ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫১:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি-জামায়াতের ‘রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সকল উন্নয়ন ধ্বংস করার অপতৎপরতার’ বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে শহরের শহীদ হাসান চত্বরের মুক্তমঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শান্তি সমাবেশে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘স্মাট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা স্থবির করতে বিএনপি নানা কর্মসূচি দিচ্ছে। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি অব্যাহত। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পড়েছে তারা। বিএনপি গণতন্ত্রের নাম দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। মানুষে মানুষে সহিংসতা লাগিয়ে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে। তারা মনে করেছে লন্ডনে পালিয়ে থাকা দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান যে নির্দেশনা পাঠাবে, এ দেশের মানুষ তা মানবে। তাদের মনে রাখা উচিত এই দেশ এখন বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের জনসমর্থনে শেখ হাসিনার হাত অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় এখন আরও শক্তিশালী। বিএনপি-জামায়াতের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি দেশবাসী আমাদের চাই। এই দেশ গত ১৪ বছর যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আছে, দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের আজ পরিচিতি পেয়েছে। বিএনপি-জামায়াত এসব উন্নয়ন চায় না।’
শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যা করেছে, এই বাংলায় আর কোনো সরকার তা পারেনি। বিএনপি-জামায়াত আপনারা ষড়যন্ত্র করবেন না। দেশের মানুষ সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি ও দেশের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি-জামায়াত পাগলের প্রলাপ করছে। ইউনিয়নে ইউনিয়নে রাজনৈনিতক কর্মসূচির নামে পদযাত্রার ডাক দিয়ে তামাশা করছে বিএনপি। তাদের মাঠে কোনো অস্তিত্ব নেই। আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার নামে জনগণের সাথে ঠাট্টা করা হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। আজকে বিএনপি-জামায়াত আপনারা যায় মনে করেন, আমাদের নেত্রী বার বার বলেছে শান্ত পরিবেশকে আমরা অশান্ত করতে দেব না।’
শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথি থেকে আরও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। তিনি বলেন, একটি পক্ষ বারবার ষড়যন্ত্র করছে। মানুষের জান-মালের ক্ষতি করে তারা সরকার পতনের চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের আন্দোলনে লোক হয় না। তারা গুটি কতেক মানুষ ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করলে, আমরা প্রতিহত করব।’ তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এই দেশের উন্নয়ন হবে। বাংলার উন্নয়নের চিত্র শেখ হাসিনার সরকার বারবার দেখাচ্ছে। আগামীতে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ দশ অর্থনীতির দেশের কাতারে আসবে। আওয়ামী লীগ সরকারকে বারবার ক্ষমতায় আনতে হবে।
এছাড়াও শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। তিনি বলেন, ‘বিএনপির লোকেরা আপনাদের বলতে চাই, কর্মসূচি দিচ্ছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেন, আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ষড়যন্ত্র করবেন না।’ তিনি আরও বলেন, সকল সড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে হলে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে। আজকে যখন বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে হাঁটছে, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র হতে যাচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে ওই সব সন্ত্রাসীরা আবার দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাই পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, চুয়াডাঙ্গা জেলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা হবে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফির পরিচালনায় শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুল মালেক, সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন দুদু, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতি, সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেব লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজল।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান, আইনবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, যুগ্ম সম্পাদক সুলতান মাহমুদ দীপন, দপ্তর সম্পাদক জনি আহমেদ, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন মিলন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জুয়েল রানা, চুয়াডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভুলন, সাধারণ সম্পাদক শেখ সামি তাপু, ১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ওয়াসিম প্রমুখ। এসময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, দেশবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কেন্দ্র নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তি সমাবেশ করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ। গতকাল শনিবার বিকেল চারটায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ হাসান চত্বর মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে অংশ নেয়।
মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, আজাদ আলী, হাফিজুর রহমান হাপু, আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা পিরু মিয়া, মাসুদুর রহমান মাসুম, হাসানুল ইসলাম পলেন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রামীম হোসেন সৈকত, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সামিউল শেখ সুইট, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য খালিদ মণ্ডল, দিপু বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক খান জাহান, ৫নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আলিম, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আসাদ, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব, ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ও চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান শিলন, পদ্মবিলা ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি বিপ্লব হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন লোকমান, মোনাজাত, জাকির, সুমন, ইমরান, সোহাগ, রুবেল, সঞ্জু, জনি, জুয়েল, ইব্রাহিম, জিসান, সজীব, শাকিব, বাচ্চু, লিফটন, ছাত্রলীগ নেতা সিয়াদ, বিপুল, সৌরভ, ওয়াসিম, সুজন, আলী প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম

আপলোড টাইম : ০৭:৫১:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি-জামায়াতের ‘রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সকল উন্নয়ন ধ্বংস করার অপতৎপরতার’ বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে শহরের শহীদ হাসান চত্বরের মুক্তমঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শান্তি সমাবেশে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘স্মাট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা স্থবির করতে বিএনপি নানা কর্মসূচি দিচ্ছে। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি অব্যাহত। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পড়েছে তারা। বিএনপি গণতন্ত্রের নাম দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। মানুষে মানুষে সহিংসতা লাগিয়ে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে। তারা মনে করেছে লন্ডনে পালিয়ে থাকা দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান যে নির্দেশনা পাঠাবে, এ দেশের মানুষ তা মানবে। তাদের মনে রাখা উচিত এই দেশ এখন বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের জনসমর্থনে শেখ হাসিনার হাত অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় এখন আরও শক্তিশালী। বিএনপি-জামায়াতের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি দেশবাসী আমাদের চাই। এই দেশ গত ১৪ বছর যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আছে, দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের আজ পরিচিতি পেয়েছে। বিএনপি-জামায়াত এসব উন্নয়ন চায় না।’
শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যা করেছে, এই বাংলায় আর কোনো সরকার তা পারেনি। বিএনপি-জামায়াত আপনারা ষড়যন্ত্র করবেন না। দেশের মানুষ সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি ও দেশের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি-জামায়াত পাগলের প্রলাপ করছে। ইউনিয়নে ইউনিয়নে রাজনৈনিতক কর্মসূচির নামে পদযাত্রার ডাক দিয়ে তামাশা করছে বিএনপি। তাদের মাঠে কোনো অস্তিত্ব নেই। আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার নামে জনগণের সাথে ঠাট্টা করা হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। আজকে বিএনপি-জামায়াত আপনারা যায় মনে করেন, আমাদের নেত্রী বার বার বলেছে শান্ত পরিবেশকে আমরা অশান্ত করতে দেব না।’
শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথি থেকে আরও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। তিনি বলেন, একটি পক্ষ বারবার ষড়যন্ত্র করছে। মানুষের জান-মালের ক্ষতি করে তারা সরকার পতনের চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের আন্দোলনে লোক হয় না। তারা গুটি কতেক মানুষ ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করলে, আমরা প্রতিহত করব।’ তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এই দেশের উন্নয়ন হবে। বাংলার উন্নয়নের চিত্র শেখ হাসিনার সরকার বারবার দেখাচ্ছে। আগামীতে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ দশ অর্থনীতির দেশের কাতারে আসবে। আওয়ামী লীগ সরকারকে বারবার ক্ষমতায় আনতে হবে।
এছাড়াও শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। তিনি বলেন, ‘বিএনপির লোকেরা আপনাদের বলতে চাই, কর্মসূচি দিচ্ছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেন, আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ষড়যন্ত্র করবেন না।’ তিনি আরও বলেন, সকল সড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে হলে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে। আজকে যখন বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে হাঁটছে, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র হতে যাচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে ওই সব সন্ত্রাসীরা আবার দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাই পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, চুয়াডাঙ্গা জেলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা হবে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফির পরিচালনায় শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুল মালেক, সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন দুদু, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতি, সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেব লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজল।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান, আইনবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, যুগ্ম সম্পাদক সুলতান মাহমুদ দীপন, দপ্তর সম্পাদক জনি আহমেদ, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন মিলন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জুয়েল রানা, চুয়াডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভুলন, সাধারণ সম্পাদক শেখ সামি তাপু, ১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ওয়াসিম প্রমুখ। এসময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, দেশবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কেন্দ্র নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তি সমাবেশ করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ। গতকাল শনিবার বিকেল চারটায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ হাসান চত্বর মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে অংশ নেয়।
মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, আজাদ আলী, হাফিজুর রহমান হাপু, আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা পিরু মিয়া, মাসুদুর রহমান মাসুম, হাসানুল ইসলাম পলেন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রামীম হোসেন সৈকত, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সামিউল শেখ সুইট, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য খালিদ মণ্ডল, দিপু বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক খান জাহান, ৫নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আলিম, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আসাদ, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব, ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ও চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান শিলন, পদ্মবিলা ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি বিপ্লব হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন লোকমান, মোনাজাত, জাকির, সুমন, ইমরান, সোহাগ, রুবেল, সঞ্জু, জনি, জুয়েল, ইব্রাহিম, জিসান, সজীব, শাকিব, বাচ্চু, লিফটন, ছাত্রলীগ নেতা সিয়াদ, বিপুল, সৌরভ, ওয়াসিম, সুজন, আলী প্রমুখ।