ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারাদেশে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বীর শহিদদের স্মরণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৫:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার ৫২ বছর পূর্ণ হওয়ার ঐতিহাসিক দিনে গতকাল রোববার স্বাধীনতার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের প্রত্যয় জানিয়েছে বাংলাদেশ। এক অন্য রকম স্বস্তি, আনন্দ ও শপথে জেগে উঠেছিল বাঙালি। দেশের পথে-প্রান্তরে পত্ পত্ করে উড়েছে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল সবুজের জাতীয় পতাকা। আর এ পতাকা জানান দিয়েছে একটি স্বাধীন দেশের জন্মদিনের কথা। যে দেশটি অর্জনে ৩০ লাখ মানুষকে আত্মবলি দিতে হয়েছে। জাতিরাষ্ট্রের জন্মের দিনটি বর্ণিল আয়োজনে উদ্যাপন করেছে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি। মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে উদ্যাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে দেশজুড়ে পালিত হয়েছে নানা কর্মসূচি। এসব কর্মসূচি থেকে উচ্চারিত হয়েছে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ। গতকাল রোববার প্রত্যুষে রাজধানীতে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। পরে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পরপরই সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক। জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে সাধারণ মানুষের ঢল নামে।
এদিকে, নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উদ্যাপনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, কারাগার ও হাসপাতালে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনসহ দিনভর নানা কর্মসূচি পালিত হয়।


চুয়াডাঙ্গা:
যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করে। সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গা শহিদ হাসান চত্ত্বরে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভসূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে শহিদ হাসান চত্বর শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ ও জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পরপরই শহিদ হাসান চত্বর শহিদবেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শুরু হয়। প্রথম প্রহরে সকাল ৬টার কিছুক্ষণ পর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের মাধ্যমে শহিদবেদী উন্মুক্ত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শামীম ভূঁইয়াসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
এরপর চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করে জেলা পুলিশ বিভাগ। সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাসসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বত কর্মকর্তারা। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্যদের সঙ্গে শহিদবেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদের নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শহিদবেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমানসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগ, চুয়াডাঙ্গা পৌর পরিষদ, সদর উপজেলা প্রশাসন, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা অফিস, জেলা যুবলীগ, জেলা ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, ব্যাংক-বীমা, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্কুল ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়াও সন্ধ্যায় ডিসি সাহিত্য মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।


পুরাতন স্টেডিয়ামে সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ:
সকাল ৮টায় জেলা স্টেডিয়াম মাঠে (পুরাতন) সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত উচ্চারণের মধ্যদিয়ে দিনের ২য় পর্যায়ের কর্মসূচি শুরু হয়। জাতীয় সংগীতের তালে তালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাথে নিয়ে শান্তির প্রতীক শ্বেতকপোত ও রঙিন বেলুন অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এরপর প্যারেড কমান্ডার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের আরআই-এর চৌকস প্রহরায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
এসময় জেলা প্রশাসক স্টেডিয়ামে আগত ও জেলার সকলের উদ্দেশ্যে দেশের মহান স্বাধীনতা, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহিদের রক্তে ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি লাল-সবুজ পতাকা ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল নিপীড়িত-নির্যাতিত জর্জরিত মানুষের এ দেশটি যেন স্নেহ-প্রেম প্রীতির আবহে পূর্ণ হয়ে সুস্থ মানবতার আবাসভূমি হয়ে উঠতে পারে এবং সেই পরিবেশে বেড়ে ওঠে নতুন প্রজন্ম যেন পরিপূর্ণতার আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে বিশ্বময় বিশ্বমানবতার জয়গানে মুখর হয়ে উঠতে পারে। এছাড়াও ভাষণে বেশকিছু ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন জেলা প্রশাসক।
অনুষ্ঠান মঞ্চে এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।


বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান:
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যগণের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের ডিসি সাহিত্য মঞ্চে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহ্যবাহী স্থান ছিল। অ্যাড. ইউনুস আলী, ডা. আসহাবুল হকসহ অনেকে চুয়াডাঙ্গার মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বায়-দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাঁরা নেই, কিন্তু তাঁরা এই রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন। তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন যুদ্ধের ডাক দেন, তখন আমরা যুবক। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা সেদিন ভারতে গিয়েছিলাম ট্রেনিং করতে। তারপর দেশে এসে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। যদি কাউকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হয়, তাহলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ জাতীয় চার নেতাকে আগে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে। আমাদের মাঝে কিছু অশুভ শক্তি কাজ করার কারণে আজকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলতে বসেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। যারা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ব্যবসা কওে, তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিয়নের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের অশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার মেজর (অব.) খোন্দকার সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম ছারোয়ার সিদ্দিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাবুদ জোয়ার্দ্দার।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাঈফের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবীর হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু রাশেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূঁইয়া, সদর উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. সেলিম উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।


চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি:
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। গতকাল কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল সাতটায় দলীয় কার্যালেয় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, অ্যাড. শামসুজ্জোহা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আরশাদ উদ্দীন আহমেদ চন্দন, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক মো. শওকত আলী বিশ্বাস, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তহিদুর রহমান চন্দন, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির, মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদিকা নুরুন্নাহার কাকলী, জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি নাবিলা রুকসানা ছন্দা, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদি মিলি, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া শাহাব, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক গিণি ইসলাম, জেলা যুব লীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, যুব লীগ নেতা রেজাউল করিম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাহাবুল হোসেন, সাবেক ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাফিজুর ইসলাম লাল্টু, ছাত্রলীগ নেতা সোয়েব রিগান, সোহেল আহমেদ, মুন্না, রানা, রিয়নসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ।


চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কর্মসূচি:
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা বিএনপির আয়োজনে গতকাল সকাল সাড়ে ৬টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর জেলা বিএনপি ও এর সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল সহকারে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শহিদ হাসান চত্ত্বরের শহিদবেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, সিরাজুল ইসলাম মনি, আবুবকর সিদ্দিক আবু, নুরনবী সামদানী, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুর রহমান পল্টু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো সাইফুর রশিদ ঝণ্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা জাসাস-এর সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ হোসেন জোয়ার্দ্দার সোনা, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ প্রমুখ।
আসাদুল হক বিশ্বাসের দিনব্যাপী আয়োজন:
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস। গতকাল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে দোয়া, ইফতার ও আলোচনা সভা এবং দুস্থ, অহসায় ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন তিনি। বেলা একটায় আলুকদিয়া ইউনিয়নে দুস্থ, অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ হয়। পরে বিকেল সাড়ে চায়টায় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে দোয়া, ইফতার ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে আলুকদিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার মো. আব্দুল মাবুদ জোয়ার্দ্দার।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এখনও স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির রাজাকার ও তাদের সহযোগীরা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। তাদের সব ধরনের ষড়যন্ত্র আমাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়া। তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন পরিস্থিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে উন্নত দেশ গড়ার লক্ষে কাজ করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার আব্দুল মাবুদ জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আহ্বানে আমরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ব্যক্তিগত জীবনে দরিদ্র কৃষকের সন্তান আমি। স্বাধীনতার সময় আমি ন্যাপ করতাম। ভয় পাইনি। আমি রাজনীতির ছাত্র ছিলাম। আমি বুঝে-সুজে যুদ্ধ করেছি। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জন্য কতটা প্রয়োজন ছিল, তা আমি রন্ধে রন্ধে উপলদ্ধি করেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টা ট্রেনিং ছিল। তারা বলেছিল, অল্প সময়ের মধ্যে অনেক কষ্ট দিয়েছি। ভারতীয় প্রশিক্ষকরা বলেছিল, আপনাদের দুই বছরের ট্রেনিং অল্প সময়ের মধ্যে দেওয়া হয়েছে। বড় বড় কথা অনেক বলা যায়। কিন্তু মানুষকে মূল্য না দিলে কোনো কিছুর অর্থ নেই। আমাদের নির্বাচন সামনে। আমাদের কথাও ভাবতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু হোসেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেন না মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের গৌরব ও বাঙালি সত্ত্বাকে তুলে ধরতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সামনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের কথা ভাবতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য আসাদুল হক বিশ্বাসকে ধন্যবাদ জানায়।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম উদ্দীন, আব্দুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, হবিবার রহমান, আলাউদ্দীন, ছানোয়ার হোসেন, সৌরভ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক য্বু ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, জেলা কৃষকলীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেকসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়রা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের কর্মসূচি:
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে গতকাল সকাল ৬টায় জেলা যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন করে কর্মসূচির সূচনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। পতাকা উত্তোলন শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এসময় ২৫শে মার্চ কালো রাতে নিহত ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহিদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপরেই যুবলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শহিদ হাসান চত্ত্বরে অবস্থিত শহিদবেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, আজাদ আলী, হাফিজুর রহমান হাপু, আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ, আলমগীর আজম খোকা। যুবলীগ নেতা মাসুদুর রহমান মাসুম, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল ইমরান শুভ, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রামীম হোসান সৈকত, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সামিউল শেখ সুইট, শেখ রাসেল, দিপু বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক খান জাহান, ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আলিম, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন, ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি বিপ্লব হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন লোকমান, সুমন, হাসান, লিফটন, টিপু, পারভেজ, মাহফুজ, রাজন, হাসিব, আকাশ, আসান, তিব্বত, শিমুল, রনি, সজিব, জিহাদ, জনি, বিপ্লব, ইমরান, তানজিল, সঞ্জু, সোহাগ, আলী, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা উপ-সম্পাদক শেখ আনোয়ার, সাবেক সদস্য ইমরান ফেরদৌস, আতাউর রহমান বিপুল, সাহেদ, জাহাঙ্গীর আলম টিলু প্রমুখ। আছর নামাজের পর যুবলীগের উদ্যোগে সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় মসজিদে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা:
জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সকালে বড় বাজার শহিদ হাসান চত্ত্বরে অবস্থিত শহিদবেদীতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নাসির আহাদ জোয়ার্দার, আলমডাঙ্গা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক, বিসিবি কোচ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য খন্দকার জেহাদ-ই- জুলফিকার টুটুল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আব্দুল মালেক, রাশিদুল ইসলাম, এখলাস উদ্দীন সুজন, শেখ রাসেল, আজাদ আলী, দেলোয়ার হোসেন দিলু সরওয়ার হোসেন মধু, সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় ও কোচ টিপু প্রমুখ।
জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা:
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পত্মী নাহিদ হাসান তিশার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক পত্মী মেহেনাজ খান (বাঁধন)।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপা পত্মী ফরিদা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পত্মী রুবাইয়া মোস্তফা সিনথিয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পত্মী মমতাজ বেগম, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র সুলতানা আঞ্জু রত্মা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সেলিনা খাতুন।
সরোজগঞ্জ:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল সকালে সরোজগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়, ছাদেমান নেছা বালিকা বিদ্যালয়, সরোজগঞ্জ তেঁতুল শেখ কলেজ, সরোজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, বদরগঞ্জ আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলিয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মাদজমা ডিএইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শুম্ভনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডিঙ্গেদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরোজগঞ্জ আবুল হোসেন দাখিল মাদরাসা, সরোজগঞ্জ বেবী নার্সিং স্কুল, সরোজগঞ্জ শিশু নিকেতন, সরোজগঞ্জ সোনামণি কিন্ডারগার্টেন, সরোজগঞ্জ আন নূর ইসলামী একাডেমি স্কুল, নবীননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসানহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহম্মদজমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহালগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুবদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়।
হিজলগাড়ী ও বেগমপুর:
দর্শনা থানাধীন হিজলগাড়ী বাজারে নেহালপুর, বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি পালনের লক্ষে গতকাল সকাল ৮টায় দর্শনা থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খাইরুল আলম যুদ্ধর নেতৃত্বে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে হিজলগাড়ী বাজারে র‌্যালি ও শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহাম্মদ আলী, দর্শনা থানা বিএনপির অন্যতম নেতা আশরাফুল হক বিল্পব, বেগমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশাবুল হক, সহসভাপতি আশরাফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা, তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া, নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা নওশাদ বিডিয়ার, ইউনুস আলী, বাবু, দর্শনা থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শরিফুজ্জামান শামীম, ছাত্রদলের সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেনসহ নেহালপুর, বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এদিকে, সকাল ১০টায় বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিক ফয়জুর রহমানের সভাপত্বিতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জিল্লুর রহমান, ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আলী কদর, হিজলগাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ হাসানসহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ। আলোচনা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সূরা ফাতেহা পাঠ ও দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মাসুদ কামাল। সকাল ৮টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর ও থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম। পরে কুচকাওয়াজ ও শিক্ষার্থীদের ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা মঞ্চে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, ওসি সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান জোয়ার্দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক পৌর মেয়র এম সবেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিন পারভেজ। কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি অফিসার হোসেন শহীদ সোহরোয়ার্দি। উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুদ্দৌলা, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকাল ৭টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে শোভাযাত্রা নিয়ে উপজেলা চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর শহিদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, সহসভাপতি লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, জেলা বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান পিণ্টু প্রমুখ।
অপরদিকে, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ, সরকারি স্কুল, মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এরশাদপুর গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জেএন সরকারি প্রাথমিক, আদর্শ সরকারি ও বন্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। এ ছাড়াও স্বয়ম্ভর লাইব্রেরিতে মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বিশেষ পাঠচক্র ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন স্বয়ম্ভর লাইব্রেরির সদস্য তাসনিম ফাতেমা রজনী, যারীন হোসেন, তামান্না ইসলাম, ফিরোজ হাসান, অভ্র আবির, বাবুল আক্তার, আব্দুল্লাহ আল নোমান ও আব্দুর রহমান।
দামুড়হুদা:
দামুড়হুদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল সকালে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভসূচনা করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক, আট শহিদ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, কুচকাওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফুল কবীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, আছির উদ্দীন, লিয়াকত আলী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ।
