ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ের থাবা, বজ্রপাতসহ শিলাবৃষ্টি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪০:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড়, বজ্রপাতসহ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে জেলাজুড়ে কালবৈশাখী ঝড়সহ শিলাবৃষ্টি হয়। এতে কৃষকের মাঠের ধানের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা:
বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪৩ কিলোমিটার। গতকাল শনিবার জেলায় ১১ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এই ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও গরম কমেনি। গতকাল চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বৃষ্টি থামার পর থেকেই গরমে ঘামছে শরীর।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় শনিবার ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সেইসঙ্গে বিকেল ৪টা ৫২ মিনিট থেকে ৫টা ১১ মিনিট পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড়সহ বৃষ্টিপাত হয়। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এদিকে, জেলার তিন উপজেলা চুয়াডাঙ্গা সদর, দামুড়হুদা ও জীবননগরের নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, কোনো উপজেলায় এই ঝড়ে তেমন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। আর আলমডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালন বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির কোনো খবর পাইনি। তারপরও থানাগুলোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। রাত থেকেই বাড়তি নিরাপত্তাসহ জনগণের ভোগান্তি নিরসনে কাজ করছে পুলিশ সদস্যরা।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, ‘এই ঝড়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় মৌসুমি ফসলের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। আমরা নিরূপণ করে জানাবো। তবে এই ঝড়ের অতটা তীব্রতা ছিল না।’ তিনি বলেন, ‘আজকের বৃষ্টিপাতের কারণে ধানের বীজতলা ও আমের জন্য বেশ ভালো হবে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে শুকিয়ে যাওয়া আমের বোটায় রস পাবে আর বীজতলাও রস পাবে।’

আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গায় বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের ফসলসহ আমবাগানের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলের দিকে হঠাৎ বজ্রপাত, ঝড়ো হাওয়া ও শীলাবৃষ্টিতে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নেই বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে মাঠে ধানকাটার মৌসুম চলছে, মাঠে কৃষকদের ধান পেকে গেছে। ঝড়ো হাওয়ার ঝাপটায় ধান গাছগুলো নুইয়ে পড়েছে। এতে ধান গাছ থেকে ধান মাটিতে পড়ে ধানের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ঝড়ো হাওয়ায় বিভিন্ন আমগাছের কাঁচা আম পড়ে গেছে। আলমডাঙ্গার কুমারী, জামজামি, ডাউকি, খাসকররা, জেহালা, নাগদা, হারদী, ভাংবাড়িয়া, বাড়াদীসহ উপজেলার সবগুলো ইউনিয়নেই কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির কথা জানা গেছে।
কুমারী ইউনিয়নন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিণ্টু বলেন, এই ইউনিয়নে কৃষকদের যেমন ক্ষতি হয়েছে, তেমন আম চাষীদেরও প্রচুর ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ডাউকী ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম জানান, ‘আমার ডাউকী ইউনিয়নে চাষী ভাইদের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’ জামজামিতে আম চাষীসহ কৃষকদের একই অবস্থা হয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। বাড়াদী ইউনিয়নেও একই অবস্থা। কালিদাশপুরের চেয়ারম্যান আসাদুল হক মিকা জানান, ‘আমার ইউনিয়নে কৃষকদের ধান ঘরে তুলতে পারেনি, যে কারণে তাদের প্রচুর ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে।’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হবে।


দামুড়হুদা:
দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের ভগিরতপুরে বজ্রপাতে মিনারুল (৬৫) নামের এক ধানকাটা শ্রমিক আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে ভগিরতপুর গ্রামের কুবরাডোবার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। মিনারুল নতিপোতা ইউনিয়নের ভগিরতপুর গ্রামের ব্রিজপাড়ার বুদো বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মিনারুল পেশায় শ্রমিক। তিনি ভগিরতপুর গ্রামের কুবরাডোবার মাঠে একই গ্রামের আলমের ছেলে বখতিয়ারের ধান কাটার কাজ করছিলেন। এসময় বজ্রপাতের শব্দে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর জাহান খাতুন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখেন।

কার্পাসডাঙ্গা:
দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গার বয়রা মাঠে বজ্রপাতে কৃষকের ধান পুড়ে গেছে। গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বয়রা গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে কৃষক হায়দার আলী ১০ কাঠা জমির ধান দুপুরে গুছিয়ে গাদা দিয়ে রাখেছিলেন। বিকেলে বজ্রপাতে তার ধানের গাদায় আগুন লেগে সব ধান পুড়ে যায়। হায়দার আলী বলেন, ‘বয়রা মাঠে ১০ কাঠা জমি মিয়াদী নিয়ে ধানের চাষ করেছিলাম। ধান গুছিয়ে গাদা দিয়ে বাড়িতে আসার কিছুক্ষণ পর লোক মারফতে জানতে পারি বজ্রপাত আমার ধানের গাদায় আগুন লেগে গেছে। পরে আমি গিয়ে দেখি ধানের গাদা জ্বলছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ের থাবা, বজ্রপাতসহ শিলাবৃষ্টি

