ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে ইসতিসকার নামাজ আদায়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৪৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:

অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে ইসতিসকার নামাজ (বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ) ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন ইমাম ও মুসল্লিরা।

চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গায় বইছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষায় আল্লাহর রহমত লাভের জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় ও বিশেষ মোনাজাত করেছেন চুয়াডাঙ্গার ধর্মপ্রাণ মানুষ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে জেলা ওলামা পরিষদের আয়োজনে এই নামাজ আদায় করা হয়। নামাজে ইমামতি করেন জেলা ওলামা পরিষদের সহসভাপতি মুফতি আব্দুর রাজ্জাক। নামাজে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি জুনায়েদ আল হাবিবি, সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল কাশেমী, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা মামুনুর রশিদ, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা আব্দুর রহমান, মুফতি আজিজুল্লাহ, মাওলানা রেজাউল করিম প্রমুখ। নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা বলেন, কিছুদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপদাহ চলছে। বৃষ্টি না হওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড তাপদাহ, অনাবৃষ্টির কারণে গাছ থেকে আম ঝরে যাচ্ছে। সেচ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। তাই বৃষ্টির জন্য আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ পড়ে দোয়া করা হয়েছে।

জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি জুনায়েদ আল হাবিবি বলেন, গরমের তীব্রতা চরমে পৌঁছেছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (সা.) বৃষ্টি প্রার্থনা করে সাহাবিদের নিয়ে ইসতিসকার সালাত আদায় করতেন। বর্তমান অনাবৃষ্টির সময়ে প্রিয়নবী (সা.)-এর সুন্নতটি পুনরুজ্জীবিত হওয়া সময়ের দাবি। তিনি আরও বলেন, আল্লাহই একমাত্র বৃষ্টি দেওয়ার মালিক। তার কাছেই আমরা বৃষ্টি চেয়ে নতজানু হয়েছি। বিশেষ মোনাজাতে প্রার্থনা করেছি।

উল্লেখ্য, তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে জেলার জনজীবনসহ প্রাণিকূল অতিষ্ঠ। এই গরম ব্যাঘাত ঘটিয়েছে চুয়াডাঙ্গার মানুষের জীবনযাত্রায়। তীব্র গরমে এদের জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। চুয়াডাঙ্গা হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, এপ্রিলের শুরু থেকেই চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। ২ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল রোববার পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ২ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ১৫ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিনও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। সোমবার বিকেল তিনটায় চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

আলমডাঙ্গা:

প্রচণ্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি পেতে আলমডাঙ্গায় মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। গতকাল আলমডাঙ্গা দারুস সালাম ঈদগাহ মাঠে আল্লাহর রহমত কামনা করে দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় শেষে মোনাজাত করা হয়। নামাজে ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন আলমডাঙ্গা মডেল মসজিদের ইমাম মাওলানা মাসুদ কামাল। নামাজে অংশ নেন ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, আলমডাঙ্গা অগ্রণী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম, সরকারি কলেজের প্রভাষক গোলাম মোস্তফা, জিয়াউর রহমান, পৌর কাউন্সিলর খন্দকার মুজিবুল ইসলাম, মুফতি মেহেদী হাসান, হাফেজ আকরামুল হোসেনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। নামাজ শেষে সকলের গুনাহ মাফের জন্য এবং চলমান দাবদাহ কমিয়ে সুন্দর আবহাওয়ার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দুই হাত তুলে একান্ত চিত্তে দোয়া করা হয়।

ঝিনাইদহ:

তাপদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। কমছেই না তাপমাত্রার পারদ। উল্টো দিন দিন বাড়ছে গরম আর তাপদাহ। একফোঁটা বৃষ্টির আশায় প্রহর গুনছে মানুষ। এ অবস্থায় বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ঝিনাইদহের মুসল্লিরা। গতকাল মঙ্গলার সকালে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল মাঠে জেলা ইমাম পরিষদের আয়োজনে নামাজ আদায় করা হয়। এতে শহরের বিভিন্ন এলাকার কয়েকশ’ মুসল্লি অংশ নেয়। নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লি ইসলাম মিয়া জানান, সারাদেশ খরায় পুড়ছে। আল্লাহ ছাড়া আমাদের রক্ষা করার কেউ নেই। তাই এ নামায আদায় করলাম। আরেক মুসল্লি রহমান মোল্লা জানান, সৃষ্টিকর্তা কঠিন পরীক্ষা নিচ্ছেন আমাদের। তিনিই মুক্তির পথ দেখাবেন ইনশাআল্লাহ।

নামাজের ইমামতি করেন শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব শায়েখ মোহাম্মদ সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের পাপ থেকে মুক্তি চেয়েছি খোদার কাছে। নবী করিম (সা.) খোদাতায়ালার কাছে এ বিশেষ নামাজের মাধ্যমে মুক্তি চেয়েছেন। আল্লাহর রহমত চেয়েছেন। তার কাছে পানা চেয়েছেন। ইনশাআল্লাহ আমরা তার রহমত পাবো।’ তিনি আরও বলেন, রাসুল (সা.) এই নামাজের সময় তার দুই হাত উঠিয়ে মোনাজাত করতেন। তার মানে তিনি পরিস্থিতির পরিবর্তন চাচ্ছেন। আমরাও উনার মতো করে করার চেষ্টা করেছি। নামাজ শেষে বৃষ্টির আশায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে ইসতিসকার নামাজ আদায়

