ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএনওর বদলির দাবি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৩৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:

অনুমোদনহীন র‌্যাফেল ড্র’র (লটারি) টিকিট পুড়িয়ে দেওয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যয়ন পত্র দিতে দেরি করার অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামানের বদলির দাবি জানিয়েছেন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জীবননগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে মানববন্ধনের ব্যানারে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই দাবি জানান মেলার আয়োজক সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধারা। তবে এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই অনুপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার সূত্রপাত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে জীবননগর উপজেলার অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যার্থে মনোহরপুর আমতলায় গ্রামীণ মেলার আয়োজন করেন মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ। তবে সেই মেলায় র‌্যাফেল ড্র’র কোন অনুমোদন না থাকলেও এর আয়োজন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে ইউএনও রোকুনুজ্জামানের নেতৃত্বে ২৭ ফেব্রুয়ারি জীবননগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে লটারির টিকিট ও ব্যানার পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। এবং টিকিট বিক্রেতাকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। তারপরও চলে র‌্যাফেল ড্র। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হন মেলা সংশ্লিষ্টরা। আহ্বান করেন সংবাদ সম্মেলন।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোর্তুজা অভিযোগ করে বলেন, ‘ইউএনও মো. রোকুনুজ্জামান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যয়ন পত্র দিতে দেরি করেন। সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ভালোভাবে কথাও বলেন না। আমরা অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সহযোগিতার জন্য গ্রামীণ মেলার আয়োজন করেছিলাম। মেলায় গ্রামীণ যাত্রা ও লটারির আয়োজন করা হয়েছিল। এ আয়োজনের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মৌখিকভাবে অনুমোদনও দিয়েছিলেন। তিনি (ডিসি) বলেছিলেন, লটারির জন্য লিখিত অনুমোদন দেওয়া যায় না। বিষয়টি তাঁদের নলেজে থাকবে। তাঁরা বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন। এরপরও ২৭ ফেব্রুয়ারি জীবননগরের ইউএনও মো. রোকুনুজ্জামান বাসস্ট্যান্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে লটারির টিকিট পুড়িয়ে দেন। তিনি টিকিট পুড়ানোর আগে তো আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারতেন।’

মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোর্তুজা আরও বলেন, ইউএনও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যয়ন পত্র দিতে সাত দিন পর্যন্ত দেরি করেন। আগের ইউএনও আরিফুল ইসলাম  মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেন। তবে এই ইউএনও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কম কথা বলেন।

একই অভিযোগ করেন জীবননগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দলিল উদ্দীন দলু। তিনি বলেন, তারা ইউএনওর বদলির দাবি করছেন। তবে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। যদি ইউএনওকে বদলি না করা হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যাবেন। মুক্তিযোদ্ধা দলিল উদ্দীন জানান, এ বিষয়ে কথা বলতে আজ (মঙ্গলবার) চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে একজন এডিসি এবং জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসেছিলেন। আমরা আজ মানববন্ধন ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছি। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।

এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সাইদুর রহমান বলেন, মেলা আয়োজনের মিটিংএ তাঁকে ডাকা হয়নি। ইউএরও সঙ্গে লটারির টিকিট পুড়ানো নিয়ে মূলত ঝামেলার শুরু। তবে তিনি ইউএনও’র বদলির বিষয়ে অন্য সহযোদ্ধাদের সাথে একমত নন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকুনুজ্জামান বলেন, ‘আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যয়ন পত্র দিয়ে দিই। কাকে প্রত্যয়ন পত্র দিতে দেরি করেছি, তাঁরা কিন্তু এ বিষয়ে সুনিদিষ্ট কোনো অভিযোগ করেননি। যদি অভিযোগ থাকে, তাহলে তো আমার হাই অথরিটিকে জানাবেন। হাই অথরিটি আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।’

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের কাছে তাঁরা কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’ তিনি আরও বলেন, মেলা অনুমোদনের জন্য আমাদের কম পক্ষে ২৪-২৫টা শর্ত থাকে। এর মধ্যে র‌্যাফেল ড্র, জুয়া, মদসহ কিছু বিষয় নিষিদ্ধ থাকে। তবে সেখানে পারমিশন ছাড়া র‌্যাফেল ড্র আয়োজন করা হয়েছিল। তা ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছিল। যার কারণে ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছিলেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি, মৌখিকভাবে র‌্যাফেল ড্র’র অনুমোদন দিয়েছেন, এমন প্রশ্নে ডিসি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘মৌখিকভাবে অনুমোদনের কোনো প্রশ্নই আসে না। আমাদের সব কাজের অনুমোদন লিখিত।’ তিনি আরও বলেন, এমপি মহোদয় যদি আসেন, আমরা উপজেলা পর্যায়ে একসঙ্গে বসে তাঁদের অভিযোগগুলো কীভাবে সমাধান করা যায় সেটি দেখব।’

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর বলেন, বিষয়টি নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তার সঙ্গে কথা বলেছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অ.) শামসুদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এহেতাশাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেছ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান লাল্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা চাঁন্দা আলী, আবদুল লতিফ প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ইউএনওর বদলির দাবি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের

আপলোড টাইম : ০৪:৩৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:

অনুমোদনহীন র‌্যাফেল ড্র’র (লটারি) টিকিট পুড়িয়ে দেওয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যয়ন পত্র দিতে দেরি করার অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামানের বদলির দাবি জানিয়েছেন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জীবননগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে মানববন্ধনের ব্যানারে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই দাবি জানান মেলার আয়োজক সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধারা। তবে এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই অনুপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার সূত্রপাত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে জীবননগর উপজেলার অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যার্থে মনোহরপুর আমতলায় গ্রামীণ মেলার আয়োজন করেন মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ। তবে সেই মেলায় র‌্যাফেল ড্র’র কোন অনুমোদন না থাকলেও এর আয়োজন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে ইউএনও রোকুনুজ্জামানের নেতৃত্বে ২৭ ফেব্রুয়ারি জীবননগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে লটারির টিকিট ও ব্যানার পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। এবং টিকিট বিক্রেতাকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। তারপরও চলে র‌্যাফেল ড্র। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হন মেলা সংশ্লিষ্টরা। আহ্বান করেন সংবাদ সম্মেলন।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোর্তুজা অভিযোগ করে বলেন, ‘ইউএনও মো. রোকুনুজ্জামান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যয়ন পত্র দিতে দেরি করেন। সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ভালোভাবে কথাও বলেন না। আমরা অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সহযোগিতার জন্য গ্রামীণ মেলার আয়োজন করেছিলাম। মেলায় গ্রামীণ যাত্রা ও লটারির আয়োজন করা হয়েছিল। এ আয়োজনের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মৌখিকভাবে অনুমোদনও দিয়েছিলেন। তিনি (ডিসি) বলেছিলেন, লটারির জন্য লিখিত অনুমোদন দেওয়া যায় না। বিষয়টি তাঁদের নলেজে থাকবে। তাঁরা বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন। এরপরও ২৭ ফেব্রুয়ারি জীবননগরের ইউএনও মো. রোকুনুজ্জামান বাসস্ট্যান্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে লটারির টিকিট পুড়িয়ে দেন। তিনি টিকিট পুড়ানোর আগে তো আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারতেন।’

মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোর্তুজা আরও বলেন, ইউএনও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যয়ন পত্র দিতে সাত দিন পর্যন্ত দেরি করেন। আগের ইউএনও আরিফুল ইসলাম  মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেন। তবে এই ইউএনও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কম কথা বলেন।

একই অভিযোগ করেন জীবননগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দলিল উদ্দীন দলু। তিনি বলেন, তারা ইউএনওর বদলির দাবি করছেন। তবে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। যদি ইউএনওকে বদলি না করা হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যাবেন। মুক্তিযোদ্ধা দলিল উদ্দীন জানান, এ বিষয়ে কথা বলতে আজ (মঙ্গলবার) চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে একজন এডিসি এবং জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসেছিলেন। আমরা আজ মানববন্ধন ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছি। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।

এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সাইদুর রহমান বলেন, মেলা আয়োজনের মিটিংএ তাঁকে ডাকা হয়নি। ইউএরও সঙ্গে লটারির টিকিট পুড়ানো নিয়ে মূলত ঝামেলার শুরু। তবে তিনি ইউএনও’র বদলির বিষয়ে অন্য সহযোদ্ধাদের সাথে একমত নন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকুনুজ্জামান বলেন, ‘আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যয়ন পত্র দিয়ে দিই। কাকে প্রত্যয়ন পত্র দিতে দেরি করেছি, তাঁরা কিন্তু এ বিষয়ে সুনিদিষ্ট কোনো অভিযোগ করেননি। যদি অভিযোগ থাকে, তাহলে তো আমার হাই অথরিটিকে জানাবেন। হাই অথরিটি আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।’

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের কাছে তাঁরা কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’ তিনি আরও বলেন, মেলা অনুমোদনের জন্য আমাদের কম পক্ষে ২৪-২৫টা শর্ত থাকে। এর মধ্যে র‌্যাফেল ড্র, জুয়া, মদসহ কিছু বিষয় নিষিদ্ধ থাকে। তবে সেখানে পারমিশন ছাড়া র‌্যাফেল ড্র আয়োজন করা হয়েছিল। তা ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছিল। যার কারণে ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছিলেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি, মৌখিকভাবে র‌্যাফেল ড্র’র অনুমোদন দিয়েছেন, এমন প্রশ্নে ডিসি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘মৌখিকভাবে অনুমোদনের কোনো প্রশ্নই আসে না। আমাদের সব কাজের অনুমোদন লিখিত।’ তিনি আরও বলেন, এমপি মহোদয় যদি আসেন, আমরা উপজেলা পর্যায়ে একসঙ্গে বসে তাঁদের অভিযোগগুলো কীভাবে সমাধান করা যায় সেটি দেখব।’

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর বলেন, বিষয়টি নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তার সঙ্গে কথা বলেছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অ.) শামসুদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এহেতাশাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেছ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান লাল্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা চাঁন্দা আলী, আবদুল লতিফ প্রমুখ।