ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদার বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে ছাগলের পিপিআর রোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩১:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪৬ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় দেখা দিয়েছে ছাগলের পিপিআর রোগের প্রাদুর্ভাব। গত কয়েকদিনে এই ভাইরাসজনিত রোগে উপজেলার অর্ধশতাধিক ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এখনো উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস এই রোগ প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এদিকে, এ রোগের প্রাদুর্ভাবে উপজেলার খামারী ও ছাগল পালনকারীদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। দ্রুত এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

জানা গেছে, উপজেলা সদরের দশমী গ্রাম, নতিপোতা, হেমায়েতপুর, কালিয়াবকরী, পুড়াপাড়া, কার্পাসডাঙ্গাসহ বিভিন্ন গ্রামে ছাগলের পিপিআর ভাইরাস দেখা দিয়েছে। এসব গ্রামে এই ভাইরাসে অর্ধশতাধিক ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এর অধিকাংশই বাঁচ্চা ছাগল। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, পিপিআর হলো ছাগল, ভেড়া ও গাড়লের একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ছাগলের নাক-মুখ হতে তরল নির্গত হতে থাকে ও দুর্গন্ধযুক্ত পাতলা পায়খানা করে। এসময় প্রাণীর শরীরে ব্যাপক পানির চাহিদা দেখা যায়। এছাড়াও এই রোগে আক্রান্ত প্রাণীর মুখে ঘা হয়। এ কারণে খাবার গ্রহণ করতে পারে না এবং তাপমাত্রা ১০৩ থেকে ১০৮ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার তাসলিমা খাতুন বলেন, উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আক্রান্ত ছাগলগুলোকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলায় প্রায় দেড় লাখ ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। সেই তুলনায় ভ্যাকসিনের বরাদ্দ নেই। তারা মাত্র ১০ হাজার ভ্যকসিন বরাদ্দ পেয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯ হাজার দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো যেসব এলাকায় এখনো আক্রান্ত হয়নি, সেই এলাকায় দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিনের আরও চাহিদা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বিভিন্ন এলাকায় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদার বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে ছাগলের পিপিআর রোগ

আপলোড টাইম : ০৫:৩১:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় দেখা দিয়েছে ছাগলের পিপিআর রোগের প্রাদুর্ভাব। গত কয়েকদিনে এই ভাইরাসজনিত রোগে উপজেলার অর্ধশতাধিক ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এখনো উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস এই রোগ প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এদিকে, এ রোগের প্রাদুর্ভাবে উপজেলার খামারী ও ছাগল পালনকারীদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। দ্রুত এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

জানা গেছে, উপজেলা সদরের দশমী গ্রাম, নতিপোতা, হেমায়েতপুর, কালিয়াবকরী, পুড়াপাড়া, কার্পাসডাঙ্গাসহ বিভিন্ন গ্রামে ছাগলের পিপিআর ভাইরাস দেখা দিয়েছে। এসব গ্রামে এই ভাইরাসে অর্ধশতাধিক ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এর অধিকাংশই বাঁচ্চা ছাগল। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, পিপিআর হলো ছাগল, ভেড়া ও গাড়লের একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ছাগলের নাক-মুখ হতে তরল নির্গত হতে থাকে ও দুর্গন্ধযুক্ত পাতলা পায়খানা করে। এসময় প্রাণীর শরীরে ব্যাপক পানির চাহিদা দেখা যায়। এছাড়াও এই রোগে আক্রান্ত প্রাণীর মুখে ঘা হয়। এ কারণে খাবার গ্রহণ করতে পারে না এবং তাপমাত্রা ১০৩ থেকে ১০৮ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার তাসলিমা খাতুন বলেন, উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আক্রান্ত ছাগলগুলোকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলায় প্রায় দেড় লাখ ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। সেই তুলনায় ভ্যাকসিনের বরাদ্দ নেই। তারা মাত্র ১০ হাজার ভ্যকসিন বরাদ্দ পেয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯ হাজার দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো যেসব এলাকায় এখনো আক্রান্ত হয়নি, সেই এলাকায় দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিনের আরও চাহিদা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বিভিন্ন এলাকায় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।