ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমপি টগর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর বলেছেন, ‘১৯৯৬ সালে যখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসল, তখন খাদ্য ঘাটতি ছিল। ২০০৯ সালেও যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসল, তখন প্রায় ৪০ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, কৃষক সার-তেলসহ সবই পায়। রাস্তায় গুলি চলে না। কৃষক মরে না। দেশে খাদ্য ঘাটতি থাকে না। আমরা সবসময় বলি, সার নিয়ে যদি কেউ কারসাজি করতে চায়, আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দেব না। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন, সেভাবেই সারের কারসাজির বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স রয়েছে।’

গতকাল রোববার দুপুরে জীবননগরে ২০২২-২৩ অর্থবছরের খরিফ ও ২০২৩-২৪ মৌসুমের উফশী আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে কৃষকদের মধ্যে বিনা মূল্যে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন টগর। জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিস ও উপজেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি ১৯৯১ সালে যখন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় ছিল, তখন কৃষক সার পায়নি। রাস্তায় নেমেছিল সারের জন্য। ১৯ জন কৃষককে হত্যা করা হয়েছিল। তারেক জিয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, একই সময় কোনো সরকার শপিংমল ও আবাসিকে বিদ্যুৎ দিতে পারে না। কোনো সরকারই পারবে না। ওরা ক্ষমতায় এসে জঙ্গিবাদের রাষ্ট্র বানিয়েছিল। বিদ্যুৎ দেয়নি, সার দেয়নি, ডিজেল দেয়নি, রাস্তাঘাট করেনি। তারা এতগুলো মানুষকে একসঙ্গে এনে কখনো উপকরণ বিতরণ করছিল? এই ধরণের উপকরণ দিত কখনো?’

এমপি টগর বলেন, দুই-একজন মানুষ বলবে কী জানেন, ওটা সরকারের মাল, সরকার দিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্যে এমপি বলেন, বাবারা তখনও তো জোট সরকার ছিল। খালেদা জিয়ার সরকার ছিল। ওনারা কী দিতে পারেনি?

গতকাল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা, জীবননগর পৌরসভার সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান ও কেডিকে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বাশার শিপলু। স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমপি টগর

আপলোড টাইম : ০৪:৫৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

জীবননগর অফিস:

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর বলেছেন, ‘১৯৯৬ সালে যখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসল, তখন খাদ্য ঘাটতি ছিল। ২০০৯ সালেও যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসল, তখন প্রায় ৪০ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, কৃষক সার-তেলসহ সবই পায়। রাস্তায় গুলি চলে না। কৃষক মরে না। দেশে খাদ্য ঘাটতি থাকে না। আমরা সবসময় বলি, সার নিয়ে যদি কেউ কারসাজি করতে চায়, আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দেব না। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন, সেভাবেই সারের কারসাজির বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স রয়েছে।’

গতকাল রোববার দুপুরে জীবননগরে ২০২২-২৩ অর্থবছরের খরিফ ও ২০২৩-২৪ মৌসুমের উফশী আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে কৃষকদের মধ্যে বিনা মূল্যে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন টগর। জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিস ও উপজেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি ১৯৯১ সালে যখন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় ছিল, তখন কৃষক সার পায়নি। রাস্তায় নেমেছিল সারের জন্য। ১৯ জন কৃষককে হত্যা করা হয়েছিল। তারেক জিয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, একই সময় কোনো সরকার শপিংমল ও আবাসিকে বিদ্যুৎ দিতে পারে না। কোনো সরকারই পারবে না। ওরা ক্ষমতায় এসে জঙ্গিবাদের রাষ্ট্র বানিয়েছিল। বিদ্যুৎ দেয়নি, সার দেয়নি, ডিজেল দেয়নি, রাস্তাঘাট করেনি। তারা এতগুলো মানুষকে একসঙ্গে এনে কখনো উপকরণ বিতরণ করছিল? এই ধরণের উপকরণ দিত কখনো?’

এমপি টগর বলেন, দুই-একজন মানুষ বলবে কী জানেন, ওটা সরকারের মাল, সরকার দিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্যে এমপি বলেন, বাবারা তখনও তো জোট সরকার ছিল। খালেদা জিয়ার সরকার ছিল। ওনারা কী দিতে পারেনি?

গতকাল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা, জীবননগর পৌরসভার সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান ও কেডিকে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বাশার শিপলু। স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার।