ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেলা দুটো বাজলেই স্কুল ছুটি!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৫৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত স্কুল খোলা রাখার কথা। তবে গতকাল বুধবার বেলা ২টায় ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সেখারগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায বারান্দায় কাপড় নেড়ে দেওয়া। স্কুলের কক্ষ তালাবদ্ধ। নেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। সরেজমিনে স্কুলে গেলে জানা যায়, বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন চারজন। প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম শাহিন মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তিনি ঠিকমতো ক্লাস করেন না। শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। বেলা ২টার আগেই স্কুল বন্ধ করে শিক্ষকেরা চলে যান। প্রধান শিক্ষক বুধবার আসেননি। এদিকে স্কুলে সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ছুটে আসেন এক সহকারী শিক্ষক।

স্কুল বদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের পাশে নতুন ভবন নির্মাণকাজ চলছে। সে কারণে তাড়াতাড়ি স্কুল বন্ধ করা হয়েছে।  মহেশপুর উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হাসান বলেন, স্কুল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত চলার কথা। কিন্তু স্কুল যদি বন্ধ থাকে, তাহলে আপনারা রিপোর্ট করেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানা গেছে, স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী আছে মাত্র তিনজন। কিন্তু খাতা-কলমে আছে ৮ জন। চতুর্থ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী আছে ৭ জন। তবে খাতা-কলমে ১২ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে শিক্ষার্থী আছে ৮ জন, খাতা-কলমে দেখানো হয়েছে ১৬ জন। হাজিরা খাতায় দেখা যায়, গত দুই দিন শিক্ষার্থীদের হাজিরা নেওয়া নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসী জানান, স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী নেই। মানসম্মত ক্লাস হয় না। শিক্ষকেরা খেয়াল খুশি মতো আসেন। শিক্ষা বিভাগের একটি সূত্র জানায়, এই চিত্র গোটা জেলার। প্রতিটি গ্রামে যেখানে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেই হয়, সেখানে ২-৩টি করে সরকারি প্রাইমারি স্কুল করা হয়েছে। এতে সরকারের একদিকে যেমন অপচয়, তেমনি শিক্ষার্থীর অভাব রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বেলা দুটো বাজলেই স্কুল ছুটি!

আপলোড টাইম : ০৫:৫৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:

বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত স্কুল খোলা রাখার কথা। তবে গতকাল বুধবার বেলা ২টায় ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সেখারগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায বারান্দায় কাপড় নেড়ে দেওয়া। স্কুলের কক্ষ তালাবদ্ধ। নেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। সরেজমিনে স্কুলে গেলে জানা যায়, বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন চারজন। প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম শাহিন মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তিনি ঠিকমতো ক্লাস করেন না। শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। বেলা ২টার আগেই স্কুল বন্ধ করে শিক্ষকেরা চলে যান। প্রধান শিক্ষক বুধবার আসেননি। এদিকে স্কুলে সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ছুটে আসেন এক সহকারী শিক্ষক।

স্কুল বদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের পাশে নতুন ভবন নির্মাণকাজ চলছে। সে কারণে তাড়াতাড়ি স্কুল বন্ধ করা হয়েছে।  মহেশপুর উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হাসান বলেন, স্কুল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত চলার কথা। কিন্তু স্কুল যদি বন্ধ থাকে, তাহলে আপনারা রিপোর্ট করেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানা গেছে, স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী আছে মাত্র তিনজন। কিন্তু খাতা-কলমে আছে ৮ জন। চতুর্থ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী আছে ৭ জন। তবে খাতা-কলমে ১২ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে শিক্ষার্থী আছে ৮ জন, খাতা-কলমে দেখানো হয়েছে ১৬ জন। হাজিরা খাতায় দেখা যায়, গত দুই দিন শিক্ষার্থীদের হাজিরা নেওয়া নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসী জানান, স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী নেই। মানসম্মত ক্লাস হয় না। শিক্ষকেরা খেয়াল খুশি মতো আসেন। শিক্ষা বিভাগের একটি সূত্র জানায়, এই চিত্র গোটা জেলার। প্রতিটি গ্রামে যেখানে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেই হয়, সেখানে ২-৩টি করে সরকারি প্রাইমারি স্কুল করা হয়েছে। এতে সরকারের একদিকে যেমন অপচয়, তেমনি শিক্ষার্থীর অভাব রয়েছে।