দর্শনা:
দর্শনায় পৃথক স্থানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় দর্শনা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র রবিউল হক সুমনের সার্বিক তত্ত্ববাবধানে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে দর্শনা কেরুজ বাজার মাঠে গণজমায়েত, এরপর জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, সকল শহিদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান, শপথ বাক্য পাঠ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। শপথ বাক্যপাঠ করান চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মন্জু, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দর্শনা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র রবিউল হক সুমন, দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যাপক রেজাউল করিম, মুক্তিযুদ্ধো পতাকা উত্তোলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর সবুর, জাহাঙ্গীর আলম। পরে স্বাধিনতা দিবসে অংশগ্রহণকারী স্ব, স্ব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের ব্যানার নিয়ে সারিবদ্ধ হয়ে দর্শনার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দর্শনা কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, দর্শনা সরকারি কলেজ, দর্শনা ডিএস ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা, দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, দক্ষিণ চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দর্শনা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, অংকুর আদর্শ বিদ্যালয়, লিটিল এনজেল্স স্কুল, আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঈশ্বরচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শান্তিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাস্টম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দর্শনা পৌর বিশেষ প্রতিবন্ধী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দর্শনা প্রেসক্লাব, দর্শনা থানা পুলিশ, দর্শনা সোসাইটি লিমিটেড, দর্শনা গণউন্নয়ন গ্রন্থাগার, অনির্বাণ থিয়েটার, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এদিকে, দর্শনা পৌর ও থানা বিএনপির আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি পালনের লক্ষে সকালে দর্শনা থানা ও পৌর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে দর্শনা পুরাতন বাজার বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় হতে র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিট দর্শনার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ফুলতলার শহিদ মিনারে গিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসানাত, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বুলেট, লুৎফর রহমান, শরীফুজ্জামান শরীফ, রেজাউল ইসলাম, দর্শনা থানা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন লিটন, সদস্যসচিব সাজেদুল ইসলাম সাজু, দর্শনা পৌর যুব দলের আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, সদস্যসচিব জালাল উদ্দিন, দর্শনা পৌর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব পলাশ আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জেল হোসেন মোফা প্রমুখ।
অপরদিকে, মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নেয় দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। সকাল ৯টায় কেরু ক্লাব মাঠ প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দর্শনা কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের নের্তৃত্বে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীসহ কেরুজ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালি কেরুজ ক্লাব মাঠ হতে বের হয়ে কেরুজ চিনিকল ক্যাম্পাসের আনন্দ বাজারে অবস্থিত শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে পুনরায় কেরুজ ক্লাব মাঠে গণজামায়েত হয়। কেরুজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেনের উপস্থাপনায় স্বাধীনতার ওপর স্মৃতিচারণ করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াসির আরাফাত।
এরপর মুক্তিযোদ্ধের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ইউসুফ আলী, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক আমজাদ হোসেন। আলোচনা শেষে কেরুজ উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কাউট দল ও চিনিকলের নিরাপত্তাদলের সদস্যদের অং গ্রহণে কুচকাওয়াজের মাধ্যমে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষ হয়। দ্বিতীয় পর্বে দুপুরে কেরুজ ক্লাব মাঠে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নের্তৃবৃন্দসহ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কেরুজ চিনিকলের উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশা; প্র;) নুরুল হাসান ও নিরাপত্তা বিভাগের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম।
জীবননগর:
জীবননগরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। এরপর জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, শরীরচর্চা প্রদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, জীবননগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সেলিমা আকতার প্রমুখ।
মুজিবনগর:
মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। গতকাল সকাল ৬টায় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের শুভ সূচনা শুর হয়। এসময় মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস, উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা উপস্থিত ছিলেন। মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস ও মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, মুজিবনগর থানার পক্ষে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল, মুজিবনগর আওয়ামী লীগের পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে বীর মুক্তিয়োদ্ধা হাজী আহসান আলী, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ডা. আসাদুজ্জামান, উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার মিরাজুল ইসলাম, কৃষক লীগের পক্ষে সভাপতি জাহিদ হাসান রাজিব, সাধারন সম্পাদক শাহিনুজ্জামান রহমান মানিক, ছাত্রলীগের পক্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দীন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মতিউর রহমান, উপজেলা যুব মহিলা লীগের পক্ষে সভাপতি তকলিমা খাতুন, পল্লী বিদ্যৎ সমিতির পক্ষে এজিএম, মুজিবনগর সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ স্কুল।
সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যেমে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস। পরে সকাল ১০ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইউএনও অনিমেষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আহসান আলী খান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিনসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।

