কবিরাজির নামে অপচিকিৎসা, ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে নির্যাতন
- আপলোড টাইম : ০৮:১৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
- / ৪৩ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহ অফিস:
ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে ঝাড়ফুঁক করার সময় আয়েশা খাতুন নামের স্কুলপড়ুয়া এক ছাত্রীর শরীর ঝলসে গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শুড়া গ্রামে। আহত আয়েশা চুয়াডাঙ্গার থানা কাউন্সিলপাড়ার আরিফুল ইসলামের মেয়ে। এ ঘটনায় হরিণাকুণ্ডু থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে আয়েশা খাতুনের পরিবার।
গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুড়া গ্রামের সৈয়দ আলী (৫৫) ও তার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজির নামে মানুষকে অপচিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় শিক্ষার্থী আয়েশা খাতুনের উপদৃষ্টির ভাব হলে তার পিতা তাকে সৈয়দ আলীর কাছে নিয়ে যান। প্রথমে কবিরাজ ঠান্ডা পানি দিয়ে ঝাড়ফুঁক করেন। এতে কাজ না হলে ফুটন্ত গরম পানি শরীরে ঢেলে দেয়। প্রতিবাদ করলে ওই শিক্ষার্থীর বাবা ও তার সঙ্গে আসা মামুন নামের একজনকে পানি পড়া খাইয়ে অজ্ঞান করে আয়েশার ওপর নির্যাতন করতে থাকেন।
এসময় আয়েশা খাতুন চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে। পরে তাকে উদ্ধার করে হরিণাকুণ্ডুু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তবে তার অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামবাসীর অভিযোগ, সৈয়দ আলী একজন ভণ্ড কবিরাজ। তিনি চিকিৎসার নামে যুবতীদের অজ্ঞান করে নির্যাতন করেন। এ বিষয়ে জানাতে সৈয়দ আলীকে ফোন করা হয়েছিল। তবে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আক্তারুজ্জামান লিটন বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কবিরাজ গা-ঢাকা দিয়েছে।