ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেডিকেল ভর্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীদের জয়জয়কার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চলতি বছর মেডিকেল ভর্তিযুদ্ধে ভালো করেছে চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা। সর্বোচ্চ চেষ্টায় স্বপ্নকে জয় করতে উদ্যোমী মেধাবী শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমের ফল পেয়েছে তারা। এ বছর চুয়াডাঙ্গায় মেডিকেলে চান্সপ্রাপ্তের সংখ্যা বেড়েছে। চলতি বছরের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয় গতকাল রোববার। এর মধ্যে অনেকেই দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ও আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চুয়াডাঙ্গার কৃতী শিক্ষার্থীরা মেডিকেল ভর্তিযুদ্ধে নিজের স্থান করে নিয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী আব্দুস সালাম সৈকত ও রুনা লায়লা দীপা দম্পতির মেয়ে ইলমা আফরিন মৈত্রী চান্স পেয়েছে মুগদা মেডিকেল কলেজে। ছোটবেলা থেকেই পড়ার অভ্যাস, পড়াশোনায় লেগে থাকায় তার রেজাল্ট ভালো করেছে বলে মনে করেন ইলমা আফরিন মৈত্রী। অনুভূতিতে মৈত্রী বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো করতে হবে এমন একটা মানসিকতা আছে। সবসময়ই ভালো ফলাফল হয়। সবথেকে বড় কথা, পড়াশোনার কোনো চাপ নেই আমার। আব্বু আম্মুর সাপোর্ট পেয়েছি প্রচুর। চান্স যদি না পেতাম, তাও আব্বু কিছুই বলত না। কিন্তু আমার মনই খারাপ হতো। বাসা থেকে তোমার যেটা পছন্দ করো, আর বিশেষ করে কোনো কিছু চাপিয়ে না দেওয়া, চাপ না দেওয়ায় আমি মনোযোগ দিতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো ফল হয়েছে।’

আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মনা ও শারমিন আক্তার দম্পতির ছেলে শাকিবুজ্জামান মুগ্ধ চান্স পেয়েছেন পাবনা মেডিকেল কলেজে। নিরন্তর চেষ্টায় তার সাফল্যের চাবিকাঠি জানিয়ে মুগ্ধ বলেন, ‘আমি গতবারও পরীক্ষা দিয়েছিলাম। সেবার মেডিকেলে না হলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজিতে চান্স  পেয়েছিলাম। ভর্তি হলেও মেডিকেলের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ফের চেষ্টা করি। রাজশাহীতেই মেডিকেলের জন্য কোচিং করি। আল্লাহর রহমতে এবার চান্স হয়েছে।’ অভিন্ন ভাষায় কথা বলছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার গোরস্তান পাড়ার বাসিন্দা আলী আক্তার খাঁন ও সোনিয়া শামির দম্পতির ছেলে আরিয়ান শিফাত খাঁন।

আরিয়ান শিফাত খাঁন সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। গত বছর পরীক্ষা দিয়ে মেডিকেলে চান্স না পেলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে  কেমিস্ট্রিতে চান্স পান। তবে মেডিকেলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে পিছপা হননি তিনি। অনুভূতিতে আরিয়ান জানান, ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবারও তিনি চেষ্টা করেন। পরিশ্রমের ফলে সফলতাও পেয়েছেন। তাঁর মতে চেষ্টা করতে হবে।

আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র ইকবাল মাহমুদ সানভি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। তিনি মতিয়ার রহমান ও রহিমা খাতুন দম্পতির বড় ছেলে। প্রচুর পড়াশোনা করেই সফলতা হাতে এসেছে বলে মনে করে ইকবাল মাহমুদ সানভি। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কুলচারা গ্রামের আকবর আলী বিশ্বাস ও নাসরিন আক্তার দম্পতির ছেলে জার্জিস আহমেদ লিমন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। তিনি ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ নিয়ে এইচএসসি পাশ করেন। লিমন জানান, ‘আমি ফাস্ট ইয়ার থেকেই মেডিকেলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এইচএসসির পর ঢাকাতে মেডিকেল কোচিং করি। আব্বু-আম্মু প্রথম থেকেই উৎসাহ দিয়েছেন। আল্লাহর রহমতে পরিশ্রম আর চেষ্টায় চান্স পেয়েছি।’

