ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে বিয়ের আসরে নবদম্পত্তির প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
বিয়ের আসরে প্ল্যাকার্ড হাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও সহকর্মীর মুক্তি দাবি করে দেশব্যাপী আলোচনায় উঠে এসেছেন ঝিনাইদহের নবদম্পতি মাহমুদুল ও সুমাইয়া। তাঁদের এই অভিনব প্রতিবাদ এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে। অনেকেই বিয়ের আসরে তাঁদের এই ব্যতিক্রম প্রতিবাদকে সাধুবাদ জানিয়েছে। এ নিয়ে ফেসবুকে চলছে আলোচনা।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক। সুমাইয়া আফরিন একই উপজেলার গান্না ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে। তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গত মঙ্গলবার ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকার প্রফেসর কমিউনিটি সেন্টারে তাঁদের বিয়ে হয়।

বিয়ের আসরেই নবদম্পতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। মাহমুদুলের হাতে ‘ফ্রি খাদিজা’ ও সুমাইয়ার হাতে ‘অ্যাবলিশ ডিএসএ’ লেখা প্ল্যাকার্ড শোভা পায়। বিয়ের আসরে নবদম্পতির সহকর্মীরাও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে সেদিন স্লোগান দেন। জানা গেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে আছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী খাদিজাতুল ইসলাম কুবরা। তাঁর মুক্তির জন্যই মূলত বিয়ের আসরে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ান মাহমুদুল। অন্যদিকে নববধূ সুমাইয়ার হাতে ছিল ‘অ্যাবলিশ ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ)’ লেখা প্ল্যাকার্ড।

এ বিষয়ে মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘৮ মাসের বেশি কারাবন্দী আমার রাজনৈতিক সহকর্মী খাদিজা। তিনি কারাগারে কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। অনেক চেষ্টা করেও তাঁর জামিন হয়নি। তাই প্রতিবাদ হিসেবে আমরা বিয়ের আসরকে বেছে নিয়েছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে বিয়ের আসরে নবদম্পত্তির প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড

আপলোড টাইম : ০৯:১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
বিয়ের আসরে প্ল্যাকার্ড হাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও সহকর্মীর মুক্তি দাবি করে দেশব্যাপী আলোচনায় উঠে এসেছেন ঝিনাইদহের নবদম্পতি মাহমুদুল ও সুমাইয়া। তাঁদের এই অভিনব প্রতিবাদ এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে। অনেকেই বিয়ের আসরে তাঁদের এই ব্যতিক্রম প্রতিবাদকে সাধুবাদ জানিয়েছে। এ নিয়ে ফেসবুকে চলছে আলোচনা।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক। সুমাইয়া আফরিন একই উপজেলার গান্না ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে। তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গত মঙ্গলবার ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকার প্রফেসর কমিউনিটি সেন্টারে তাঁদের বিয়ে হয়।

বিয়ের আসরেই নবদম্পতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। মাহমুদুলের হাতে ‘ফ্রি খাদিজা’ ও সুমাইয়ার হাতে ‘অ্যাবলিশ ডিএসএ’ লেখা প্ল্যাকার্ড শোভা পায়। বিয়ের আসরে নবদম্পতির সহকর্মীরাও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে সেদিন স্লোগান দেন। জানা গেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে আছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী খাদিজাতুল ইসলাম কুবরা। তাঁর মুক্তির জন্যই মূলত বিয়ের আসরে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ান মাহমুদুল। অন্যদিকে নববধূ সুমাইয়ার হাতে ছিল ‘অ্যাবলিশ ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ)’ লেখা প্ল্যাকার্ড।

এ বিষয়ে মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘৮ মাসের বেশি কারাবন্দী আমার রাজনৈতিক সহকর্মী খাদিজা। তিনি কারাগারে কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। অনেক চেষ্টা করেও তাঁর জামিন হয়নি। তাই প্রতিবাদ হিসেবে আমরা বিয়ের আসরকে বেছে নিয়েছি।’