ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালাইপুর বাজারে ছুরিকাঘাতে নিহত দুজনের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫০:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুরে বন্ধুর মায়ের অপমানের বদলা নিতে গিয়ে সজল আলী ও মামুন অর রশিদ খুনের ঘটনায় করা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে সদর উপজেলার হুচুকপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর পূর্বে নিহত মামুন অর রশিদের বড় ভাই স্বপন আলী সদর থানায় মামলা করেছেন (মামলা নম্বর ১৯, তারিখ ২৬/০৪/২০২৩)। মামলায় হুচুকপাড়ার আলাউদ্দিনের ছেলে আকাশ আলীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার হুচুকপাড়ার খবির উদ্দিনের ছেলে মিঠু মিয়া (২০) ও একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মানিক মিয়া (২২)। এদিকে, গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে সজল আলী ও মামুন অর রশিদের লাশের দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম জানান, ‘হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিনের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ড নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছে। দুপুরের পর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, ‘হত্যার ঘটনার পর থেকেই আমাদের অভিযান অব্যহত ছিল। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও তথ্য অনুসন্ধানের পর আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেপ্তারকৃত দুজনই হত্যা ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’

অপর দিকে, ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বেলা তিনটার দিকে নিহত দুই যুবকের লাশ তাদের নিজ গ্রাম কয়রাডাঙ্গায় নেওয়া হয়। বাদ মাগরিব কয়রাডাঙ্গা গ্রামের ফুটবল মাঠে তাদের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে দুজনকে পাশাপাশি দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার ভালাইপুর মোড়ের একটি কাপড়ের দোকানে দর কষাকষি নিয়ে নিয়ে ছামেনা বেগম নামের এক নারীর সঙ্গে দোকান কর্মচারী রিয়নের বাগবিতণ্ডা হয়। বাড়ি ফিরে ছামেনা বেগম ঘটনাটি তার ছেলে টিপুকে জানায়। সন্ধ্যায় টিপু, তার বন্ধু সজল আলী ও মামুন অর রশিদসহ বেশ কয়েকজন ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে ওই দোকানে যায়। সে সময় রিয়ন দোকানে না থাকায় রিয়নকে মোটরসাইকেলেযোগে তুলে নিয়ে ভালাইপুর মোড়ে আসে সজল, মামুনসহ তাদের বন্ধুরা। মোড়ে পৌঁছালে স্থানীয়রা মোটরসাইকেলের পথ রোধ করলে দুই পক্ষের ৪০ থেকে ৫০ জন ঘটনাস্থলে জড় হয়। এরই মধ্যে সুযোগ বুঝে সজল ও মামুনকে ছুরিকাঘাতে জখম করা হয়। এসময় তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপতালে নিলে দুজনেরই মৃত্যু হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ভালাইপুর বাজারে ছুরিকাঘাতে নিহত দুজনের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন

আপলোড টাইম : ০৭:৫০:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুরে বন্ধুর মায়ের অপমানের বদলা নিতে গিয়ে সজল আলী ও মামুন অর রশিদ খুনের ঘটনায় করা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে সদর উপজেলার হুচুকপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর পূর্বে নিহত মামুন অর রশিদের বড় ভাই স্বপন আলী সদর থানায় মামলা করেছেন (মামলা নম্বর ১৯, তারিখ ২৬/০৪/২০২৩)। মামলায় হুচুকপাড়ার আলাউদ্দিনের ছেলে আকাশ আলীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার হুচুকপাড়ার খবির উদ্দিনের ছেলে মিঠু মিয়া (২০) ও একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মানিক মিয়া (২২)। এদিকে, গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে সজল আলী ও মামুন অর রশিদের লাশের দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম জানান, ‘হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিনের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ড নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছে। দুপুরের পর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, ‘হত্যার ঘটনার পর থেকেই আমাদের অভিযান অব্যহত ছিল। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও তথ্য অনুসন্ধানের পর আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেপ্তারকৃত দুজনই হত্যা ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’

অপর দিকে, ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বেলা তিনটার দিকে নিহত দুই যুবকের লাশ তাদের নিজ গ্রাম কয়রাডাঙ্গায় নেওয়া হয়। বাদ মাগরিব কয়রাডাঙ্গা গ্রামের ফুটবল মাঠে তাদের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে দুজনকে পাশাপাশি দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার ভালাইপুর মোড়ের একটি কাপড়ের দোকানে দর কষাকষি নিয়ে নিয়ে ছামেনা বেগম নামের এক নারীর সঙ্গে দোকান কর্মচারী রিয়নের বাগবিতণ্ডা হয়। বাড়ি ফিরে ছামেনা বেগম ঘটনাটি তার ছেলে টিপুকে জানায়। সন্ধ্যায় টিপু, তার বন্ধু সজল আলী ও মামুন অর রশিদসহ বেশ কয়েকজন ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে ওই দোকানে যায়। সে সময় রিয়ন দোকানে না থাকায় রিয়নকে মোটরসাইকেলেযোগে তুলে নিয়ে ভালাইপুর মোড়ে আসে সজল, মামুনসহ তাদের বন্ধুরা। মোড়ে পৌঁছালে স্থানীয়রা মোটরসাইকেলের পথ রোধ করলে দুই পক্ষের ৪০ থেকে ৫০ জন ঘটনাস্থলে জড় হয়। এরই মধ্যে সুযোগ বুঝে সজল ও মামুনকে ছুরিকাঘাতে জখম করা হয়। এসময় তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপতালে নিলে দুজনেরই মৃত্যু হয়।