ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপশম নার্সিং হোমে ডেলিভারির সময় শিশুর মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩
  • / ৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের উপশম নার্সিং হোমে ডেলিভারির সময় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শিশুর মুত্যুর ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে নার্সিং হোমের একটি কাঁচের দরজা ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং এক যুবককে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। পরে নিহত শিশুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উপশম নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের থানায় মীমাংসা হয়। এসময় আটক যুবককে ছেড়ে দেয় থানা কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলার পাটিকাবাড়ী বাজারপাড়ার সরজিৎ রায়ের মেয়ে গর্ভবতী সুবর্ণা সরকারকে (২১) পরিবারের সদস্যরা গতকাল সকাল ৯ টার দিকে উপশম নার্সিং হোমে আনা হয়। এরপর বেলা ১১ টার দিকে তাকে ডেলিভারির জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এর ২ ঘন্টা পর নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ স্বজনদেরকে জানায় বাচ্চাটির মৃত্যু হয়েছে। এসময় স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে নার্সিং হোমের একটি কাঁচের দরজা ভেঙে ফেলেন। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

সুবর্ণার নিকট আত্মীয় শ্রী আনন্দ শর্মা বলেন, ‘নার্সিং হোমে নেওয়ার পর আল্ট্রাসনো করাতে বলে চিকিৎসক। আমরা আল্ট্রাসনো করি। পরে রিপোর্ট দেখে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান বাচ্চাটি সম্পূর্ণ সুস্থ্য আছে। কিন্তু ডেলিভারির সময় অপারেশন থিয়েটারে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। তাদের অবহেলার কারণে বাচ্চাটির মৃত্যু হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে উপশম নার্সিং হোমের পরিচালক ডা. জিন্নাতুল আরার সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, উপশম নার্সিং হোমে ডেলিভারির সময় একটি শিশুর মৃত্যু হয়। এসময় নিহত শিশুটির নিকট আত্মীয়সহ কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে নার্সিং হোমে ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ ঘটনায় এক যুবককে থানায় নেওয়া হয়। কিন্তু ওই শিশুর স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের মীমাংসা হলে থানায় নেওয়া যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

উপশম নার্সিং হোমে ডেলিভারির সময় শিশুর মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৫:৩৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের উপশম নার্সিং হোমে ডেলিভারির সময় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শিশুর মুত্যুর ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে নার্সিং হোমের একটি কাঁচের দরজা ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং এক যুবককে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। পরে নিহত শিশুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উপশম নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের থানায় মীমাংসা হয়। এসময় আটক যুবককে ছেড়ে দেয় থানা কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলার পাটিকাবাড়ী বাজারপাড়ার সরজিৎ রায়ের মেয়ে গর্ভবতী সুবর্ণা সরকারকে (২১) পরিবারের সদস্যরা গতকাল সকাল ৯ টার দিকে উপশম নার্সিং হোমে আনা হয়। এরপর বেলা ১১ টার দিকে তাকে ডেলিভারির জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এর ২ ঘন্টা পর নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ স্বজনদেরকে জানায় বাচ্চাটির মৃত্যু হয়েছে। এসময় স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে নার্সিং হোমের একটি কাঁচের দরজা ভেঙে ফেলেন। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

সুবর্ণার নিকট আত্মীয় শ্রী আনন্দ শর্মা বলেন, ‘নার্সিং হোমে নেওয়ার পর আল্ট্রাসনো করাতে বলে চিকিৎসক। আমরা আল্ট্রাসনো করি। পরে রিপোর্ট দেখে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান বাচ্চাটি সম্পূর্ণ সুস্থ্য আছে। কিন্তু ডেলিভারির সময় অপারেশন থিয়েটারে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। তাদের অবহেলার কারণে বাচ্চাটির মৃত্যু হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে উপশম নার্সিং হোমের পরিচালক ডা. জিন্নাতুল আরার সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, উপশম নার্সিং হোমে ডেলিভারির সময় একটি শিশুর মৃত্যু হয়। এসময় নিহত শিশুটির নিকট আত্মীয়সহ কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে নার্সিং হোমে ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ ঘটনায় এক যুবককে থানায় নেওয়া হয়। কিন্তু ওই শিশুর স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের মীমাংসা হলে থানায় নেওয়া যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়।