জন পরীক্ষার্থী ও হাটবোয়ালিয়া দুটি কেন্দ্র মোট ৬৬৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রনি আলম নূর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক সকল কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। উপজেলার মোট ৮টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৬৭৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ট্যাগ অফিসার সার্বক্ষণিক নিয়োগ দেওয়া ছিল।

জীবননগর:
জীবননগরে সুন্দর পরিবেশের মধ্যদিয়ে প্রথম দিনের এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় উপজেলার ৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর উপজেলা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২ হাজার ৯০ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা কেন্দ্রে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামান বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

জীবননগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জীবননগর উপজেলায় সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৫৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০১ জন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নিচ্ছে ৩৩০ জন পরীক্ষার্থী।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আমজাদ হোসেন বলেন, খুব সুন্দরভাবেই প্রথম দিনের এসএসসি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই। কেউ প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ালেও তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

আন্দুলবাড়ীয়া:
জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় দুটি কেন্দ্রে প্রথম দিনের এসএসসি সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তপূর্ণভাবে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা গেছে, আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮৭ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৬ জন। কোনো বহিস্কার নেই। কেন্দ্র সচিব ছিলেন আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী হোসেন। হল সুপারের দায়িত্ব পালন করেন আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আকিদুল ইসলাম। অপর দিকে, আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮৬ জন। অনুপস্থিতির সংখ্যা ছিল ৫ জন পরীক্ষার্থী। বহিস্কার নেই। হল সুপারের দায়িত্ব পালন করেন আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাফিয়া খাতুন। কেন্দ্র সচিব ছিলেন আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাইদুর রহমান।

মেহেরপুর:
মেহেরপুরে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় একযোগে শুরু হয় মাধ্যমিক বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা। করোনাকালীন সময়ের পরে এই প্রথম পূর্ণমানে পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই অভিভাবকদের সাথে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রগুলোর সামনে ভিড় করতে দেখা যায়। কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃংখলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শনে ৫ সদস্যের ভিজিলেন্স টিম গঠন করেছে জেলা প্রশাসক। এবার জেলায় মোট ২৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৮ হাজার ৯২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এসএসসি সাধারণ ৭৩৭৯ জন, দাখিল ৬৪২ জন এবং ভোকেশনাল বিভাগ থেকে ৯০৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।

পরীক্ষা শুরুর পর মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. আজিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লিউজা উল জান্নাহ, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেহেরপুর সদরের অতিরিক্ত দায়িত্ব সাজিয়া আক্তার সেতু, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্বাস উদ্দীনসহ কর্মকর্তারা পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেছেন। জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহে নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এসএসসি ও সমমানের প্রথম দিনের পরীক্ষা। জেলার ৬ উপজেলার ৫৪টি কেন্দ্রের মধ্যে এসএসসিতে ৩৬টি, দাখিলে ৯ এবং ভোকেশনালে ৯টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর জেলায় মোট ২৩ হাজার ৪৮০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা গ্রহণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পরীক্ষা শুরুর পর জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়ার জেরিন উপস্থিত ছিলেন। সে সময় জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে ৬টি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা পরীক্ষা গ্রহণ করেছি। কোনো প্রকার নকল ও প্রশ্নফাঁসের প্রশ্নই ওঠে না।