ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদায় মাদক কারবারিকে গলাকেটে হত্যা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থেকে কিতাব আলী (৪৮) নামের এক মাদক কারবারির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। কিতাব আলী জীবননগর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি বিয়ের পর থেকেই কাদিপুরে শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন।

পুলিশ বলছে, গতকাল কাদিপুর গ্রামের মাঠে কিতাবের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাদের জানায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার অধিকতর তদন্তে কাজ করছে ঝিনাইদহ সিআইডি পুলিশের ক্রাইমসিন ইউনিট, ঝিনাইদহ পিবিআই পুলিশসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একাধিক দল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদক কারবারের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।


কিতাব আলীর স্ত্রী রাবেয়া খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার স্বামী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। রাত ৮টার দিকে বাড়িতে এসে পাখিভ্যানের চাবি রেখে গ্রামের সাহাব উদ্দীনের চায়ের দোকানে যাচ্ছি বলে বের হয়। কিন্তু রাতে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। আজ সকালে গ্রামের মানুষের কাছে জানতে পারি আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কিতাব আলী তার শ্বশুরবাড়ি কাদিপুরে ঘরজামাই থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ও তার স্ত্রী মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক আইনে মামলা রয়েছে।’ ওসি আরও বলেন, ‘মরদেহের পাশ থেকে দুই পুরিয়া গাঁজা ও সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদকের পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’ চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক বলেন, খোলা মাঠের মধ্যে হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কিতাব আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ, ডিবি, র‌্যাব, সিআইডি এবং পিআইবি ঘটনার তদন্তে মাঠে কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদায় মাদক কারবারিকে গলাকেটে হত্যা

আপলোড টাইম : ০৪:২৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থেকে কিতাব আলী (৪৮) নামের এক মাদক কারবারির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। কিতাব আলী জীবননগর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি বিয়ের পর থেকেই কাদিপুরে শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন।

পুলিশ বলছে, গতকাল কাদিপুর গ্রামের মাঠে কিতাবের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাদের জানায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার অধিকতর তদন্তে কাজ করছে ঝিনাইদহ সিআইডি পুলিশের ক্রাইমসিন ইউনিট, ঝিনাইদহ পিবিআই পুলিশসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একাধিক দল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদক কারবারের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।


কিতাব আলীর স্ত্রী রাবেয়া খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার স্বামী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। রাত ৮টার দিকে বাড়িতে এসে পাখিভ্যানের চাবি রেখে গ্রামের সাহাব উদ্দীনের চায়ের দোকানে যাচ্ছি বলে বের হয়। কিন্তু রাতে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। আজ সকালে গ্রামের মানুষের কাছে জানতে পারি আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কিতাব আলী তার শ্বশুরবাড়ি কাদিপুরে ঘরজামাই থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ও তার স্ত্রী মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক আইনে মামলা রয়েছে।’ ওসি আরও বলেন, ‘মরদেহের পাশ থেকে দুই পুরিয়া গাঁজা ও সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদকের পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’ চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক বলেন, খোলা মাঠের মধ্যে হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কিতাব আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ, ডিবি, র‌্যাব, সিআইডি এবং পিআইবি ঘটনার তদন্তে মাঠে কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।