ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের কোনো সংকট নেই

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পবিত্র রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার তদারকি করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার, নিচের বাজার ও সমবায় নিউ মার্কেট পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবীর হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া, চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেটের সিনিয়র সহকারী কমিশনার শেখ মো. রাসেল, চুয়াডাঙ্গার নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সাদাত হোসেন, চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রহমান, সাইফুল ইসলাম সাইফ, জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ ও জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু।

জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, অভিযানে মাছ, মাংস (মুরগী, গরু, খাসি), ভোজ্য তেল, চিনি, খেজুর, চাল, সকল প্রকার সবজি, মসলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হাতের নাগালে রাখতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মূল্যতালিকা প্রদর্শিত আছে কি না, ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার মজুদ আছে কি না এবং পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি কেমন আছে, তা তদারকি করা হয়। প্রতিটি ব্যবসায়ীকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে এবং বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য অনুরোধ ও সচেতন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় গরুর মাংস ৭০০ টাকা, ছাগলের মাংস ৯০০ টাকা (ছাগী ৮০০ টাকা) সকল প্রকার মুরগীর ক্রয়মূল্য থেকে কেজি প্রতি ১০ টাকা মুনাফায় বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের কোনো সংকট নেই। রমজানের প্রয়োজনীয় সব পণ্যের অতিরিক্ত মজুত রয়েছে। ব্যবসায়ীরা যেন কৃত্রিমভাবে কোনো সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা করতে না পারে, সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখব। যে জিনিসের চাহিদা বেশি থাকে, সে জিনিসের দাম স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়। সে জন্য ক্রেতাদের ক্ষেত্রেও আমাদের পরামর্শ থাকবে অপ্রয়োজনে কোনো জিনিস বা দ্রব্য বেশি পরিমাণে না ক্রয় করার জন্য।’ তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যৌক্তিক, স্বাভাবিক, স্থিতিশীল এবং সরবারহ নিশ্চিত করতে বাজার তদারকি অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের কোনো সংকট নেই

আপলোড টাইম : ০৯:২৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পবিত্র রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার তদারকি করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার, নিচের বাজার ও সমবায় নিউ মার্কেট পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবীর হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া, চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেটের সিনিয়র সহকারী কমিশনার শেখ মো. রাসেল, চুয়াডাঙ্গার নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সাদাত হোসেন, চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রহমান, সাইফুল ইসলাম সাইফ, জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ ও জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু।

জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, অভিযানে মাছ, মাংস (মুরগী, গরু, খাসি), ভোজ্য তেল, চিনি, খেজুর, চাল, সকল প্রকার সবজি, মসলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হাতের নাগালে রাখতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মূল্যতালিকা প্রদর্শিত আছে কি না, ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার মজুদ আছে কি না এবং পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি কেমন আছে, তা তদারকি করা হয়। প্রতিটি ব্যবসায়ীকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে এবং বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য অনুরোধ ও সচেতন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় গরুর মাংস ৭০০ টাকা, ছাগলের মাংস ৯০০ টাকা (ছাগী ৮০০ টাকা) সকল প্রকার মুরগীর ক্রয়মূল্য থেকে কেজি প্রতি ১০ টাকা মুনাফায় বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের কোনো সংকট নেই। রমজানের প্রয়োজনীয় সব পণ্যের অতিরিক্ত মজুত রয়েছে। ব্যবসায়ীরা যেন কৃত্রিমভাবে কোনো সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা করতে না পারে, সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখব। যে জিনিসের চাহিদা বেশি থাকে, সে জিনিসের দাম স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়। সে জন্য ক্রেতাদের ক্ষেত্রেও আমাদের পরামর্শ থাকবে অপ্রয়োজনে কোনো জিনিস বা দ্রব্য বেশি পরিমাণে না ক্রয় করার জন্য।’ তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যৌক্তিক, স্বাভাবিক, স্থিতিশীল এবং সরবারহ নিশ্চিত করতে বাজার তদারকি অব্যাহত থাকবে।