ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাত প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা জরিমানা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে সাত প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার ৫ শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার ও নিচের বাজারে ফলমূল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ। তদারকিকালে ভাউচার সংরক্ষণ না করা, মূল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করা ও অধিক মুনাফায় পণ্য বিক্রয় করার অপরাধে তিনি এ জরিমানা করেন।

অভিযানে নিচের বাজারের মুরগীর মার্কেটে মেসার্স নিউ ব্রয়লার হাউসে মুরগীর ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করা, অধিক মুনাফায় মুরগী বিক্রয় ও মূল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইফুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন- ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এছাড়াও মেসার্স হাসান ব্রয়লার কর্নার-এর মালিক মজনু মিয়াকে একই অপরাধে ও ধারায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মুদি দোকান মেসার্স কাউছার স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী কাউছার আলীকে দোকানে তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ২ হাজার টাকা এবং মেসার্স কৃষি বাণিজ্যালয়ের মালিক শহিদুল হককে মূল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করা ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করার অপরাধে ৪৫ ধারায় ৫ শ টাকা, মেসার্স রাজধানী ভান্ডারের মালিক রবিউল হককে একই অপরাধ ও ধারায় ১ হাজার টাকা, মেসার্স অর্জুন স্টোরের মালিক শ্রী অর্জুন সাহাকে পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে শহরের বড় বাজার চৌরাস্তার মোড়ে মেসার্স হামিদ ফল ভান্ডারের মালিক আব্দুল হামিদকে তরমুজের ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করে অধিক মুনাফায় তরমুজ বিক্রয় ও ফলের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ বলেন, রমজান উপলক্ষে বাজারে মনিটরিং নিয়মিত সময়ের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। আমরা বাজার তদারকি করছি। আজ ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার ৫ শ টাকা জরিমানা করাসহ সবাইকে সতর্ক করে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগী ও তরমুজ কম দামে বিক্রি করবে বলে খুচরা বিক্রেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জেলা মার্কেটিং ও কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সাত প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা জরিমানা

আপলোড টাইম : ০৮:০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে সাত প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার ৫ শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার ও নিচের বাজারে ফলমূল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ। তদারকিকালে ভাউচার সংরক্ষণ না করা, মূল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করা ও অধিক মুনাফায় পণ্য বিক্রয় করার অপরাধে তিনি এ জরিমানা করেন।

অভিযানে নিচের বাজারের মুরগীর মার্কেটে মেসার্স নিউ ব্রয়লার হাউসে মুরগীর ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করা, অধিক মুনাফায় মুরগী বিক্রয় ও মূল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইফুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন- ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এছাড়াও মেসার্স হাসান ব্রয়লার কর্নার-এর মালিক মজনু মিয়াকে একই অপরাধে ও ধারায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মুদি দোকান মেসার্স কাউছার স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী কাউছার আলীকে দোকানে তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ২ হাজার টাকা এবং মেসার্স কৃষি বাণিজ্যালয়ের মালিক শহিদুল হককে মূল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করা ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করার অপরাধে ৪৫ ধারায় ৫ শ টাকা, মেসার্স রাজধানী ভান্ডারের মালিক রবিউল হককে একই অপরাধ ও ধারায় ১ হাজার টাকা, মেসার্স অর্জুন স্টোরের মালিক শ্রী অর্জুন সাহাকে পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে শহরের বড় বাজার চৌরাস্তার মোড়ে মেসার্স হামিদ ফল ভান্ডারের মালিক আব্দুল হামিদকে তরমুজের ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করে অধিক মুনাফায় তরমুজ বিক্রয় ও ফলের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ বলেন, রমজান উপলক্ষে বাজারে মনিটরিং নিয়মিত সময়ের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। আমরা বাজার তদারকি করছি। আজ ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার ৫ শ টাকা জরিমানা করাসহ সবাইকে সতর্ক করে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগী ও তরমুজ কম দামে বিক্রি করবে বলে খুচরা বিক্রেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জেলা মার্কেটিং ও কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।