ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগুনে পুড়ল আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর-বাড়ি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মহম্মদপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা গনেশ দুপুরে ঘরে শুয়েছিলেন। হঠাৎ হৈ চৈ শুনে বাইরে এসে দেখেন ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। বুঝে ওঠার আগেই পুড়ে যায় ঘরের আসবাবপত্র ও টাকা-পয়সা। গনেশ হারিয়েছেন মাথা গোজার ঠাঁই। আগুনে শুধু গনেশই নয়, মাথা গোজার ঠাই হারিয়েছে আরও ৫-৬টি পরিবার।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার দুপুরে আগুনে মহম্মদপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩০টি ঘরের মধ্যে ২০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০টি ঘর। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের সময় হুড়োহুড়ি করে মালামাল সরাতে গিয়ে শিশু সজিব তার পিতা তাহেরসহ তিনজন আহত হয়েছে। সজিব ও তাহেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

২০ নম্বর ঘরের বাসিন্দা সাবিনা খাতুন জানান, শুধু ঘর থেকে একটি ভ্যান সরাতে পেরেছেন। আর সবই পুড়ে গেছে। আগুন নেভাতে আসা মো. হাশেম জানান, দূর থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে দৌঁড়ে এসে নেভাতে চেষ্টা করেন। আর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, মুহূর্তেই আগুনে সব পুড়ে গেছে। কোনো মালামাল সরাতে পারেননি।

শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সনজয় কুমার দেবনাথ জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের শৈলকুপা শাখার দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে ঝিনাইদহ থেকে আরও দুটি ইউনিট যোগ দেয়। আশপাশে পানির স্বল্পতা থাকায় বেগ পেতে হয় আগুন নিয়ন্ত্রণে। রান্নার চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাজিয়া আক্তার চৌধুরী জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পে লাগা আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। গতকালই জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের প্রাথমিকভাবে খাবার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত ঘর দ্রুত নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আগুনে পুড়ল আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর-বাড়ি

আপলোড টাইম : ০৫:০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মহম্মদপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা গনেশ দুপুরে ঘরে শুয়েছিলেন। হঠাৎ হৈ চৈ শুনে বাইরে এসে দেখেন ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। বুঝে ওঠার আগেই পুড়ে যায় ঘরের আসবাবপত্র ও টাকা-পয়সা। গনেশ হারিয়েছেন মাথা গোজার ঠাঁই। আগুনে শুধু গনেশই নয়, মাথা গোজার ঠাই হারিয়েছে আরও ৫-৬টি পরিবার।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার দুপুরে আগুনে মহম্মদপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩০টি ঘরের মধ্যে ২০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০টি ঘর। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের সময় হুড়োহুড়ি করে মালামাল সরাতে গিয়ে শিশু সজিব তার পিতা তাহেরসহ তিনজন আহত হয়েছে। সজিব ও তাহেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

২০ নম্বর ঘরের বাসিন্দা সাবিনা খাতুন জানান, শুধু ঘর থেকে একটি ভ্যান সরাতে পেরেছেন। আর সবই পুড়ে গেছে। আগুন নেভাতে আসা মো. হাশেম জানান, দূর থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে দৌঁড়ে এসে নেভাতে চেষ্টা করেন। আর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, মুহূর্তেই আগুনে সব পুড়ে গেছে। কোনো মালামাল সরাতে পারেননি।

শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সনজয় কুমার দেবনাথ জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের শৈলকুপা শাখার দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে ঝিনাইদহ থেকে আরও দুটি ইউনিট যোগ দেয়। আশপাশে পানির স্বল্পতা থাকায় বেগ পেতে হয় আগুন নিয়ন্ত্রণে। রান্নার চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাজিয়া আক্তার চৌধুরী জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পে লাগা আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। গতকালই জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের প্রাথমিকভাবে খাবার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত ঘর দ্রুত নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।