আলমডাঙ্গার নওদা বন্ডবিল এলাকার আখতারুজ্জামান ও মনোয়ারা বেগম দম্পতির ছোট ছেলে আহসান উল্লাহ সজীব স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। অনলাইনে মেডিকেলের কোচিং করে তাঁর সাফল্য অনেকটাই সাড়া ফেলেছে এলাকায়। অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আহসান উল্লাহ সজীব বলেন, ‘মেডিকেলে পড়তে হবে এটা আমার কাছে স্বপ্নই ছিল। পড়তে হবেই এমন চেষ্টাও ছিল। তাকদিরে থাকা লাগে। তবে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এরকম ভাবনা আর পরিশ্রম সফলতা এনে দিয়েছে। অনলাইনে মেডিকেল কোচিং করেছি বাসায় থেকে। যাওয়া আসার ঝামেলা সময় নষ্ট এসব হয়নি। অনেকটা বেশি সময়ও পাওয়া গেছে। পড়ে কাজে লাগিয়েছি।’

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা বেলগাছি রেলগেট এলাকার মিশকাতুল জান্নাত নিঝুম রাজশাহী মেডিকেল কলেজে, হাসপাতাল সড়কের সুবহাতুন ইসলাম সোহা রংপুর মেডিকেল কলেজে, চুয়াডাঙ্গা কোর্ট পাড়ার ইফতেখার হোসাইন সাদাফ বরিশাল মেডিকেল কলেজে, রেজোয়ানা নাজনিন রিমু রংপুর মেডিকেল কলেজে, গুলশানপাড়ার নুসরাত জাহান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। এছাড়াও, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র পলাশ সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে, উৎসব রাজশাহী মেডিকেল কলেজে, ইফাত বরিশাল মেডিকেল কলেজে, শাওন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে, ইশতিয়াক গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজে, অনন্যা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে, ইমা সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজে, জিম রাজশাহী মেডিকেল কলেজে, সুমাইয়া সিলেট মেডিকেল কলেজে, মাহফুজ-রংপুর মেডিকেল কলেজে, ইথিকা খুলনা মেডিকেল কলেজে, হাসান রাব্বি, খুলনা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেডিকেল ভর্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীদের জয়জয়কার

আপলোড টাইম : ০৯:০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চলতি বছর মেডিকেল ভর্তিযুদ্ধে ভালো করেছে চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা। সর্বোচ্চ চেষ্টায় স্বপ্নকে জয় করতে উদ্যোমী মেধাবী শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমের ফল পেয়েছে তারা। এ বছর চুয়াডাঙ্গায় মেডিকেলে চান্সপ্রাপ্তের সংখ্যা বেড়েছে। চলতি বছরের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয় গতকাল রোববার। এর মধ্যে অনেকেই দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ও আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চুয়াডাঙ্গার কৃতী শিক্ষার্থীরা মেডিকেল ভর্তিযুদ্ধে নিজের স্থান করে নিয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী আব্দুস সালাম সৈকত ও রুনা লায়লা দীপা দম্পতির মেয়ে ইলমা আফরিন মৈত্রী চান্স পেয়েছে মুগদা মেডিকেল কলেজে। ছোটবেলা থেকেই পড়ার অভ্যাস, পড়াশোনায় লেগে থাকায় তার রেজাল্ট ভালো করেছে বলে মনে করেন ইলমা আফরিন মৈত্রী। অনুভূতিতে মৈত্রী বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো করতে হবে এমন একটা মানসিকতা আছে। সবসময়ই ভালো ফলাফল হয়। সবথেকে বড় কথা, পড়াশোনার কোনো চাপ নেই আমার। আব্বু আম্মুর সাপোর্ট পেয়েছি প্রচুর। চান্স যদি না পেতাম, তাও আব্বু কিছুই বলত না। কিন্তু আমার মনই খারাপ হতো। বাসা থেকে তোমার যেটা পছন্দ করো, আর বিশেষ করে কোনো কিছু চাপিয়ে না দেওয়া, চাপ না দেওয়ায় আমি মনোযোগ দিতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো ফল হয়েছে।’

আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মনা ও শারমিন আক্তার দম্পতির ছেলে শাকিবুজ্জামান মুগ্ধ চান্স পেয়েছেন পাবনা মেডিকেল কলেজে। নিরন্তর চেষ্টায় তার সাফল্যের চাবিকাঠি জানিয়ে মুগ্ধ বলেন, ‘আমি গতবারও পরীক্ষা দিয়েছিলাম। সেবার মেডিকেলে না হলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজিতে চান্স  পেয়েছিলাম। ভর্তি হলেও মেডিকেলের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ফের চেষ্টা করি। রাজশাহীতেই মেডিকেলের জন্য কোচিং করি। আল্লাহর রহমতে এবার চান্স হয়েছে।’ অভিন্ন ভাষায় কথা বলছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার গোরস্তান পাড়ার বাসিন্দা আলী আক্তার খাঁন ও সোনিয়া শামির দম্পতির ছেলে আরিয়ান শিফাত খাঁন।

আরিয়ান শিফাত খাঁন সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। গত বছর পরীক্ষা দিয়ে মেডিকেলে চান্স না পেলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে  কেমিস্ট্রিতে চান্স পান। তবে মেডিকেলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে পিছপা হননি তিনি। অনুভূতিতে আরিয়ান জানান, ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবারও তিনি চেষ্টা করেন। পরিশ্রমের ফলে সফলতাও পেয়েছেন। তাঁর মতে চেষ্টা করতে হবে।

আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র ইকবাল মাহমুদ সানভি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। তিনি মতিয়ার রহমান ও রহিমা খাতুন দম্পতির বড় ছেলে। প্রচুর পড়াশোনা করেই সফলতা হাতে এসেছে বলে মনে করে ইকবাল মাহমুদ সানভি। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কুলচারা গ্রামের আকবর আলী বিশ্বাস ও নাসরিন আক্তার দম্পতির ছেলে জার্জিস আহমেদ লিমন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। তিনি ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ নিয়ে এইচএসসি পাশ করেন। লিমন জানান, ‘আমি ফাস্ট ইয়ার থেকেই মেডিকেলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এইচএসসির পর ঢাকাতে মেডিকেল কোচিং করি। আব্বু-আম্মু প্রথম থেকেই উৎসাহ দিয়েছেন। আল্লাহর রহমতে পরিশ্রম আর চেষ্টায় চান্স পেয়েছি।’

আলমডাঙ্গার নওদা বন্ডবিল এলাকার আখতারুজ্জামান ও মনোয়ারা বেগম দম্পতির ছোট ছেলে আহসান উল্লাহ সজীব স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। অনলাইনে মেডিকেলের কোচিং করে তাঁর সাফল্য অনেকটাই সাড়া ফেলেছে এলাকায়। অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আহসান উল্লাহ সজীব বলেন, ‘মেডিকেলে পড়তে হবে এটা আমার কাছে স্বপ্নই ছিল। পড়তে হবেই এমন চেষ্টাও ছিল। তাকদিরে থাকা লাগে। তবে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এরকম ভাবনা আর পরিশ্রম সফলতা এনে দিয়েছে। অনলাইনে মেডিকেল কোচিং করেছি বাসায় থেকে। যাওয়া আসার ঝামেলা সময় নষ্ট এসব হয়নি। অনেকটা বেশি সময়ও পাওয়া গেছে। পড়ে কাজে লাগিয়েছি।’

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা বেলগাছি রেলগেট এলাকার মিশকাতুল জান্নাত নিঝুম রাজশাহী মেডিকেল কলেজে, হাসপাতাল সড়কের সুবহাতুন ইসলাম সোহা রংপুর মেডিকেল কলেজে, চুয়াডাঙ্গা কোর্ট পাড়ার ইফতেখার হোসাইন সাদাফ বরিশাল মেডিকেল কলেজে, রেজোয়ানা নাজনিন রিমু রংপুর মেডিকেল কলেজে, গুলশানপাড়ার নুসরাত জাহান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। এছাড়াও, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র পলাশ সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে, উৎসব রাজশাহী মেডিকেল কলেজে, ইফাত বরিশাল মেডিকেল কলেজে, শাওন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে, ইশতিয়াক গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজে, অনন্যা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে, ইমা সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজে, জিম রাজশাহী মেডিকেল কলেজে, সুমাইয়া সিলেট মেডিকেল কলেজে, মাহফুজ-রংপুর মেডিকেল কলেজে, ইথিকা খুলনা মেডিকেল কলেজে, হাসান রাব্বি, খুলনা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।