ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুজিবনগরে অপরিপক্ক আম পাড়ার হিড়িক!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৪০:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৩৪ বার পড়া হয়েছে

Exif_JPEG_420

সমীকরণ প্রতিবেদক:
রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জকে ছাড়িয়ে গত কয়েক বছর ধরে আমের নতুন রাজধানী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুর। এ অঞ্চলের আম সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে আম সংগ্রহের নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই তা পাড়া শুরু করেছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। থেমে নেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননের আম পাড়াও। ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননের ১ হাজার ১ শ টি আমগাছের আম অপরিপক্ক হলেও তা পেড়ে বাজারজাত অব্যাহত রেখেছেন ইজারাদার মেহেরপুর শহরের মাইনুল ইসলাম।

গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মুজিবনগর আম্রকাননে এমন দৃশ্যই চোখে মিলেছে। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল সরেজমিনে গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত হন মুজিবনগর আম্রকাননে। ইজারাদার মাইনুল ইসলামের উপস্থিতিতেই মেহেরপুর তহবাজারের একজন ব্যবসায়ী, গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর ও বামুন্দীসহ কয়েকটি এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যস্ত ছিলেন আমপাড়ায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কয়েকটি দলে ৩৫ ক্যারেট আম পাড়ার তথ্য পাওয়া গেলেও একটি স্থানে ৯ ক্যারেট আম পাওয়া যায়। অপরিপক্ক আমপাড়া নিষিদ্ধ এবং জেলা প্রশাসনের দেওয়া সময়ে আম পাড়ার নিয়ম থাকলেও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আম কেন পাড়া হচ্ছে, এমন প্রশ্ন করা হলে ইজারাদার প্রথমে কোনো সদুত্তর না দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করতে থাকেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেন, অপরিপক্ক আম অনুমতিবিহীন পাড়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময়ে পাড়তে হবে। বিষয়টির খোঁজ নিতে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। পরবর্তীতে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রণী খাতুন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় ইজারাদার ও আম ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কথা শুনে দ্রুত মোটরসাইকেল ও আলমসাধু নিয়ে এলাকা ত্যাগ করেন।

ইজারাদার মাইনুল ইসলাম জানান, অপরিপক্ক আম পাড়ায় জেলা প্রশাসনের অনুমতি না নিলেও এসব আম টক ও কাঁচা হিসেবে আচার তৈরিতে বাজারজাত করা হচ্ছে। তিনি প্রশাসনের অনুমতি নিতে যাচ্ছেন বলেও জানান। ততক্ষণে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাগান ইজারা নেওয়া মাইনুলকে ডেকে পাঠান এবং অপরিপক্ক আম না পাড়ার জন্য নির্দেশনা দেন। একইসাথে যেসব আম পাড়া হয়েছে, তা কাঁচা আম হিসেবেই বাজারজাত করার জন্য বলেন এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আম না পাড়ার জন্য নির্দেশনা দেন। এসময় অপরিপক্ক আম পেড়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে কেমিক্যাল মিশিয়ে তা পাকা আম হিসেবে বাজারজাত না করে, সে জন্য সাংবাদিকদের সজাগ থাকার জন্য আহ্বান জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মুজিবনগরে অপরিপক্ক আম পাড়ার হিড়িক!

আপলোড টাইম : ০৭:৪০:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জকে ছাড়িয়ে গত কয়েক বছর ধরে আমের নতুন রাজধানী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুর। এ অঞ্চলের আম সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে আম সংগ্রহের নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই তা পাড়া শুরু করেছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। থেমে নেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননের আম পাড়াও। ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননের ১ হাজার ১ শ টি আমগাছের আম অপরিপক্ক হলেও তা পেড়ে বাজারজাত অব্যাহত রেখেছেন ইজারাদার মেহেরপুর শহরের মাইনুল ইসলাম।

গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মুজিবনগর আম্রকাননে এমন দৃশ্যই চোখে মিলেছে। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল সরেজমিনে গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত হন মুজিবনগর আম্রকাননে। ইজারাদার মাইনুল ইসলামের উপস্থিতিতেই মেহেরপুর তহবাজারের একজন ব্যবসায়ী, গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর ও বামুন্দীসহ কয়েকটি এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যস্ত ছিলেন আমপাড়ায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কয়েকটি দলে ৩৫ ক্যারেট আম পাড়ার তথ্য পাওয়া গেলেও একটি স্থানে ৯ ক্যারেট আম পাওয়া যায়। অপরিপক্ক আমপাড়া নিষিদ্ধ এবং জেলা প্রশাসনের দেওয়া সময়ে আম পাড়ার নিয়ম থাকলেও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আম কেন পাড়া হচ্ছে, এমন প্রশ্ন করা হলে ইজারাদার প্রথমে কোনো সদুত্তর না দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করতে থাকেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেন, অপরিপক্ক আম অনুমতিবিহীন পাড়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময়ে পাড়তে হবে। বিষয়টির খোঁজ নিতে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। পরবর্তীতে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রণী খাতুন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় ইজারাদার ও আম ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কথা শুনে দ্রুত মোটরসাইকেল ও আলমসাধু নিয়ে এলাকা ত্যাগ করেন।

ইজারাদার মাইনুল ইসলাম জানান, অপরিপক্ক আম পাড়ায় জেলা প্রশাসনের অনুমতি না নিলেও এসব আম টক ও কাঁচা হিসেবে আচার তৈরিতে বাজারজাত করা হচ্ছে। তিনি প্রশাসনের অনুমতি নিতে যাচ্ছেন বলেও জানান। ততক্ষণে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাগান ইজারা নেওয়া মাইনুলকে ডেকে পাঠান এবং অপরিপক্ক আম না পাড়ার জন্য নির্দেশনা দেন। একইসাথে যেসব আম পাড়া হয়েছে, তা কাঁচা আম হিসেবেই বাজারজাত করার জন্য বলেন এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আম না পাড়ার জন্য নির্দেশনা দেন। এসময় অপরিপক্ক আম পেড়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে কেমিক্যাল মিশিয়ে তা পাকা আম হিসেবে বাজারজাত না করে, সে জন্য সাংবাদিকদের সজাগ থাকার জন্য আহ্বান জানান।