ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সচেতনতা বাড়িয়ে কমাতে হবে প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর হার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪২:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে পৃথক আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

আলমডাঙ্গা:

আলমডাঙ্গায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় আলমডাঙ্গা উপজেলা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রনি আলম নূরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আরাফাত রহমান।

তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে মাতৃ মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমে গেছে। এর পুরো কৃতিত্ব পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের। ১৯৭১ সালে আমাদের লোক সংখ্যা ছিল ৭ কোটি। আর পশ্চিম পাকিস্তানে ৫ কোটি। কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তানের লোক সংখ্যা ২৩ কোটি। আর বাংলাদেশে ১৭ কোটি। এতে বোঝা যায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ কতটা সক্রিয়। আমরা তাদের ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রশাসন বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর পরিচালক ডা. মাহমুদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক এবিএম শরিফুল হক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু। কর্মশালায় মূল বক্তব্য ও সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করেন ঢাকা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমসিএইচ-সার্ভিসেস ইউনিট উপ-পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর আলম প্রধান।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন মেডিকেল অফিসার ডা. ফজলুল হক। আলমডাঙ্গা কলেজিটে স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামীম রেজার উপস্থাপনায় আরও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডা. মার্টিন হিরোক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডা. আ. লতিফ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা ডিস্ট্রিক কনসালট্যান্ট ডা. বেলাল উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আসাদুল হক মিকা, তরিকুল ইসলাম, তাফসির আহমেদ লাল, মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, ইমদাদুল হক মুন্সি, প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ আলম মণ্টু, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম প্রমুখ।

 

হরিণাকুণ্ডু:

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুস্মিতা সাহার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক মো. হাবিবুল হক খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, যে বাঙালিরা বিশ্ব দরবারে বারবার মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর নজির গড়েছে, সেই জাতি শত অপ্রতুলতার মধ্যেও যে স্বাভাবিক প্রসবের হার প্রত্যাশিত পর্যায়ে নিতে পারবে, তা বিশ্বাস করা অবান্তর নয়। সমাজে সচেতনতার বাড়াতে হবে। কমাতে হবে প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর হার। অবশ্যই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে অবস্থান করে সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়ার লক্ষে কাজ করতে হবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন, ঝিনাইদহ পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক এস এম আল কামাল, ঝিনাইদহ রিজিয়ন আসাদুজ্জামান, জোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আবুল কালাম আজাদ, কাপাশাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত দৌলা ঝন্টু, রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন, চাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সচেতনতা বাড়িয়ে কমাতে হবে প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর হার

আপলোড টাইম : ০৫:৪২:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে পৃথক আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

আলমডাঙ্গা:

আলমডাঙ্গায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় আলমডাঙ্গা উপজেলা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রনি আলম নূরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আরাফাত রহমান।

তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে মাতৃ মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমে গেছে। এর পুরো কৃতিত্ব পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের। ১৯৭১ সালে আমাদের লোক সংখ্যা ছিল ৭ কোটি। আর পশ্চিম পাকিস্তানে ৫ কোটি। কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তানের লোক সংখ্যা ২৩ কোটি। আর বাংলাদেশে ১৭ কোটি। এতে বোঝা যায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ কতটা সক্রিয়। আমরা তাদের ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রশাসন বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর পরিচালক ডা. মাহমুদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক এবিএম শরিফুল হক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু। কর্মশালায় মূল বক্তব্য ও সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করেন ঢাকা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমসিএইচ-সার্ভিসেস ইউনিট উপ-পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর আলম প্রধান।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন মেডিকেল অফিসার ডা. ফজলুল হক। আলমডাঙ্গা কলেজিটে স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামীম রেজার উপস্থাপনায় আরও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডা. মার্টিন হিরোক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডা. আ. লতিফ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা ডিস্ট্রিক কনসালট্যান্ট ডা. বেলাল উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আসাদুল হক মিকা, তরিকুল ইসলাম, তাফসির আহমেদ লাল, মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, ইমদাদুল হক মুন্সি, প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ আলম মণ্টু, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম প্রমুখ।

 

হরিণাকুণ্ডু:

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুস্মিতা সাহার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক মো. হাবিবুল হক খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, যে বাঙালিরা বিশ্ব দরবারে বারবার মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর নজির গড়েছে, সেই জাতি শত অপ্রতুলতার মধ্যেও যে স্বাভাবিক প্রসবের হার প্রত্যাশিত পর্যায়ে নিতে পারবে, তা বিশ্বাস করা অবান্তর নয়। সমাজে সচেতনতার বাড়াতে হবে। কমাতে হবে প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর হার। অবশ্যই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে অবস্থান করে সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়ার লক্ষে কাজ করতে হবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন, ঝিনাইদহ পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক এস এম আল কামাল, ঝিনাইদহ রিজিয়ন আসাদুজ্জামান, জোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আবুল কালাম আজাদ, কাপাশাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত দৌলা ঝন্টু, রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন, চাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন প্রমুখ।