ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর দেশে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:

সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়েছে আরও প্রায় ৪০ হাজার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার। আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের কাছে বাড়িগুলো হস্তান্তর করেন। এর মধ্যদিয়ে পুরোপুরি ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হওয়ার স্বীকৃতি পেল চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলাসহ দেশের ৯টি জেলা ও ২১১টি উপজেলা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেশে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। তিনি ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেন। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বাড়িঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ নিই। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, জনগণের কল্যাণে কাজ করে। জনগণ এর সুফল পায়।

চুয়াডাঙ্গা:

গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত জেলার স্বীকৃতি পেল চুয়াডাঙ্গা জেলা। গতকাল বুধবার সকালে চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘোষণা দেন। চুয়াডাঙ্গা জেলায় চার দফায় মোট ৬৯৫টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল চতুর্থ পর্যায়ে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় চুয়াডাঙ্গা প্রান্তে জেলার চার উপজেলার ৬৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। এবার চতুর্থ পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা সদরে ২৬টি, আলমডাঙ্গা ১৭টি, দামুড়হুদায় ১৫টি ও জীবননগরে ১১টি ঘর প্রদান করা হয়। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে মিলে চুয়াডাঙ্গা সদরে মোট ঘর দেওয়া হয়েছে ২০১টি, আলমডাঙ্গায় ১৯২টি, দামুড়হুদায় ১৩৮টি ও জীবননগরে ১৬৪টি। আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ঘর তৈরি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল ১ লাখ ৭১ হাজার, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ লাখ ৯০ হাজার, তৃতীয় পর্যায়ে ২ লাখ ৫৯ হাজার এবং চতুর্থ পর্যায়ে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫ শ টাকা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শামীম ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, গণমাধ্যমকর্মী আহসান আলম প্রমুখ। উপভারভোগীদের মধ্যে অনূভূতি ব্যক্ত করেন কুতুবপুর ইউনিয়নের রশিদা খাতুন ও তিতুদহ ইউনিয়নের মসলেম আলী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খুলনা বিভাগের দ্বিতীয় জেলা হিসেবে চুয়াডাঙ্গা আজকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত জেলার স্বীকৃতি পাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যই এই বিশাল আশ্রয়ণ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষেরা উপকৃত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার অনেক সুনাম আছে। আপনারা নিরক্ষরমুক্ত জেলার দিকেই প্রথম কাতারে আছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত জেলার স্বীকৃতি পেয়ে আমাদের খুলনা বিভাগের মুখও উজ্জ্বল হয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না’, প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এ জেলায় ‘ক’ শ্রেণির (ভূমিহীন ও গৃহহীন) পরিবারের জন্য ৪ দফায় মোট ৬৯৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। আজ (২২ মার্চ) জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাকি ৬৯টি পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘর হস্তান্তরসহ এ জেলাকে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন’ জেলা হিসেবে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, ‘আশ্রয়ন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উপসনালয়, ব্যবহার্য পুকুর, কমিউনিটি স্পেস, শিশুদের জন্য পার্ক নির্মাণের প্যাকেজ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামীতে ‘খ’ শ্রেণির পরিবারের জন্য জেলায় যাদের জমি আছে ঘর নেই, তাদের নতুন ঘর দেওয়া হবে।’

আলমডাঙ্গা:

আলমডাঙ্গায় চতুর্থ পর্যায়ে ১৭ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে গৃহসহ কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে একযোগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৭ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের উপকারভোগীদের মাঝে গৃহসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কবির হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আইয়ুব হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুদ্দৌলা, প্রকল্প কর্মকর্তা এনামুল হক, কৃষি সম্প্রসার কর্মকর্তা সোহেল রানা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিন পারভেজ।

কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার উপস্থাপনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার আব্দুল আওয়াল, রুপালী ব্যাংকের ম্যানেজার জিল্লুর রহমান, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত, বিআরডিবি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন, তথ্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তয়নের লক্ষে সরকার সারাদেশে গৃহহীনদের মাঝে জমি ও গৃহ নির্মাণ করে তাদের মাঝে হস্তান্তর করছে, যাতে স্বাধীনতার স্বাদ সকল মানুষ সমানভাবে ভোগ করতে পারে। আলমডাঙ্গা উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ে ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নে ১২টি, নাগদাহ ইউনিয়নে ৩টি ও বেলগাছি ইউনিয়নে ২টিসহ মোট ১৭টি ঘর উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দামুড়হুদা:

দামুড়হুদায় চতুর্থ পর্যায়ে ১৫ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে গৃহসহ কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভিডিও কনফারেন্স-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।

দামুড়হুদায় গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মন্জু, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জল হক, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অভিজিৎ পাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শহিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আসির উদ্দিন, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলীসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাশ।

জীবননগর:

জীবননগরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ১১টি পরিবারের মাঝে জমি ও ঘরের চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জমি ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকুনুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান হাফিজ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন এডিসি (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আ. সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ শাহ ও মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, জীবননগর থানা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যাদব কুমার প্রামাণিক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার, উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা লতিকা ইয়াসমিন প্রমুখ।

চতুর্থ পর্যায়ে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে ৩টি, সীমান্ত ইউনিয়নে ৫টি ও রায়পুর ইউনিয়নে ৩টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ০.০২০০ একর জমির দলিল ও ঘরের চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানটির সার্বিক উপস্থাপনায় ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার সৈয়দ আব্দুল জব্বার।

Exif_JPEG_420

গাংনী:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক চতুর্থ পর্যায়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৩৯ হাজার ৩৬৫টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৪৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে। গতকাল গাংনী উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৭ জন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়। সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গাংনী উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা গাংনী নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু। প্রধান অতিথি থেকে গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী,  গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামিম, মনিরুজ্জামান আতু ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরঞ্জন চক্রবর্তী, ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যানগণসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বঙ্গবন্ধুর দেশে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না

আপলোড টাইম : ০৮:৪৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:

সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়েছে আরও প্রায় ৪০ হাজার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার। আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের কাছে বাড়িগুলো হস্তান্তর করেন। এর মধ্যদিয়ে পুরোপুরি ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হওয়ার স্বীকৃতি পেল চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলাসহ দেশের ৯টি জেলা ও ২১১টি উপজেলা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেশে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। তিনি ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেন। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বাড়িঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ নিই। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, জনগণের কল্যাণে কাজ করে। জনগণ এর সুফল পায়।

চুয়াডাঙ্গা:

গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত জেলার স্বীকৃতি পেল চুয়াডাঙ্গা জেলা। গতকাল বুধবার সকালে চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘোষণা দেন। চুয়াডাঙ্গা জেলায় চার দফায় মোট ৬৯৫টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল চতুর্থ পর্যায়ে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় চুয়াডাঙ্গা প্রান্তে জেলার চার উপজেলার ৬৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। এবার চতুর্থ পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা সদরে ২৬টি, আলমডাঙ্গা ১৭টি, দামুড়হুদায় ১৫টি ও জীবননগরে ১১টি ঘর প্রদান করা হয়। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে মিলে চুয়াডাঙ্গা সদরে মোট ঘর দেওয়া হয়েছে ২০১টি, আলমডাঙ্গায় ১৯২টি, দামুড়হুদায় ১৩৮টি ও জীবননগরে ১৬৪টি। আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ঘর তৈরি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল ১ লাখ ৭১ হাজার, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ লাখ ৯০ হাজার, তৃতীয় পর্যায়ে ২ লাখ ৫৯ হাজার এবং চতুর্থ পর্যায়ে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫ শ টাকা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শামীম ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, গণমাধ্যমকর্মী আহসান আলম প্রমুখ। উপভারভোগীদের মধ্যে অনূভূতি ব্যক্ত করেন কুতুবপুর ইউনিয়নের রশিদা খাতুন ও তিতুদহ ইউনিয়নের মসলেম আলী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খুলনা বিভাগের দ্বিতীয় জেলা হিসেবে চুয়াডাঙ্গা আজকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত জেলার স্বীকৃতি পাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যই এই বিশাল আশ্রয়ণ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষেরা উপকৃত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার অনেক সুনাম আছে। আপনারা নিরক্ষরমুক্ত জেলার দিকেই প্রথম কাতারে আছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত জেলার স্বীকৃতি পেয়ে আমাদের খুলনা বিভাগের মুখও উজ্জ্বল হয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না’, প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এ জেলায় ‘ক’ শ্রেণির (ভূমিহীন ও গৃহহীন) পরিবারের জন্য ৪ দফায় মোট ৬৯৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। আজ (২২ মার্চ) জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাকি ৬৯টি পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘর হস্তান্তরসহ এ জেলাকে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন’ জেলা হিসেবে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, ‘আশ্রয়ন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উপসনালয়, ব্যবহার্য পুকুর, কমিউনিটি স্পেস, শিশুদের জন্য পার্ক নির্মাণের প্যাকেজ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামীতে ‘খ’ শ্রেণির পরিবারের জন্য জেলায় যাদের জমি আছে ঘর নেই, তাদের নতুন ঘর দেওয়া হবে।’

