ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তদন্ত করতে এসে জানলেন নিজের নামে মামলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৪২:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান

আলমডাঙ্গা অফিস:

চুয়াডাঙ্গার জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক (বরখাস্ত) আনিসুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়েছিলেন। তবে এ ঘটনায় গত ৬ মার্চ যশোর শিক্ষাবোর্ডের মহাপরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে পাল্টা মামলা করেছেন আনিসুজ্জামান। স্কুলে এসে মামলার বিষয়ে জানতে পেরে তদন্ত না করেই ফিরে যান জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান।

এ বিষয়ে আতাউর রহমান বলেন, ‘আমি যেহেতু নিজে অভিযুক্ত। এ বিষয়ে আমি বোর্ডে কথা বলেছি। বোর্ড থেকে জানানো হয় আদালতে মামলা আছে। সে কারণে তদন্ত করি নাই।’ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বলেন, ছুটি ছাড়া বিদেশে দীর্ঘদিন অবস্থান করায় আনিসুজ্জামানকে বিধি অনুসরণ করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একাধিক তদন্ত কমিটির সুপারিশে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এমনকি আনিসুজ্জামানকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়।

জানা যায়, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন আনিসুজ্জামান। বর্তমান প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান তৎকালীন কমিটি দ্বারা বরখাস্ত হন। তখন আনিসুজ্জামানকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে তিন বছর মামলায় লড়ে সপদে বহালের নির্দেশনা পান মনিরুজ্জামান। কিন্তু তাঁকে আড়াই বছর সপদে বহাল হতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষক আনিসুজ্জামানের বিরুদ্ধে। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে মনিরুজ্জামান পুনরায় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ফিরে পান। এতে আনিসুজ্জামান কোণঠাসা হয়ে পড়েন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসারের তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালের ২৬ জুলাই বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য দুই বছরের ছুটির আবেদন করেন আনিসুজ্জামান। তবে বিধি অনুযায়ী তাঁর ছুটি মঞ্জুর করা হয়নি। তারপরও আনিসুজ্জামান বিদেশে চলে যান। এ কারণে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের আবেদন জানানো হয়। এ ঘটনার তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির আহ্বায়ক জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান ও সদস্যরা গত মঙ্গলবার আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে তদন্ত করতে যান। সে সময় তাঁরা জানতে পারেন যশোর শিক্ষাবোর্ডের মহাপরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসারসহ ১৬ জনকে আসামি করে আনিসুজ্জামান পাল্টা আদালতে মামলা করেছেন। এ তথ্য জানতে পেরে তদন্ত না করেই ফিরে যান আতাউর রহমান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

তদন্ত করতে এসে জানলেন নিজের নামে মামলা

আপলোড টাইম : ০৩:৪২:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

আলমডাঙ্গা অফিস:

চুয়াডাঙ্গার জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক (বরখাস্ত) আনিসুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়েছিলেন। তবে এ ঘটনায় গত ৬ মার্চ যশোর শিক্ষাবোর্ডের মহাপরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে পাল্টা মামলা করেছেন আনিসুজ্জামান। স্কুলে এসে মামলার বিষয়ে জানতে পেরে তদন্ত না করেই ফিরে যান জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান।

এ বিষয়ে আতাউর রহমান বলেন, ‘আমি যেহেতু নিজে অভিযুক্ত। এ বিষয়ে আমি বোর্ডে কথা বলেছি। বোর্ড থেকে জানানো হয় আদালতে মামলা আছে। সে কারণে তদন্ত করি নাই।’ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বলেন, ছুটি ছাড়া বিদেশে দীর্ঘদিন অবস্থান করায় আনিসুজ্জামানকে বিধি অনুসরণ করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একাধিক তদন্ত কমিটির সুপারিশে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এমনকি আনিসুজ্জামানকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়।

জানা যায়, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন আনিসুজ্জামান। বর্তমান প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান তৎকালীন কমিটি দ্বারা বরখাস্ত হন। তখন আনিসুজ্জামানকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে তিন বছর মামলায় লড়ে সপদে বহালের নির্দেশনা পান মনিরুজ্জামান। কিন্তু তাঁকে আড়াই বছর সপদে বহাল হতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষক আনিসুজ্জামানের বিরুদ্ধে। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে মনিরুজ্জামান পুনরায় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ফিরে পান। এতে আনিসুজ্জামান কোণঠাসা হয়ে পড়েন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসারের তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালের ২৬ জুলাই বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য দুই বছরের ছুটির আবেদন করেন আনিসুজ্জামান। তবে বিধি অনুযায়ী তাঁর ছুটি মঞ্জুর করা হয়নি। তারপরও আনিসুজ্জামান বিদেশে চলে যান। এ কারণে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের আবেদন জানানো হয়। এ ঘটনার তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির আহ্বায়ক জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান ও সদস্যরা গত মঙ্গলবার আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে তদন্ত করতে যান। সে সময় তাঁরা জানতে পারেন যশোর শিক্ষাবোর্ডের মহাপরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসারসহ ১৬ জনকে আসামি করে আনিসুজ্জামান পাল্টা আদালতে মামলা করেছেন। এ তথ্য জানতে পেরে তদন্ত না করেই ফিরে যান আতাউর রহমান।