ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২০:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:

গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের (ষোলটাকা গ্রামের) ইউপি সদস্য কামাল হোসেন হত্যা মামলায় বাবা আলমগীর হোসেন এবং ছেলে আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকার বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আলমগীর হোসেন গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে এবং আব্দুল মালেক একই গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১৭ সালের ২৫ মে আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে তার লোকজন ষোলটাকা গ্রামের কফিল উদ্দিনের বাড়িতে ঢুকে নিহত কামালের চাচা রাফাতুল ইসলামকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন সদস্য কামাল হোসেন জোড়পুকুরিয়া থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। কামাল হোসেন আব্দুল মালেকের বাড়ির সামনে এসে পৌঁছলে আব্দুল মালেকের নির্দেশে তাকে প্রকাশ্যে দিবালোকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রকাশ্যে দিবালোকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত কামালের ভাতিজা ফারুক হোসেন বাদী হয়ে দণ্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় আলমগীর হোসেন, আব্দুল মালেক, সবতুল্যাহ বিশ্বাস, রাফাতুল্যাহ বিশ্বাস, আব্দুল গনি, মাজেদুল হক, মাজহারুল ইসলাম, রাজু বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম ও তমিরকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ২৫৩/১৭। জিআর কেস নম্বর ১৬৯/২০১৭। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী তাঁদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে আসামি আলমগীর হোসেন এবং আব্দুল মালেক দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত তাদেরকে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন।

মামলার অপর আসামি সবতুল্যাহ বিশ্বাস, রাফাতুল্যাহ বিশ্বাস, আব্দুল গনি, মাজেদুল হক, মাজহারুল ইসলাম, রাজু বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম ও তমিরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে বেকসুর খালাস দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজী শহীদ এবং আসামি পক্ষে এ কে এম শফিকুল আলম কৌশলী ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা

আপলোড টাইম : ০৯:২০:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:

গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের (ষোলটাকা গ্রামের) ইউপি সদস্য কামাল হোসেন হত্যা মামলায় বাবা আলমগীর হোসেন এবং ছেলে আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকার বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আলমগীর হোসেন গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে এবং আব্দুল মালেক একই গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১৭ সালের ২৫ মে আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে তার লোকজন ষোলটাকা গ্রামের কফিল উদ্দিনের বাড়িতে ঢুকে নিহত কামালের চাচা রাফাতুল ইসলামকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন সদস্য কামাল হোসেন জোড়পুকুরিয়া থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। কামাল হোসেন আব্দুল মালেকের বাড়ির সামনে এসে পৌঁছলে আব্দুল মালেকের নির্দেশে তাকে প্রকাশ্যে দিবালোকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রকাশ্যে দিবালোকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত কামালের ভাতিজা ফারুক হোসেন বাদী হয়ে দণ্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় আলমগীর হোসেন, আব্দুল মালেক, সবতুল্যাহ বিশ্বাস, রাফাতুল্যাহ বিশ্বাস, আব্দুল গনি, মাজেদুল হক, মাজহারুল ইসলাম, রাজু বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম ও তমিরকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ২৫৩/১৭। জিআর কেস নম্বর ১৬৯/২০১৭। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী তাঁদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে আসামি আলমগীর হোসেন এবং আব্দুল মালেক দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত তাদেরকে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন।

মামলার অপর আসামি সবতুল্যাহ বিশ্বাস, রাফাতুল্যাহ বিশ্বাস, আব্দুল গনি, মাজেদুল হক, মাজহারুল ইসলাম, রাজু বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম ও তমিরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে বেকসুর খালাস দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজী শহীদ এবং আসামি পক্ষে এ কে এম শফিকুল আলম কৌশলী ছিলেন।