আলমডাঙ্গা:

আলমডাঙ্গায় চতুর্থ পর্যায়ে ১৭ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে গৃহসহ কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে একযোগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৭ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের উপকারভোগীদের মাঝে গৃহসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কবির হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আইয়ুব হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুদ্দৌলা, প্রকল্প কর্মকর্তা এনামুল হক, কৃষি সম্প্রসার কর্মকর্তা সোহেল রানা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিন পারভেজ।

কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার উপস্থাপনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার আব্দুল আওয়াল, রুপালী ব্যাংকের ম্যানেজার জিল্লুর রহমান, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত, বিআরডিবি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন, তথ্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তয়নের লক্ষে সরকার সারাদেশে গৃহহীনদের মাঝে জমি ও গৃহ নির্মাণ করে তাদের মাঝে হস্তান্তর করছে, যাতে স্বাধীনতার স্বাদ সকল মানুষ সমানভাবে ভোগ করতে পারে। আলমডাঙ্গা উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ে ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নে ১২টি, নাগদাহ ইউনিয়নে ৩টি ও বেলগাছি ইউনিয়নে ২টিসহ মোট ১৭টি ঘর উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দামুড়হুদা:

দামুড়হুদায় চতুর্থ পর্যায়ে ১৫ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে গৃহসহ কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভিডিও কনফারেন্স-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।

দামুড়হুদায় গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মন্জু, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জল হক, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অভিজিৎ পাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শহিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আসির উদ্দিন, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলীসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাশ।

জীবননগর:

জীবননগরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ১১টি পরিবারের মাঝে জমি ও ঘরের চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জমি ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকুনুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান হাফিজ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন এডিসি (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আ. সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ শাহ ও মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, জীবননগর থানা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যাদব কুমার প্রামাণিক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার, উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা লতিকা ইয়াসমিন প্রমুখ।

চতুর্থ পর্যায়ে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে ৩টি, সীমান্ত ইউনিয়নে ৫টি ও রায়পুর ইউনিয়নে ৩টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ০.০২০০ একর জমির দলিল ও ঘরের চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানটির সার্বিক উপস্থাপনায় ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার সৈয়দ আব্দুল জব্বার।

Exif_JPEG_420

গাংনী:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক চতুর্থ পর্যায়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৩৯ হাজার ৩৬৫টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৪৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে। গতকাল গাংনী উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৭ জন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়। সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গাংনী উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা গাংনী নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু। প্রধান অতিথি থেকে গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী,  গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামিম, মনিরুজ্জামান আতু ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরঞ্জন চক্রবর্তী, ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যানগণসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা।