ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপহারের ঘর পেয়েও ‘গৃহহীন’ ৬২ পরিবার!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৩৭:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩
  • / ৪২ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
মেহেরপুরের গাংনীতে ৬২ পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েও মালিক হতে পারেনি। এর মধ্যে ২০টি ঘর আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। আর ৪২ পরিবারকে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হলেও কবুলিয়তনামা ও নামজারির কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। উপজেলা প্রশাসন বলছে, আদালতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সুরাহা না হলে তাদের কিছুই করার নেই। কবুলিয়তনামা ও নামজারির কাগজ শিগগিরই দেওয়া হবে।

গাংনী উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে গৃহ ও ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মটমুড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের এক নম্বর খতিয়ানের ৫৯২০ দাগে ১৭ জন এবং ষোলটাকা ইউনিয়নের কাষ্টদহ গ্রামে তিনটি পরিবারকে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাষ্টদহ গ্রামের তিনটি ঘর নির্মাণ ৮০ শতাংশ শেষ হওয়ার পর স্থানীয় এক প্রভাবশালী এবং মোহাম্মদপুর গ্রামের ১৭টি ঘর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর আবুল মেলেটারী নামের এক ব্যক্তি এক নম্বর খতিয়ানের ৫৯২০ দাগের জমি তার নিজের বলে দাবি করে আদালতে মামলা করেন।

মোহাম্মদপুর গ্রামের সুজন ও তার স্ত্রী বিউটি বলেন, তাদের নামে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হলেও তারা ঘরে উঠতে পারেন ন। ঘরের কোনো কাগজপত্র দেওয়া হয়নি। গ্রামের প্রভাবশালী আবুল মেলেটারী সেখানে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন। মামলার বাদী আবুল হোসেন মেলেটারী বলেন, তিনি ওই জমি সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়েছেন। এ জমিতে ভূমি অফিস অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করায় আদালতে মামলা করেছেন। আদালত ঘর নির্মাণে স্থগিতাদেশ দেন। কোনো পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়নি।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম বলেন, মোহাম্মদপুরের জমি নিয়ে কোনো মামলার বিষয় কারও জানা ছিল না। ঘর নির্মাণের পর আবুল মেলেটারী নামের একজন আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসায় ঘরগুলো মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রনি খাতুন বলেন, মামলার জটিলতায় ঘর হস্তান্তর প্রক্রিয়া আটকে গেছে। আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের কিছুই করার নেই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

উপহারের ঘর পেয়েও ‘গৃহহীন’ ৬২ পরিবার!

আপলোড টাইম : ০৭:৩৭:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
মেহেরপুরের গাংনীতে ৬২ পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েও মালিক হতে পারেনি। এর মধ্যে ২০টি ঘর আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। আর ৪২ পরিবারকে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হলেও কবুলিয়তনামা ও নামজারির কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। উপজেলা প্রশাসন বলছে, আদালতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সুরাহা না হলে তাদের কিছুই করার নেই। কবুলিয়তনামা ও নামজারির কাগজ শিগগিরই দেওয়া হবে।

গাংনী উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে গৃহ ও ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মটমুড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের এক নম্বর খতিয়ানের ৫৯২০ দাগে ১৭ জন এবং ষোলটাকা ইউনিয়নের কাষ্টদহ গ্রামে তিনটি পরিবারকে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাষ্টদহ গ্রামের তিনটি ঘর নির্মাণ ৮০ শতাংশ শেষ হওয়ার পর স্থানীয় এক প্রভাবশালী এবং মোহাম্মদপুর গ্রামের ১৭টি ঘর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর আবুল মেলেটারী নামের এক ব্যক্তি এক নম্বর খতিয়ানের ৫৯২০ দাগের জমি তার নিজের বলে দাবি করে আদালতে মামলা করেন।

মোহাম্মদপুর গ্রামের সুজন ও তার স্ত্রী বিউটি বলেন, তাদের নামে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হলেও তারা ঘরে উঠতে পারেন ন। ঘরের কোনো কাগজপত্র দেওয়া হয়নি। গ্রামের প্রভাবশালী আবুল মেলেটারী সেখানে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন। মামলার বাদী আবুল হোসেন মেলেটারী বলেন, তিনি ওই জমি সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়েছেন। এ জমিতে ভূমি অফিস অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করায় আদালতে মামলা করেছেন। আদালত ঘর নির্মাণে স্থগিতাদেশ দেন। কোনো পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়নি।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম বলেন, মোহাম্মদপুরের জমি নিয়ে কোনো মামলার বিষয় কারও জানা ছিল না। ঘর নির্মাণের পর আবুল মেলেটারী নামের একজন আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসায় ঘরগুলো মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রনি খাতুন বলেন, মামলার জটিলতায় ঘর হস্তান্তর প্রক্রিয়া আটকে গেছে। আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের কিছুই করার নেই।