ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাগদাহ ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা : নৌকার প্রার্থী হায়াত আলীর পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৩২:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

আ.লীগের দলীয় ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর রেশারেশিতে সুবিধাজনক অবস্থায় জামায়াত প্রার্থী দারুস সালাম

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা যেন থামছেই না। ভোটের মাঠে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংষর্ঘের ঘটনায় ইউনিয়নজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হায়াত আলী ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী (স্বতন্ত্র) ইজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দার পরষ্পর বিরোধী নির্বাচনে বাঁধা, অফিস ভাঙচুর, কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা ও হুমকি-ধামকির অভিযোগ তুলেছেন। গতকাল সোমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের বিপুল জোয়ার্দ্দার ও তার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনাসহ নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নৌকার প্রার্থী হায়াত আলী। এর আগে গত রোববার বিকেলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হায়াত আলীর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন চশমা প্রতীকের ইজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দার।
গতকাল বিকেলে নাগদাহ ইউনিয়নের খেজুরতলা বাজারে নৌকা প্রতীকের শত শত কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতিতে সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হায়াত আলী উল্লেখ করেন, ‘আসন্ন ১১ নম্বর নাগদাহ ইউপি নির্বাচনে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন এমপি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতি প্রগাঢ় বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করে আসছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড আমাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার পর থেকে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে রাতদিন পরিশ্রম করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে নাগদাহ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। এরই মধ্যে অত্র ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় নৌকার শক্ত ভিত্তি স্থাপন হয়েছে। নৌকা প্রতীকের এই ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখে স্বতন্ত্র প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ার্দ্দার বিপুল ও তার সমর্থকদের মনোবল ভেঙ্গে গেছে। ফলে তারা গত ১১ মার্চ গভীর রাতে নির্বাচনী আইন ও বাধ্যবাধকতা অমান্য করে আমার নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরতা চালিয়েছে। বিপুল জোয়ার্দ্দারের লোকজন তার নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে। এতে আমার নৌকা প্রতীকের ৮ জন সমর্থক মারাত্বক রক্তাক্ত জখম হয়। তারা সবাই এখন চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী ও নৌকা প্রতীকের কর্মী দবির আলী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ-তে ক্লিনিক্যালি ডেড অবস্থায় আছেন। আল্লাহ যেন দবিরকে বাঁচিয়ে দেন। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি দবিরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হায়াত আলী আরও বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী বিপুল জোয়ার্দ্দার নৌকা প্রতীকের জনপ্রিয়তা দেখে বেসামাল হয়ে পড়েছেন। তিনি এখন নির্বাচন বানচাল করতে উঠে-পড়ে লেগেছেন। তাই তো তিনি তার পালিত সন্ত্রাসীদের নির্বাচনী মাঠে নামিয়ে ভোটের মাঠে তা-ব চালাচ্ছেন। নির্বিচারে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করছেন নৌকার নেতা-কর্মীদের। আর নৌকার নির্বাচনী অফিসও নেতৃত্ব দিয়ে ভাঙচুর করছেন। বিপুল জোয়ার্দ্দার নির্বাচনী মাঠে রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছেন।’ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হায়াত আলী দাবি করেন, ‘১১ মার্চ শনিবার রাতে নির্বাচনী প্রচাররণা চালানোর সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ার্দ্দার বিপুলের প্রত্যক্ষ নির্দেশে ওই বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটিয়েই তারা থেমে থাকেনি, সে সময় তারা নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে নৌকার পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে অপবাদ রটিয়েছে।’
হায়াত আলী আরও উল্লেখ করেন, ‘আমরা তাদের নামে মামলা করেছি, নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে দরখাস্ত দিয়েছি, আজ সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমি বিচার প্রার্থী। আমরা প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই সামর্থ্য থাকা সত্বেও আইন হাতে তুলে নিতে অনাগ্রহী। তাই সংযম প্রদর্শন করে চলেছি। এই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি ওই হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য।’ হায়াত আলী বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য আমি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মাস্টার, সহসভাপতি মুনসুর মোল্লা, হাসেম মোল্লা, মোয়াজ্জেম হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আলী, আইয়ুব হোসেন, মুখছার আলী, মটর আলী, জালাল উদ্দিন মন্ডল, আব্দুস সাত্তার, মনজুর রহমান, মোশারফ হোসেনসহ এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মাঠে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ২৪ ঘণ্টুা ইউনিয়নজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী মাঠে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো পক্ষের সন্ত্রাসী কর্মকা- সহ্য করা হবে না।
এদিকে, আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হায়াত আলী ও বিদ্রোহী চশমা প্রতীকের প্রার্থী ইজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দারের রেশারেশিতে সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী দারুস সালাম, নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেছেন। মন্তব্যকারী বলেন, বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে মারামারি কোন্দলে সুবিধাজনক অবস্থায় জামায়াতের দারুস সালাম। তাই এখনি কোন্দল না মেটালে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াত নেতা দারুস সালাম আবার চেয়ারম্যান হয়ে যাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

