ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হত্যা মামলায় যুবককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

আবু সাঈদ

সমীকরণ প্রতিবেদন:
জীবননগরে ব্যবসায়ী আবু সাঈদ (২৭) হত্যা মামলায় আক্তার আলী (৩৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার নিহত আবু সাঈদের পিতা আব্দুল রইচ বাদী হয়ে অজ্ঞাতানামা ব্যক্তিদের আসামি করে জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের দিনই আক্তার আলীকে আটক করা হয়েছিল। আক্তার আলী জীবননগর পৌরসভার আশতলাপাড়ার কাউছার আলীর ছেলে। আক্তার আলী এবং আবু সাঈদ একই সঙ্গে চলাফেরা করতেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় ইতঃমধ্যে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আরও অনেকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আসামিদের ধরতে ও আবু সাঈদের মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আবু সাঈদের ময়দাতদন্তের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, এখনো ময়দাতদন্তের প্রতিবেদন তিনি পাননি। কবে নাগাত পাবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জনের ওপর নির্ভর করছে।

এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জীবননগর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আবু সাঈদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে জীবননগর পৌর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। আবু সাঈদের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা এ হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছেন।

উল্লেখ্য, নিখোঁজের চার দিন পর গত বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী আবু সাঈদের লাশ জীবননগর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বসতিপাড়ায় কোরিয়ান প্রবাসী কবিরের নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের বেসমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়। আবু সাঈদ জীবননগর হাইস্কুল পাড়ার আব্দুল রইচের ছোট ছেলে। তিনি জীবননগর পৌর শহরের ইয়ান সু স্টোরের মালিক।

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হত্যা মামলায় যুবককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ

আপলোড টাইম : ১০:২৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
জীবননগরে ব্যবসায়ী আবু সাঈদ (২৭) হত্যা মামলায় আক্তার আলী (৩৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার নিহত আবু সাঈদের পিতা আব্দুল রইচ বাদী হয়ে অজ্ঞাতানামা ব্যক্তিদের আসামি করে জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের দিনই আক্তার আলীকে আটক করা হয়েছিল। আক্তার আলী জীবননগর পৌরসভার আশতলাপাড়ার কাউছার আলীর ছেলে। আক্তার আলী এবং আবু সাঈদ একই সঙ্গে চলাফেরা করতেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় ইতঃমধ্যে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আরও অনেকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আসামিদের ধরতে ও আবু সাঈদের মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আবু সাঈদের ময়দাতদন্তের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, এখনো ময়দাতদন্তের প্রতিবেদন তিনি পাননি। কবে নাগাত পাবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জনের ওপর নির্ভর করছে।

এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জীবননগর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আবু সাঈদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে জীবননগর পৌর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। আবু সাঈদের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা এ হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছেন।

উল্লেখ্য, নিখোঁজের চার দিন পর গত বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী আবু সাঈদের লাশ জীবননগর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বসতিপাড়ায় কোরিয়ান প্রবাসী কবিরের নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের বেসমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়। আবু সাঈদ জীবননগর হাইস্কুল পাড়ার আব্দুল রইচের ছোট ছেলে। তিনি জীবননগর পৌর শহরের ইয়ান সু স্টোরের মালিক।