ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিঙ্গাপুরে বাংলা নতুন বর্ষবরণে বর্ণাঢ্য উৎসব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিঙ্গাপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষকে বরণ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার প্রথম দিন নববর্ষকে বরণ উপলক্ষে সিঙ্গাপুরের আঙ্গুলিয়া মসজিদ সংলগ্ন গ্রাউন্ডে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিঙ্গাপুর সরকারের আয়োজনে ‘ইন্ডিয়ান কালচারাল ফেস্টিভাল-২০২৩’ নামের এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি, ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কানদের ১৫টি সংগঠন অংশগ্রহণ করে। আজ রোববার দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠানে অতিথি থাকবেন সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

গতকাল অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন সিঙ্গাপুরের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আলভিন তান। গুরুত্বপূর্ণ অতিথি ছিলেন সিঙ্গাপুরের ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী পি কুমারন, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার শ্রীমতি শশীকলা প্রেমাবর্ধন, বাংলাদেশি হাইকমিশনারের কাউন্সিলর মিসেস লুৎফুন নাহার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুরের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আলভিন তানের কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ বিজনেস অব চেম্বারের (বিডিচ্যাম) প্রেসিডেন্ট ও সাহিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলঙ্কার ১৫টি সংগঠনের সঙ্গে বাংলাদেশিদের একমাত্র সংগঠন হিসেবে বিডিচ্যামের অংশগ্রহণকে ধন্যবাদ জানান সিঙ্গাপুরের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আলভিন তান।

এদিকে বিডিচ্যামের অংশগ্রহণ ও সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সাহিদুজ্জামান টরিক সম্মাননা স্মারক পাওয়ায় বিডিচ্যাম ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিডিচ্যামের পক্ষে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসাদ মামুন এক বার্তায় বলেন, সিঙ্গাপুর সরকারের কাছ থেকে পাওয়া বিডিচ্যামের জন্য এটি একটি বড় সম্মান এবং স্বীকৃতি।

নববর্ষ বরণ উপলক্ষে সেখানে বাংলাদেশি, ভারতীয় এবং শ্রীলঙ্কার শিল্পীদের পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিডিচ্যামের পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত স্টলে কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানিসহ বিভিন্ন বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হলে সেটি অতিথিদের নজর কাড়ে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি শিল্পীদের নৃত্য দেখে এবং খাবার খেয়ে তৃপ্ত হন অতিথিরা।

উল্লেখ্য, ভারত, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কায় বাংলা বছরের প্রথম দিন উৎসব হিসেবে পালিত হয়। এরমধ্যে, বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ, ভারতের গুড়ি পাদওয়া, চেতি চাঁদ, চৈত্র নবরাত্রি, বৈশাখী চিথিরই, বিষ্ণু বোহাগ বিহু, পানা সংক্রান্তি, শ্রীলঙ্কার লোসার, তমু লোসার উল্লেখযোগ্য।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সিঙ্গাপুরে বাংলা নতুন বর্ষবরণে বর্ণাঢ্য উৎসব

আপলোড টাইম : ০৭:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিঙ্গাপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষকে বরণ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার প্রথম দিন নববর্ষকে বরণ উপলক্ষে সিঙ্গাপুরের আঙ্গুলিয়া মসজিদ সংলগ্ন গ্রাউন্ডে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিঙ্গাপুর সরকারের আয়োজনে ‘ইন্ডিয়ান কালচারাল ফেস্টিভাল-২০২৩’ নামের এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি, ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কানদের ১৫টি সংগঠন অংশগ্রহণ করে। আজ রোববার দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠানে অতিথি থাকবেন সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

গতকাল অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন সিঙ্গাপুরের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আলভিন তান। গুরুত্বপূর্ণ অতিথি ছিলেন সিঙ্গাপুরের ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী পি কুমারন, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার শ্রীমতি শশীকলা প্রেমাবর্ধন, বাংলাদেশি হাইকমিশনারের কাউন্সিলর মিসেস লুৎফুন নাহার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুরের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আলভিন তানের কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ বিজনেস অব চেম্বারের (বিডিচ্যাম) প্রেসিডেন্ট ও সাহিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলঙ্কার ১৫টি সংগঠনের সঙ্গে বাংলাদেশিদের একমাত্র সংগঠন হিসেবে বিডিচ্যামের অংশগ্রহণকে ধন্যবাদ জানান সিঙ্গাপুরের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আলভিন তান।

এদিকে বিডিচ্যামের অংশগ্রহণ ও সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সাহিদুজ্জামান টরিক সম্মাননা স্মারক পাওয়ায় বিডিচ্যাম ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিডিচ্যামের পক্ষে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসাদ মামুন এক বার্তায় বলেন, সিঙ্গাপুর সরকারের কাছ থেকে পাওয়া বিডিচ্যামের জন্য এটি একটি বড় সম্মান এবং স্বীকৃতি।

নববর্ষ বরণ উপলক্ষে সেখানে বাংলাদেশি, ভারতীয় এবং শ্রীলঙ্কার শিল্পীদের পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিডিচ্যামের পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত স্টলে কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানিসহ বিভিন্ন বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হলে সেটি অতিথিদের নজর কাড়ে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি শিল্পীদের নৃত্য দেখে এবং খাবার খেয়ে তৃপ্ত হন অতিথিরা।

উল্লেখ্য, ভারত, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কায় বাংলা বছরের প্রথম দিন উৎসব হিসেবে পালিত হয়। এরমধ্যে, বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ, ভারতের গুড়ি পাদওয়া, চেতি চাঁদ, চৈত্র নবরাত্রি, বৈশাখী চিথিরই, বিষ্ণু বোহাগ বিহু, পানা সংক্রান্তি, শ্রীলঙ্কার লোসার, তমু লোসার উল্লেখযোগ্য।