ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় রোজার প্রথম দিনেই জমজমাট ইফতার বাজার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রমজানের প্রথম দিনেই চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে জমে উঠেছে ইফতার বাজার। দুপুর থেকেই শহরের কোর্ট মোড়, বড় বাজার, রেল বাজারের ছোট ছোট ইফতার দোকানসহ রেস্টুরেন্টগুলোতে দোকানিরা ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেন। দুপুরের পর থেকেই এসব দোকানে ইফতার কিনতে ভিড় করতে শুরু করে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। বিকেল গড়ানোর সাথে সাথে ইফতার-সামগ্রী কিনতে আসা মানুষের ভিড় বাড়ে দোকানগুলোতে। তবে এ বছর ইফতারের দাম কিছুটা বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তেুাষ ছিল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরসহ প্রায় সব পাড়ার মোড়েই ইফতার-সামগ্রী বিক্রির অস্থায়ী দোকান বসেছে। এসব দোকানে আলুর চপ, পেয়াজু, বেগুনি, ছোলা-ঘুঘনি, চিকেন টিকিয়া, বিফ টিকিয়া, বুন্দিয়া, জিলাপি, নিমকিসহ বিভিন্ন সামগ্রী সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। ইফতার কিনতে আসা অঙ্কুর নামের এক যুবক বলেন, ‘বাসায় ইফতার বানানো হলেও বাইরে থেকে ইফতার না নিলে মনে হয় কিছু একটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তবে এ বছর ইফতারের দাম বেশি থাকায় একটু কম কম কিনছি। পাঁচটা চপের দাম নিয়েছে ৫০ টাকা। আগের বছরও যা পাঁচ টাকা প্রতি পিস ছিল।’

চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের গুলশানপাড়া থেকে বড় বাজারে ইফতার কিনতে আসা সামিম মিয়া বলেন, ‘বড় বাজারে বিক্রি হওয়া ইফতারের আলাদা একটা আকর্ষণ আছে। পরিবারের সবাই বাড়িতে বানানো ইফতার থেকে দোকনের ইফতার বেশি পছন্দ করে। এ জন্য প্রথম রোজায় এখান থেকে ইফতার নিতে এসেছি। এখানকার ছোলা-ঘুঘনি ভালো লাগে। তবে এবার ইফতার পণ্যের দাম অনেক বেশি, ব্যবসায়ীরা দাম অনেক বাড়িয়েছে।’

এদিকে, চুয়াডাঙ্গার হোটেল সাহিদ প্যালেসের প্রবেশমুখেই ইফতারের পসরা সাজানো হয়েছে রোজাদারদের জন্য। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সেখানে ক্রেতাদের তেমন ভিড় ছিল না। তবে পাঁচটার পর থেকে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। এ বিষয়ে হোটেল সাহিদ প্যালেসের মার্কেটিং ম্যানেজার মাবুদ সরকার বলেন, ‘রোজার প্রথম দিনে ক্রেতার তেমন ভিড় ছিল না।’

কোর্ট মোড় এলাকার ইফতার ব্যবসায়ী মিলন বলেন, ‘রোজার শুরুর দিনে ক্রেতা সমাগম গত বছরের তুলনায় কম। আশা করছি দিন গড়ানোর সাথে সাথে বিক্রি বাড়বে।’ বড় বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, সকল নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বিগত যেকোনো সময়ের থেকে কয়েক গুন। এবছর তাই আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। ক্রেতা বেশি থাকলেও কমেছে চাহিদা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় রোজার প্রথম দিনেই জমজমাট ইফতার বাজার

আপলোড টাইম : ০৫:১৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রমজানের প্রথম দিনেই চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে জমে উঠেছে ইফতার বাজার। দুপুর থেকেই শহরের কোর্ট মোড়, বড় বাজার, রেল বাজারের ছোট ছোট ইফতার দোকানসহ রেস্টুরেন্টগুলোতে দোকানিরা ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেন। দুপুরের পর থেকেই এসব দোকানে ইফতার কিনতে ভিড় করতে শুরু করে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। বিকেল গড়ানোর সাথে সাথে ইফতার-সামগ্রী কিনতে আসা মানুষের ভিড় বাড়ে দোকানগুলোতে। তবে এ বছর ইফতারের দাম কিছুটা বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তেুাষ ছিল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরসহ প্রায় সব পাড়ার মোড়েই ইফতার-সামগ্রী বিক্রির অস্থায়ী দোকান বসেছে। এসব দোকানে আলুর চপ, পেয়াজু, বেগুনি, ছোলা-ঘুঘনি, চিকেন টিকিয়া, বিফ টিকিয়া, বুন্দিয়া, জিলাপি, নিমকিসহ বিভিন্ন সামগ্রী সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। ইফতার কিনতে আসা অঙ্কুর নামের এক যুবক বলেন, ‘বাসায় ইফতার বানানো হলেও বাইরে থেকে ইফতার না নিলে মনে হয় কিছু একটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তবে এ বছর ইফতারের দাম বেশি থাকায় একটু কম কম কিনছি। পাঁচটা চপের দাম নিয়েছে ৫০ টাকা। আগের বছরও যা পাঁচ টাকা প্রতি পিস ছিল।’

চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের গুলশানপাড়া থেকে বড় বাজারে ইফতার কিনতে আসা সামিম মিয়া বলেন, ‘বড় বাজারে বিক্রি হওয়া ইফতারের আলাদা একটা আকর্ষণ আছে। পরিবারের সবাই বাড়িতে বানানো ইফতার থেকে দোকনের ইফতার বেশি পছন্দ করে। এ জন্য প্রথম রোজায় এখান থেকে ইফতার নিতে এসেছি। এখানকার ছোলা-ঘুঘনি ভালো লাগে। তবে এবার ইফতার পণ্যের দাম অনেক বেশি, ব্যবসায়ীরা দাম অনেক বাড়িয়েছে।’

এদিকে, চুয়াডাঙ্গার হোটেল সাহিদ প্যালেসের প্রবেশমুখেই ইফতারের পসরা সাজানো হয়েছে রোজাদারদের জন্য। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সেখানে ক্রেতাদের তেমন ভিড় ছিল না। তবে পাঁচটার পর থেকে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। এ বিষয়ে হোটেল সাহিদ প্যালেসের মার্কেটিং ম্যানেজার মাবুদ সরকার বলেন, ‘রোজার প্রথম দিনে ক্রেতার তেমন ভিড় ছিল না।’

কোর্ট মোড় এলাকার ইফতার ব্যবসায়ী মিলন বলেন, ‘রোজার শুরুর দিনে ক্রেতা সমাগম গত বছরের তুলনায় কম। আশা করছি দিন গড়ানোর সাথে সাথে বিক্রি বাড়বে।’ বড় বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, সকল নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বিগত যেকোনো সময়ের থেকে কয়েক গুন। এবছর তাই আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। ক্রেতা বেশি থাকলেও কমেছে চাহিদা।