 

এদিকে, মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টায় মডেল রিসোর্স সেন্টারে কোরআন খতম, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মডেল কেয়ারটেকার মোহাম্মদ আলী খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থেকে দেন মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার আমানুল্লাহ। উপজেলা কেন্দ্রের পঞ্চাশ জন শিক্ষক এ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন এবং দশ জন শিক্ষক কোরআন খতমে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্টান শেষে দোয়া পরিচালনা করেন কারী মোহাম্মদ মতিউর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মডেল কেয়ারটেকার মোহাম্মদ আলী খান।

গাংনী:
গাংনীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল দিবসের শুরুতে রাত ১২টা ১ মিনিটে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৬টার দিকে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া সিদ্দিকা সেতু। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়াও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে নিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে একে একে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।

সকাল ৮টার দিকে গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফুটবল মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া সিদ্দিকা সেতু, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক। পরে বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ভিডিপি ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্যারেড করে। বেলা ১১টার দিকে, উপজেলা পরিষদ চত্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া সিদ্দিকা সেতু।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারাদেশে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বীর শহিদদের স্মরণ

আপলোড টাইম : ০৮:২৫:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার ৫২ বছর পূর্ণ হওয়ার ঐতিহাসিক দিনে গতকাল রোববার স্বাধীনতার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের প্রত্যয় জানিয়েছে বাংলাদেশ। এক অন্য রকম স্বস্তি, আনন্দ ও শপথে জেগে উঠেছিল বাঙালি। দেশের পথে-প্রান্তরে পত্ পত্ করে উড়েছে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল সবুজের জাতীয় পতাকা। আর এ পতাকা জানান দিয়েছে একটি স্বাধীন দেশের জন্মদিনের কথা। যে দেশটি অর্জনে ৩০ লাখ মানুষকে আত্মবলি দিতে হয়েছে। জাতিরাষ্ট্রের জন্মের দিনটি বর্ণিল আয়োজনে উদ্যাপন করেছে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি। মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে উদ্যাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে দেশজুড়ে পালিত হয়েছে নানা কর্মসূচি। এসব কর্মসূচি থেকে উচ্চারিত হয়েছে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ। গতকাল রোববার প্রত্যুষে রাজধানীতে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। পরে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পরপরই সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক। জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটক খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে সাধারণ মানুষের ঢল নামে।
এদিকে, নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উদ্যাপনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, কারাগার ও হাসপাতালে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনসহ দিনভর নানা কর্মসূচি পালিত হয়।


চুয়াডাঙ্গা:
যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করে। সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গা শহিদ হাসান চত্ত্বরে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভসূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে শহিদ হাসান চত্বর শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ ও জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পরপরই শহিদ হাসান চত্বর শহিদবেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শুরু হয়। প্রথম প্রহরে সকাল ৬টার কিছুক্ষণ পর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের মাধ্যমে শহিদবেদী উন্মুক্ত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শামীম ভূঁইয়াসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
এরপর চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করে জেলা পুলিশ বিভাগ। সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাসসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বত কর্মকর্তারা। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্যদের সঙ্গে শহিদবেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদের নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শহিদবেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমানসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগ, চুয়াডাঙ্গা পৌর পরিষদ, সদর উপজেলা প্রশাসন, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা অফিস, জেলা যুবলীগ, জেলা ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, ব্যাংক-বীমা, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্কুল ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়াও সন্ধ্যায় ডিসি সাহিত্য মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।


পুরাতন স্টেডিয়ামে সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ:
সকাল ৮টায় জেলা স্টেডিয়াম মাঠে (পুরাতন) সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত উচ্চারণের মধ্যদিয়ে দিনের ২য় পর্যায়ের কর্মসূচি শুরু হয়। জাতীয় সংগীতের তালে তালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাথে নিয়ে শান্তির প্রতীক শ্বেতকপোত ও রঙিন বেলুন অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এরপর প্যারেড কমান্ডার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের আরআই-এর চৌকস প্রহরায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
এসময় জেলা প্রশাসক স্টেডিয়ামে আগত ও জেলার সকলের উদ্দেশ্যে দেশের মহান স্বাধীনতা, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহিদের রক্তে ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি লাল-সবুজ পতাকা ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল নিপীড়িত-নির্যাতিত জর্জরিত মানুষের এ দেশটি যেন স্নেহ-প্রেম প্রীতির আবহে পূর্ণ হয়ে সুস্থ মানবতার আবাসভূমি হয়ে উঠতে পারে এবং সেই পরিবেশে বেড়ে ওঠে নতুন প্রজন্ম যেন পরিপূর্ণতার আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে বিশ্বময় বিশ্বমানবতার জয়গানে মুখর হয়ে উঠতে পারে। এছাড়াও ভাষণে বেশকিছু ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন জেলা প্রশাসক।
অনুষ্ঠান মঞ্চে এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।


বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান:
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যগণের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের ডিসি সাহিত্য মঞ্চে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহ্যবাহী স্থান ছিল। অ্যাড. ইউনুস আলী, ডা. আসহাবুল হকসহ অনেকে চুয়াডাঙ্গার মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বায়-দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাঁরা নেই, কিন্তু তাঁরা এই রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন। তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন যুদ্ধের ডাক দেন, তখন আমরা যুবক। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা সেদিন ভারতে গিয়েছিলাম ট্রেনিং করতে। তারপর দেশে এসে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। যদি কাউকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হয়, তাহলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ জাতীয় চার নেতাকে আগে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে। আমাদের মাঝে কিছু অশুভ শক্তি কাজ করার কারণে আজকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলতে বসেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। যারা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ব্যবসা কওে, তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিয়নের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের অশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার মেজর (অব.) খোন্দকার সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম ছারোয়ার সিদ্দিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাবুদ জোয়ার্দ্দার।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাঈফের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবীর হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু রাশেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূঁইয়া, সদর উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. সেলিম উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।


চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি:
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। গতকাল কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল সাতটায় দলীয় কার্যালেয় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, অ্যাড. শামসুজ্জোহা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আরশাদ উদ্দীন আহমেদ চন্দন, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক মো. শওকত আলী বিশ্বাস, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তহিদুর রহমান চন্দন, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির, মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদিকা নুরুন্নাহার কাকলী, জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি নাবিলা রুকসানা ছন্দা, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদি মিলি, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া শাহাব, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক গিণি ইসলাম, জেলা যুব লীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, যুব লীগ নেতা রেজাউল করিম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাহাবুল হোসেন, সাবেক ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাফিজুর ইসলাম লাল্টু, ছাত্রলীগ নেতা সোয়েব রিগান, সোহেল আহমেদ, মুন্না, রানা, রিয়নসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ।


চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কর্মসূচি:
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা বিএনপির আয়োজনে গতকাল সকাল সাড়ে ৬টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর জেলা বিএনপি ও এর সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল সহকারে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শহিদ হাসান চত্ত্বরের শহিদবেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, সিরাজুল ইসলাম মনি, আবুবকর সিদ্দিক আবু, নুরনবী সামদানী, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুর রহমান পল্টু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো সাইফুর রশিদ ঝণ্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা জাসাস-এর সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ হোসেন জোয়ার্দ্দার সোনা, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ প্রমুখ।
আসাদুল হক বিশ্বাসের দিনব্যাপী আয়োজন:
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস। গতকাল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে দোয়া, ইফতার ও আলোচনা সভা এবং দুস্থ, অহসায় ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন তিনি। বেলা একটায় আলুকদিয়া ইউনিয়নে দুস্থ, অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ হয়। পরে বিকেল সাড়ে চায়টায় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে দোয়া, ইফতার ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে আলুকদিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার মো. আব্দুল মাবুদ জোয়ার্দ্দার।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এখনও স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির রাজাকার ও তাদের সহযোগীরা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। তাদের সব ধরনের ষড়যন্ত্র আমাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়া। তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন পরিস্থিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে উন্নত দেশ গড়ার লক্ষে কাজ করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার আব্দুল মাবুদ জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আহ্বানে আমরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ব্যক্তিগত জীবনে দরিদ্র কৃষকের সন্তান আমি। স্বাধীনতার সময় আমি ন্যাপ করতাম। ভয় পাইনি। আমি রাজনীতির ছাত্র ছিলাম। আমি বুঝে-সুজে যুদ্ধ করেছি। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জন্য কতটা প্রয়োজন ছিল, তা আমি রন্ধে রন্ধে উপলদ্ধি করেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টা ট্রেনিং ছিল। তারা বলেছিল, অল্প সময়ের মধ্যে অনেক কষ্ট দিয়েছি। ভারতীয় প্রশিক্ষকরা বলেছিল, আপনাদের দুই বছরের ট্রেনিং অল্প সময়ের মধ্যে দেওয়া হয়েছে। বড় বড় কথা অনেক বলা যায়। কিন্তু মানুষকে মূল্য না দিলে কোনো কিছুর অর্থ নেই। আমাদের নির্বাচন সামনে। আমাদের কথাও ভাবতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু হোসেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেন না মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের গৌরব ও বাঙালি সত্ত্বাকে তুলে ধরতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সামনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের কথা ভাবতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য আসাদুল হক বিশ্বাসকে ধন্যবাদ জানায়।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম উদ্দীন, আব্দুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, হবিবার রহমান, আলাউদ্দীন, ছানোয়ার হোসেন, সৌরভ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক য্বু ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, জেলা কৃষকলীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেকসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়রা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের কর্মসূচি:
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে গতকাল সকাল ৬টায় জেলা যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন করে কর্মসূচির সূচনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। পতাকা উত্তোলন শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এসময় ২৫শে মার্চ কালো রাতে নিহত ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহিদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপরেই যুবলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শহিদ হাসান চত্ত্বরে অবস্থিত শহিদবেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, আজাদ আলী, হাফিজুর রহমান হাপু, আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ, আলমগীর আজম খোকা। যুবলীগ নেতা মাসুদুর রহমান মাসুম, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল ইমরান শুভ, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রামীম হোসান সৈকত, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সামিউল শেখ সুইট, শেখ রাসেল, দিপু বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক খান জাহান, ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আলিম, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন, ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি বিপ্লব হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন লোকমান, সুমন, হাসান, লিফটন, টিপু, পারভেজ, মাহফুজ, রাজন, হাসিব, আকাশ, আসান, তিব্বত, শিমুল, রনি, সজিব, জিহাদ, জনি, বিপ্লব, ইমরান, তানজিল, সঞ্জু, সোহাগ, আলী, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা উপ-সম্পাদক শেখ আনোয়ার, সাবেক সদস্য ইমরান ফেরদৌস, আতাউর রহমান বিপুল, সাহেদ, জাহাঙ্গীর আলম টিলু প্রমুখ। আছর নামাজের পর যুবলীগের উদ্যোগে সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় মসজিদে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা:
জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সকালে বড় বাজার শহিদ হাসান চত্ত্বরে অবস্থিত শহিদবেদীতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নাসির আহাদ জোয়ার্দার, আলমডাঙ্গা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক, বিসিবি কোচ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য খন্দকার জেহাদ-ই- জুলফিকার টুটুল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আব্দুল মালেক, রাশিদুল ইসলাম, এখলাস উদ্দীন সুজন, শেখ রাসেল, আজাদ আলী, দেলোয়ার হোসেন দিলু সরওয়ার হোসেন মধু, সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় ও কোচ টিপু প্রমুখ।
জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা:
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পত্মী নাহিদ হাসান তিশার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক পত্মী মেহেনাজ খান (বাঁধন)।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপা পত্মী ফরিদা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পত্মী রুবাইয়া মোস্তফা সিনথিয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পত্মী মমতাজ বেগম, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র সুলতানা আঞ্জু রত্মা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সেলিনা খাতুন।
সরোজগঞ্জ:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল সকালে সরোজগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়, ছাদেমান নেছা বালিকা বিদ্যালয়, সরোজগঞ্জ তেঁতুল শেখ কলেজ, সরোজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, বদরগঞ্জ আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলিয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মাদজমা ডিএইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শুম্ভনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডিঙ্গেদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরোজগঞ্জ আবুল হোসেন দাখিল মাদরাসা, সরোজগঞ্জ বেবী নার্সিং স্কুল, সরোজগঞ্জ শিশু নিকেতন, সরোজগঞ্জ সোনামণি কিন্ডারগার্টেন, সরোজগঞ্জ আন নূর ইসলামী একাডেমি স্কুল, নবীননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসানহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহম্মদজমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহালগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুবদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়।
হিজলগাড়ী ও বেগমপুর:
দর্শনা থানাধীন হিজলগাড়ী বাজারে নেহালপুর, বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি পালনের লক্ষে গতকাল সকাল ৮টায় দর্শনা থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খাইরুল আলম যুদ্ধর নেতৃত্বে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে হিজলগাড়ী বাজারে র‌্যালি ও শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহাম্মদ আলী, দর্শনা থানা বিএনপির অন্যতম নেতা আশরাফুল হক বিল্পব, বেগমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশাবুল হক, সহসভাপতি আশরাফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা, তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া, নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা নওশাদ বিডিয়ার, ইউনুস আলী, বাবু, দর্শনা থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শরিফুজ্জামান শামীম, ছাত্রদলের সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেনসহ নেহালপুর, বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এদিকে, সকাল ১০টায় বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিক ফয়জুর রহমানের সভাপত্বিতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জিল্লুর রহমান, ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আলী কদর, হিজলগাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ হাসানসহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ। আলোচনা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সূরা ফাতেহা পাঠ ও দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মাসুদ কামাল। সকাল ৮টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর ও থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম। পরে কুচকাওয়াজ ও শিক্ষার্থীদের ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা মঞ্চে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, ওসি সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান জোয়ার্দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক পৌর মেয়র এম সবেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিন পারভেজ। কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি অফিসার হোসেন শহীদ সোহরোয়ার্দি। উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুদ্দৌলা, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকাল ৭টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে শোভাযাত্রা নিয়ে উপজেলা চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর শহিদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, সহসভাপতি লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, জেলা বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান পিণ্টু প্রমুখ।
অপরদিকে, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ, সরকারি স্কুল, মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এরশাদপুর গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জেএন সরকারি প্রাথমিক, আদর্শ সরকারি ও বন্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। এ ছাড়াও স্বয়ম্ভর লাইব্রেরিতে মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বিশেষ পাঠচক্র ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন স্বয়ম্ভর লাইব্রেরির সদস্য তাসনিম ফাতেমা রজনী, যারীন হোসেন, তামান্না ইসলাম, ফিরোজ হাসান, অভ্র আবির, বাবুল আক্তার, আব্দুল্লাহ আল নোমান ও আব্দুর রহমান।
দামুড়হুদা:
দামুড়হুদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল সকালে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভসূচনা করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক, আট শহিদ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, কুচকাওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফুল কবীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, আছির উদ্দীন, লিয়াকত আলী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ।
দর্শনা:
দর্শনায় পৃথক স্থানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় দর্শনা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র রবিউল হক সুমনের সার্বিক তত্ত্ববাবধানে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে দর্শনা কেরুজ বাজার মাঠে গণজমায়েত, এরপর জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, সকল শহিদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান, শপথ বাক্য পাঠ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। শপথ বাক্যপাঠ করান চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মন্জু, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দর্শনা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র রবিউল হক সুমন, দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যাপক রেজাউল করিম, মুক্তিযুদ্ধো পতাকা উত্তোলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর সবুর, জাহাঙ্গীর আলম। পরে স্বাধিনতা দিবসে অংশগ্রহণকারী স্ব, স্ব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের ব্যানার নিয়ে সারিবদ্ধ হয়ে দর্শনার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দর্শনা কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, দর্শনা সরকারি কলেজ, দর্শনা ডিএস ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা, দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, দক্ষিণ চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দর্শনা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, অংকুর আদর্শ বিদ্যালয়, লিটিল এনজেল্স স্কুল, আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঈশ্বরচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শান্তিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাস্টম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দর্শনা পৌর বিশেষ প্রতিবন্ধী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দর্শনা প্রেসক্লাব, দর্শনা থানা পুলিশ, দর্শনা সোসাইটি লিমিটেড, দর্শনা গণউন্নয়ন গ্রন্থাগার, অনির্বাণ থিয়েটার, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এদিকে, দর্শনা পৌর ও থানা বিএনপির আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি পালনের লক্ষে সকালে দর্শনা থানা ও পৌর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে দর্শনা পুরাতন বাজার বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় হতে র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিট দর্শনার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ফুলতলার শহিদ মিনারে গিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসানাত, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বুলেট, লুৎফর রহমান, শরীফুজ্জামান শরীফ, রেজাউল ইসলাম, দর্শনা থানা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন লিটন, সদস্যসচিব সাজেদুল ইসলাম সাজু, দর্শনা পৌর যুব দলের আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, সদস্যসচিব জালাল উদ্দিন, দর্শনা পৌর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব পলাশ আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জেল হোসেন মোফা প্রমুখ।
অপরদিকে, মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নেয় দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। সকাল ৯টায় কেরু ক্লাব মাঠ প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দর্শনা কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের নের্তৃত্বে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীসহ কেরুজ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালি কেরুজ ক্লাব মাঠ হতে বের হয়ে কেরুজ চিনিকল ক্যাম্পাসের আনন্দ বাজারে অবস্থিত শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে পুনরায় কেরুজ ক্লাব মাঠে গণজামায়েত হয়। কেরুজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেনের উপস্থাপনায় স্বাধীনতার ওপর স্মৃতিচারণ করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াসির আরাফাত।
এরপর মুক্তিযোদ্ধের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ইউসুফ আলী, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক আমজাদ হোসেন। আলোচনা শেষে কেরুজ উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কাউট দল ও চিনিকলের নিরাপত্তাদলের সদস্যদের অং গ্রহণে কুচকাওয়াজের মাধ্যমে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষ হয়। দ্বিতীয় পর্বে দুপুরে কেরুজ ক্লাব মাঠে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নের্তৃবৃন্দসহ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কেরুজ চিনিকলের উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশা; প্র;) নুরুল হাসান ও নিরাপত্তা বিভাগের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম।
জীবননগর:
জীবননগরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। এরপর জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, শরীরচর্চা প্রদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, জীবননগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সেলিমা আকতার প্রমুখ।
মুজিবনগর:
মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। গতকাল সকাল ৬টায় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের শুভ সূচনা শুর হয়। এসময় মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস, উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা উপস্থিত ছিলেন। মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস ও মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, মুজিবনগর থানার পক্ষে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল, মুজিবনগর আওয়ামী লীগের পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে বীর মুক্তিয়োদ্ধা হাজী আহসান আলী, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ডা. আসাদুজ্জামান, উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার মিরাজুল ইসলাম, কৃষক লীগের পক্ষে সভাপতি জাহিদ হাসান রাজিব, সাধারন সম্পাদক শাহিনুজ্জামান রহমান মানিক, ছাত্রলীগের পক্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দীন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মতিউর রহমান, উপজেলা যুব মহিলা লীগের পক্ষে সভাপতি তকলিমা খাতুন, পল্লী বিদ্যৎ সমিতির পক্ষে এজিএম, মুজিবনগর সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ স্কুল।
সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যেমে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস। পরে সকাল ১০ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইউএনও অনিমেষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আহসান আলী খান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিনসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।

 

এদিকে, মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টায় মডেল রিসোর্স সেন্টারে কোরআন খতম, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মডেল কেয়ারটেকার মোহাম্মদ আলী খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থেকে দেন মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার আমানুল্লাহ। উপজেলা কেন্দ্রের পঞ্চাশ জন শিক্ষক এ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন এবং দশ জন শিক্ষক কোরআন খতমে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্টান শেষে দোয়া পরিচালনা করেন কারী মোহাম্মদ মতিউর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মডেল কেয়ারটেকার মোহাম্মদ আলী খান।

গাংনী:
গাংনীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল দিবসের শুরুতে রাত ১২টা ১ মিনিটে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৬টার দিকে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া সিদ্দিকা সেতু। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়াও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে নিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে একে একে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।

সকাল ৮টার দিকে গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফুটবল মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া সিদ্দিকা সেতু, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক। পরে বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ভিডিপি ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্যারেড করে। বেলা ১১টার দিকে, উপজেলা পরিষদ চত্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া সিদ্দিকা সেতু।