আপলোড টাইম : ০৯:৪০:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড়, বজ্রপাতসহ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে জেলাজুড়ে কালবৈশাখী ঝড়সহ শিলাবৃষ্টি হয়। এতে কৃষকের মাঠের ধানের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা:
বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪৩ কিলোমিটার। গতকাল শনিবার জেলায় ১১ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এই ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও গরম কমেনি। গতকাল চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বৃষ্টি থামার পর থেকেই গরমে ঘামছে শরীর।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় শনিবার ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সেইসঙ্গে বিকেল ৪টা ৫২ মিনিট থেকে ৫টা ১১ মিনিট পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড়সহ বৃষ্টিপাত হয়। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এদিকে, জেলার তিন উপজেলা চুয়াডাঙ্গা সদর, দামুড়হুদা ও জীবননগরের নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, কোনো উপজেলায় এই ঝড়ে তেমন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। আর আলমডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালন বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির কোনো খবর পাইনি। তারপরও থানাগুলোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। রাত থেকেই বাড়তি নিরাপত্তাসহ জনগণের ভোগান্তি নিরসনে কাজ করছে পুলিশ সদস্যরা।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, ‘এই ঝড়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় মৌসুমি ফসলের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। আমরা নিরূপণ করে জানাবো। তবে এই ঝড়ের অতটা তীব্রতা ছিল না।’ তিনি বলেন, ‘আজকের বৃষ্টিপাতের কারণে ধানের বীজতলা ও আমের জন্য বেশ ভালো হবে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে শুকিয়ে যাওয়া আমের বোটায় রস পাবে আর বীজতলাও রস পাবে।’

আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গায় বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের ফসলসহ আমবাগানের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলের দিকে হঠাৎ বজ্রপাত, ঝড়ো হাওয়া ও শীলাবৃষ্টিতে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নেই বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে মাঠে ধানকাটার মৌসুম চলছে, মাঠে কৃষকদের ধান পেকে গেছে। ঝড়ো হাওয়ার ঝাপটায় ধান গাছগুলো নুইয়ে পড়েছে। এতে ধান গাছ থেকে ধান মাটিতে পড়ে ধানের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ঝড়ো হাওয়ায় বিভিন্ন আমগাছের কাঁচা আম পড়ে গেছে। আলমডাঙ্গার কুমারী, জামজামি, ডাউকি, খাসকররা, জেহালা, নাগদা, হারদী, ভাংবাড়িয়া, বাড়াদীসহ উপজেলার সবগুলো ইউনিয়নেই কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির কথা জানা গেছে।
কুমারী ইউনিয়নন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিণ্টু বলেন, এই ইউনিয়নে কৃষকদের যেমন ক্ষতি হয়েছে, তেমন আম চাষীদেরও প্রচুর ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ডাউকী ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম জানান, ‘আমার ডাউকী ইউনিয়নে চাষী ভাইদের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’ জামজামিতে আম চাষীসহ কৃষকদের একই অবস্থা হয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। বাড়াদী ইউনিয়নেও একই অবস্থা। কালিদাশপুরের চেয়ারম্যান আসাদুল হক মিকা জানান, ‘আমার ইউনিয়নে কৃষকদের ধান ঘরে তুলতে পারেনি, যে কারণে তাদের প্রচুর ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে।’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হবে।


দামুড়হুদা:
দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের ভগিরতপুরে বজ্রপাতে মিনারুল (৬৫) নামের এক ধানকাটা শ্রমিক আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে ভগিরতপুর গ্রামের কুবরাডোবার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। মিনারুল নতিপোতা ইউনিয়নের ভগিরতপুর গ্রামের ব্রিজপাড়ার বুদো বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মিনারুল পেশায় শ্রমিক। তিনি ভগিরতপুর গ্রামের কুবরাডোবার মাঠে একই গ্রামের আলমের ছেলে বখতিয়ারের ধান কাটার কাজ করছিলেন। এসময় বজ্রপাতের শব্দে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর জাহান খাতুন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখেন।

কার্পাসডাঙ্গা:
দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গার বয়রা মাঠে বজ্রপাতে কৃষকের ধান পুড়ে গেছে। গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বয়রা গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে কৃষক হায়দার আলী ১০ কাঠা জমির ধান দুপুরে গুছিয়ে গাদা দিয়ে রাখেছিলেন। বিকেলে বজ্রপাতে তার ধানের গাদায় আগুন লেগে সব ধান পুড়ে যায়। হায়দার আলী বলেন, ‘বয়রা মাঠে ১০ কাঠা জমি মিয়াদী নিয়ে ধানের চাষ করেছিলাম। ধান গুছিয়ে গাদা দিয়ে বাড়িতে আসার কিছুক্ষণ পর লোক মারফতে জানতে পারি বজ্রপাত আমার ধানের গাদায় আগুন লেগে গেছে। পরে আমি গিয়ে দেখি ধানের গাদা জ্বলছে।’