নাগদাহ ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা : নৌকার প্রার্থী হায়াত আলীর পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ০৩:৩২:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

আ.লীগের দলীয় ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর রেশারেশিতে সুবিধাজনক অবস্থায় জামায়াত প্রার্থী দারুস সালাম

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা যেন থামছেই না। ভোটের মাঠে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংষর্ঘের ঘটনায় ইউনিয়নজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হায়াত আলী ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী (স্বতন্ত্র) ইজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দার পরষ্পর বিরোধী নির্বাচনে বাঁধা, অফিস ভাঙচুর, কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা ও হুমকি-ধামকির অভিযোগ তুলেছেন। গতকাল সোমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের বিপুল জোয়ার্দ্দার ও তার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনাসহ নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নৌকার প্রার্থী হায়াত আলী। এর আগে গত রোববার বিকেলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হায়াত আলীর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন চশমা প্রতীকের ইজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দার।
গতকাল বিকেলে নাগদাহ ইউনিয়নের খেজুরতলা বাজারে নৌকা প্রতীকের শত শত কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতিতে সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হায়াত আলী উল্লেখ করেন, ‘আসন্ন ১১ নম্বর নাগদাহ ইউপি নির্বাচনে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন এমপি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতি প্রগাঢ় বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করে আসছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড আমাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার পর থেকে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে রাতদিন পরিশ্রম করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে নাগদাহ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। এরই মধ্যে অত্র ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় নৌকার শক্ত ভিত্তি স্থাপন হয়েছে। নৌকা প্রতীকের এই ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখে স্বতন্ত্র প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ার্দ্দার বিপুল ও তার সমর্থকদের মনোবল ভেঙ্গে গেছে। ফলে তারা গত ১১ মার্চ গভীর রাতে নির্বাচনী আইন ও বাধ্যবাধকতা অমান্য করে আমার নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরতা চালিয়েছে। বিপুল জোয়ার্দ্দারের লোকজন তার নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে। এতে আমার নৌকা প্রতীকের ৮ জন সমর্থক মারাত্বক রক্তাক্ত জখম হয়। তারা সবাই এখন চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী ও নৌকা প্রতীকের কর্মী দবির আলী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ-তে ক্লিনিক্যালি ডেড অবস্থায় আছেন। আল্লাহ যেন দবিরকে বাঁচিয়ে দেন। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি দবিরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হায়াত আলী আরও বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী বিপুল জোয়ার্দ্দার নৌকা প্রতীকের জনপ্রিয়তা দেখে বেসামাল হয়ে পড়েছেন। তিনি এখন নির্বাচন বানচাল করতে উঠে-পড়ে লেগেছেন। তাই তো তিনি তার পালিত সন্ত্রাসীদের নির্বাচনী মাঠে নামিয়ে ভোটের মাঠে তা-ব চালাচ্ছেন। নির্বিচারে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করছেন নৌকার নেতা-কর্মীদের। আর নৌকার নির্বাচনী অফিসও নেতৃত্ব দিয়ে ভাঙচুর করছেন। বিপুল জোয়ার্দ্দার নির্বাচনী মাঠে রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছেন।’ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হায়াত আলী দাবি করেন, ‘১১ মার্চ শনিবার রাতে নির্বাচনী প্রচাররণা চালানোর সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ার্দ্দার বিপুলের প্রত্যক্ষ নির্দেশে ওই বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটিয়েই তারা থেমে থাকেনি, সে সময় তারা নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে নৌকার পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে অপবাদ রটিয়েছে।’
হায়াত আলী আরও উল্লেখ করেন, ‘আমরা তাদের নামে মামলা করেছি, নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে দরখাস্ত দিয়েছি, আজ সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমি বিচার প্রার্থী। আমরা প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই সামর্থ্য থাকা সত্বেও আইন হাতে তুলে নিতে অনাগ্রহী। তাই সংযম প্রদর্শন করে চলেছি। এই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি ওই হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য।’ হায়াত আলী বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য আমি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মাস্টার, সহসভাপতি মুনসুর মোল্লা, হাসেম মোল্লা, মোয়াজ্জেম হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আলী, আইয়ুব হোসেন, মুখছার আলী, মটর আলী, জালাল উদ্দিন মন্ডল, আব্দুস সাত্তার, মনজুর রহমান, মোশারফ হোসেনসহ এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মাঠে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ২৪ ঘণ্টুা ইউনিয়নজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী মাঠে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো পক্ষের সন্ত্রাসী কর্মকা- সহ্য করা হবে না।
এদিকে, আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হায়াত আলী ও বিদ্রোহী চশমা প্রতীকের প্রার্থী ইজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দারের রেশারেশিতে সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী দারুস সালাম, নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেছেন। মন্তব্যকারী বলেন, বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে মারামারি কোন্দলে সুবিধাজনক অবস্থায় জামায়াতের দারুস সালাম। তাই এখনি কোন্দল না মেটালে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াত নেতা দারুস সালাম আবার চেয়ারম্যান হয়ে যাবে।