আপলোড টাইম : ০২:৪৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:

অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে ইসতিসকার নামাজ (বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ) ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন ইমাম ও মুসল্লিরা।

চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গায় বইছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষায় আল্লাহর রহমত লাভের জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় ও বিশেষ মোনাজাত করেছেন চুয়াডাঙ্গার ধর্মপ্রাণ মানুষ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে জেলা ওলামা পরিষদের আয়োজনে এই নামাজ আদায় করা হয়। নামাজে ইমামতি করেন জেলা ওলামা পরিষদের সহসভাপতি মুফতি আব্দুর রাজ্জাক। নামাজে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি জুনায়েদ আল হাবিবি, সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল কাশেমী, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা মামুনুর রশিদ, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা আব্দুর রহমান, মুফতি আজিজুল্লাহ, মাওলানা রেজাউল করিম প্রমুখ। নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা বলেন, কিছুদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপদাহ চলছে। বৃষ্টি না হওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড তাপদাহ, অনাবৃষ্টির কারণে গাছ থেকে আম ঝরে যাচ্ছে। সেচ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। তাই বৃষ্টির জন্য আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ পড়ে দোয়া করা হয়েছে।

জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি জুনায়েদ আল হাবিবি বলেন, গরমের তীব্রতা চরমে পৌঁছেছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (সা.) বৃষ্টি প্রার্থনা করে সাহাবিদের নিয়ে ইসতিসকার সালাত আদায় করতেন। বর্তমান অনাবৃষ্টির সময়ে প্রিয়নবী (সা.)-এর সুন্নতটি পুনরুজ্জীবিত হওয়া সময়ের দাবি। তিনি আরও বলেন, আল্লাহই একমাত্র বৃষ্টি দেওয়ার মালিক। তার কাছেই আমরা বৃষ্টি চেয়ে নতজানু হয়েছি। বিশেষ মোনাজাতে প্রার্থনা করেছি।

উল্লেখ্য, তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে জেলার জনজীবনসহ প্রাণিকূল অতিষ্ঠ। এই গরম ব্যাঘাত ঘটিয়েছে চুয়াডাঙ্গার মানুষের জীবনযাত্রায়। তীব্র গরমে এদের জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। চুয়াডাঙ্গা হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, এপ্রিলের শুরু থেকেই চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। ২ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল রোববার পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ২ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ১৫ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিনও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। সোমবার বিকেল তিনটায় চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

আলমডাঙ্গা:

প্রচণ্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি পেতে আলমডাঙ্গায় মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। গতকাল আলমডাঙ্গা দারুস সালাম ঈদগাহ মাঠে আল্লাহর রহমত কামনা করে দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় শেষে মোনাজাত করা হয়। নামাজে ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন আলমডাঙ্গা মডেল মসজিদের ইমাম মাওলানা মাসুদ কামাল। নামাজে অংশ নেন ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, আলমডাঙ্গা অগ্রণী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম, সরকারি কলেজের প্রভাষক গোলাম মোস্তফা, জিয়াউর রহমান, পৌর কাউন্সিলর খন্দকার মুজিবুল ইসলাম, মুফতি মেহেদী হাসান, হাফেজ আকরামুল হোসেনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। নামাজ শেষে সকলের গুনাহ মাফের জন্য এবং চলমান দাবদাহ কমিয়ে সুন্দর আবহাওয়ার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দুই হাত তুলে একান্ত চিত্তে দোয়া করা হয়।

ঝিনাইদহ:

তাপদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। কমছেই না তাপমাত্রার পারদ। উল্টো দিন দিন বাড়ছে গরম আর তাপদাহ। একফোঁটা বৃষ্টির আশায় প্রহর গুনছে মানুষ। এ অবস্থায় বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ঝিনাইদহের মুসল্লিরা। গতকাল মঙ্গলার সকালে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল মাঠে জেলা ইমাম পরিষদের আয়োজনে নামাজ আদায় করা হয়। এতে শহরের বিভিন্ন এলাকার কয়েকশ’ মুসল্লি অংশ নেয়। নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লি ইসলাম মিয়া জানান, সারাদেশ খরায় পুড়ছে। আল্লাহ ছাড়া আমাদের রক্ষা করার কেউ নেই। তাই এ নামায আদায় করলাম। আরেক মুসল্লি রহমান মোল্লা জানান, সৃষ্টিকর্তা কঠিন পরীক্ষা নিচ্ছেন আমাদের। তিনিই মুক্তির পথ দেখাবেন ইনশাআল্লাহ।

নামাজের ইমামতি করেন শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব শায়েখ মোহাম্মদ সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের পাপ থেকে মুক্তি চেয়েছি খোদার কাছে। নবী করিম (সা.) খোদাতায়ালার কাছে এ বিশেষ নামাজের মাধ্যমে মুক্তি চেয়েছেন। আল্লাহর রহমত চেয়েছেন। তার কাছে পানা চেয়েছেন। ইনশাআল্লাহ আমরা তার রহমত পাবো।’ তিনি আরও বলেন, রাসুল (সা.) এই নামাজের সময় তার দুই হাত উঠিয়ে মোনাজাত করতেন। তার মানে তিনি পরিস্থিতির পরিবর্তন চাচ্ছেন। আমরাও উনার মতো করে করার চেষ্টা করেছি। নামাজ শেষে বৃষ্টির আশায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।’