ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি ঘর চান প্রতিবন্ধী দম্পতি!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৪৩:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা:

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীনপাড়ার দম্পতি আশরাফুল ইসলাম ও হাবিবা খাতু শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। তাদের দুই বেলা দু-মুঠো খাবার জুটলেও নেই মাথাগোঁজার ঠাই। তাই এই দম্পতি মাথাগোঁজার ঠাই হিসেবে চান সরকারি ঘর। এ জন্য তারা ঘুরছে বিভিন্ন সরকারি অফিসে। এদিকে অসহায়ত্বের খবর জানতে পেরে এই দম্পতির দায়িত্ব নিয়েছেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস।

জানা গেছে, মানসিক প্রতিবন্ধী আশরাফুল ইসলামের বাবা-মা নেই। মাস দেড়েক আগে তিনি উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে হাবিবা খাতুনকে বিয়ে করেন। তারা কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীনপাড়ায় তার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম কাছে থাকে। গত মঙ্গলবার আশরাফুল তার স্ত্রীর জন্য প্রতিবন্ধী ভাতার সুবিধা এবং তাদের জন্য সরকারি ঘর চায়তে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাসের কাছে যান। এসময় চেয়ারম্যান তাদের অসহায়তের¡ কথা জানতে পেরে খাওয়া-দাওয়া ও চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। আর সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। ভূমিহীনপাড়ার মসজিদের মোয়াজ্জিন মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ছেলেটি পাগল। সে কোনো কাজ করতে পারে না। তাদের কষ্টের শেষ নেয়। তার ছোট ভাই শ্রমিকের কাজ করে। কোনো রকম খাবার জোটে তাদের।’

কার্পাসডাঙ্গা ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস বলেন, ‘এই প্রতিবন্ধী দম্পতি আমার কাছে আসলে, তাদের অসহায়ত্বের কথা শুনে খাওয়া-দাওয়া ও চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর ফাঁকা পড়ে আছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারে সাথে এ বিষয়ে কথা বলব।’

দামুড়হুদা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জেল হক বলেন, ‘ছেলেটি প্রতিবন্ধী ভাতা পান। কিন্তু তার স্ত্রী হাবিবা খাতুন কোন আবেদন করেনি। তবে তাকে প্রতিবন্ধী মনে হচ্ছে না। তার বয়স খুবই কম। সে শিশু। প্রতিবন্ধী হলে সে অবশ্যই ভাতা পাবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সরকারি ঘর চান প্রতিবন্ধী দম্পতি!

আপলোড টাইম : ০৭:৪৩:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা:

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীনপাড়ার দম্পতি আশরাফুল ইসলাম ও হাবিবা খাতু শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। তাদের দুই বেলা দু-মুঠো খাবার জুটলেও নেই মাথাগোঁজার ঠাই। তাই এই দম্পতি মাথাগোঁজার ঠাই হিসেবে চান সরকারি ঘর। এ জন্য তারা ঘুরছে বিভিন্ন সরকারি অফিসে। এদিকে অসহায়ত্বের খবর জানতে পেরে এই দম্পতির দায়িত্ব নিয়েছেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস।

জানা গেছে, মানসিক প্রতিবন্ধী আশরাফুল ইসলামের বাবা-মা নেই। মাস দেড়েক আগে তিনি উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে হাবিবা খাতুনকে বিয়ে করেন। তারা কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীনপাড়ায় তার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম কাছে থাকে। গত মঙ্গলবার আশরাফুল তার স্ত্রীর জন্য প্রতিবন্ধী ভাতার সুবিধা এবং তাদের জন্য সরকারি ঘর চায়তে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাসের কাছে যান। এসময় চেয়ারম্যান তাদের অসহায়তের¡ কথা জানতে পেরে খাওয়া-দাওয়া ও চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। আর সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। ভূমিহীনপাড়ার মসজিদের মোয়াজ্জিন মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ছেলেটি পাগল। সে কোনো কাজ করতে পারে না। তাদের কষ্টের শেষ নেয়। তার ছোট ভাই শ্রমিকের কাজ করে। কোনো রকম খাবার জোটে তাদের।’

কার্পাসডাঙ্গা ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস বলেন, ‘এই প্রতিবন্ধী দম্পতি আমার কাছে আসলে, তাদের অসহায়ত্বের কথা শুনে খাওয়া-দাওয়া ও চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর ফাঁকা পড়ে আছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারে সাথে এ বিষয়ে কথা বলব।’

দামুড়হুদা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জেল হক বলেন, ‘ছেলেটি প্রতিবন্ধী ভাতা পান। কিন্তু তার স্ত্রী হাবিবা খাতুন কোন আবেদন করেনি। তবে তাকে প্রতিবন্ধী মনে হচ্ছে না। তার বয়স খুবই কম। সে শিশু। প্রতিবন্ধী হলে সে অবশ্যই ভাতা পাবে।’