ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার নাগদাহে আ.লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংর্ঘষ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:২৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নে নির্বাচনী অফিস ভাঙাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাগদাহ ইউনিয়নের জহুরুল নগর ও বলিয়ারপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতরা হলেন- আওয়ামী লীগের সমর্থক জহুরুল নগর ক্লাবপাড়ার আত্তাপ আলীর তিন ছেলে খবির উদ্দিন (৫৫), আনিসুর (৪৫) ও দবির (৪০), একই এলাকার ইসলাম লস্কারের ছেলে মিয়াজান (৩৫), বলিয়ারপুর পশ্চিমপাড়ার শাহজাহান মণ্ডলের ছেলে আব্দুস সেলিম (৪৬), সানারদ্দীনের ছেলে আকরাম (৩৬), শামসুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে বাবলুর রহমান (৫০) ও মোতালেব মণ্ডলের ছেলে কেসমত আলী (৪৫)। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা হলেন বলিয়ারপুর পশ্চিমপাড়ার ইসাহাক মণ্ডলের ছেলে ইসরাইল হোসেন বুদো (৪৫), ইসরাইলের ছেলে মামুনুর রশিদ (২৪) ও মেয়ে ইশিতা খাতুন (১৫)।
নাগদাহ ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ার্দ্দার বিপুল বলেন, ‘২০ থেকে ২৫টি মোটরসাইকেলযোগে নৌকার কর্মী-সমর্থকেরা আমার অফিসের সামনে আসে। এসময় তারা নৌকা ছাড়া কোনো প্রার্থীর অফিস থাকবে না বলে স্লোগান দিতে দিতে আমার অফিস ভাঙচুর শুরু করে। এরপর তারা নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এতে আমার তিন কর্মী রক্তাক্ত জখমসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছে। পরে আমার সমর্থকেরা সংগঠিত হলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তিনি আরও বলেন, দুই-তিন দিন ধরে গুঞ্জন ছিল আওয়ামী লীগের কর্মীরা আমাদের অফিসে হামলা করবে। তবে বিষয়টি আমরা আমলে নিইনি।’ তিনি আরও বলেন, জখম তিনজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এ বিষয়ে কাল (আজ রোববার) থানায় অভিযোগ করা হবে।’
এ ব্যাপারে জানতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হায়াত আলীর সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি। এ বিষয়ে সদর হাসপতালে আহতদের সঙ্গে আসা হায়াত আলীর ভাই আশিক ইকবাল স্বপন বলেন, ‘১৫-১৬টি মোটরসাইকেল নিয়ে আমরা শোভাযাত্রা করছিলাম। শোভাযাত্রা শেষে অফিসের সামনে দাঁড়ালে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কা-ধাক্কি হয়। এসময় চশমা প্রতীকের প্রার্থীরা আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অর্তকিত হামলা করে। এতে আমাদের আটজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এরমধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে রাজশাহী নিতে হবে।’
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নাগদাহ ইউনিয়নে দুই প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনী অফিস ভাঙাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গার নাগদাহে আ.লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংর্ঘষ

আপলোড টাইম : ০৭:২৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নে নির্বাচনী অফিস ভাঙাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাগদাহ ইউনিয়নের জহুরুল নগর ও বলিয়ারপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতরা হলেন- আওয়ামী লীগের সমর্থক জহুরুল নগর ক্লাবপাড়ার আত্তাপ আলীর তিন ছেলে খবির উদ্দিন (৫৫), আনিসুর (৪৫) ও দবির (৪০), একই এলাকার ইসলাম লস্কারের ছেলে মিয়াজান (৩৫), বলিয়ারপুর পশ্চিমপাড়ার শাহজাহান মণ্ডলের ছেলে আব্দুস সেলিম (৪৬), সানারদ্দীনের ছেলে আকরাম (৩৬), শামসুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে বাবলুর রহমান (৫০) ও মোতালেব মণ্ডলের ছেলে কেসমত আলী (৪৫)। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা হলেন বলিয়ারপুর পশ্চিমপাড়ার ইসাহাক মণ্ডলের ছেলে ইসরাইল হোসেন বুদো (৪৫), ইসরাইলের ছেলে মামুনুর রশিদ (২৪) ও মেয়ে ইশিতা খাতুন (১৫)।
নাগদাহ ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ার্দ্দার বিপুল বলেন, ‘২০ থেকে ২৫টি মোটরসাইকেলযোগে নৌকার কর্মী-সমর্থকেরা আমার অফিসের সামনে আসে। এসময় তারা নৌকা ছাড়া কোনো প্রার্থীর অফিস থাকবে না বলে স্লোগান দিতে দিতে আমার অফিস ভাঙচুর শুরু করে। এরপর তারা নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এতে আমার তিন কর্মী রক্তাক্ত জখমসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছে। পরে আমার সমর্থকেরা সংগঠিত হলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তিনি আরও বলেন, দুই-তিন দিন ধরে গুঞ্জন ছিল আওয়ামী লীগের কর্মীরা আমাদের অফিসে হামলা করবে। তবে বিষয়টি আমরা আমলে নিইনি।’ তিনি আরও বলেন, জখম তিনজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এ বিষয়ে কাল (আজ রোববার) থানায় অভিযোগ করা হবে।’
এ ব্যাপারে জানতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হায়াত আলীর সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি। এ বিষয়ে সদর হাসপতালে আহতদের সঙ্গে আসা হায়াত আলীর ভাই আশিক ইকবাল স্বপন বলেন, ‘১৫-১৬টি মোটরসাইকেল নিয়ে আমরা শোভাযাত্রা করছিলাম। শোভাযাত্রা শেষে অফিসের সামনে দাঁড়ালে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কা-ধাক্কি হয়। এসময় চশমা প্রতীকের প্রার্থীরা আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অর্তকিত হামলা করে। এতে আমাদের আটজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এরমধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে রাজশাহী নিতে হবে।’
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নাগদাহ ইউনিয়নে দুই প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনী অফিস ভাঙাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি।’