ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেরু অ্যান্ড কোম্পনির স্টোর অফিসারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১৫:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
  • / ৬৫ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস:

দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পনির স্টোর অফিসার লিংকন ঢালীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও ঘুষ বাণিজ্যর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চিনিকল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত স্টোর অফিসারের আত্মসাৎকৃত ৭৮ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে জেএসএম মিনারেল ওয়াটার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিকট ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

কেরু চিনিকল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেরু অ্যান্ড কোম্পনির স্টোর অফিসার হিসেবে লিংকন ঢালী দীর্ঘদিন কর্মরত রয়েছেন। গত রোববার কোম্পানির চিনি গোডাউন কর্তৃপক্ষ চিনি স্টক হিসাব মিলিয়ে দেখে। এসময় মজুদকৃত চিনি বিক্রির ৭৮ হাজার টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা না দেওয়া তথ্য পাওয়া যায়। পরে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন স্টোর অফিসার লিংকনকে ওই টাকা জমা দেওয়ার জন্য চিঠিতে নির্দেশ দেন।

এদিকে প্রতিষ্ঠানের ডিস্টিলারি কারখানার পোট বোতল সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জেএসএম মিনারেল ওয়াটারের প্রতিনিধি আলামিন গতকাল দুপুরে অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ২০ ফেব্রুয়ারি ডিস্টিলারি প্রতিষ্ঠানের জন্য পোট বোতলের মালামাল এনে বুঝ করে দেওয়া হয় স্টোর অফিসার লিংকন ঢালীর নিকট। কিন্তু মালামাল বুঝ করে নিলেও মালের চালান কপিতে সই না করে পরে সই করে দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে এবং বলে টাকা ছাড়া চালান কপিতে সই হবে না। পরে কোনো উপায় না পেয়ে গত মঙ্গলবার চালান কপি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে যেতে চাই। তিনি শুনে বাধ্য হয়ে চালান কপিতে সই করে দেন।’ চিনিকল সূত্রে আরও জানা যায়, এর পূর্বেও ডিস্টিলারিতে প্রয়োজনের দুই গুণ বিল করে অর্থ হাতিয়ে নেন তিনি। পরে জানাজানি হলে স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে তা মিটিয়ে নেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্টোর অফিসার লিংকন ঢালী বলেন, ‘গোডাউনে ইঁদুরের কারণে চিনির বস্তা নষ্ট হয়। আরও বেশকিছু বিষয় রয়েছে। যে কারণে হিসেবে গড়মিল হয়েছে। তবে লবণের বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে। টাকা আত্মসাৎ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ সঠিক নয়।’

এ বিষয়ে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘গোডাউনের স্টোরকৃত চিনি ও টাকার হিসেবে ৭৮ হাজার টাকা গড়মিল পাওয়া গেছে। স্টোর অফিসার লিংকন ঢালীকে ওই টাকা জমা দেওযার জন্য লিখিতভাবে বলা হয়েছে। লবণের বিষয়টি পূর্বে মীমাংসা হয়েছে। তবে ঠিকাদারের কাছে অর্থ নেওয়ার বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কেরু অ্যান্ড কোম্পনির স্টোর অফিসারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৮:১৫:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

দর্শনা অফিস:

দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পনির স্টোর অফিসার লিংকন ঢালীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও ঘুষ বাণিজ্যর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চিনিকল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত স্টোর অফিসারের আত্মসাৎকৃত ৭৮ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে জেএসএম মিনারেল ওয়াটার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিকট ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

কেরু চিনিকল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেরু অ্যান্ড কোম্পনির স্টোর অফিসার হিসেবে লিংকন ঢালী দীর্ঘদিন কর্মরত রয়েছেন। গত রোববার কোম্পানির চিনি গোডাউন কর্তৃপক্ষ চিনি স্টক হিসাব মিলিয়ে দেখে। এসময় মজুদকৃত চিনি বিক্রির ৭৮ হাজার টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা না দেওয়া তথ্য পাওয়া যায়। পরে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন স্টোর অফিসার লিংকনকে ওই টাকা জমা দেওয়ার জন্য চিঠিতে নির্দেশ দেন।

এদিকে প্রতিষ্ঠানের ডিস্টিলারি কারখানার পোট বোতল সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জেএসএম মিনারেল ওয়াটারের প্রতিনিধি আলামিন গতকাল দুপুরে অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ২০ ফেব্রুয়ারি ডিস্টিলারি প্রতিষ্ঠানের জন্য পোট বোতলের মালামাল এনে বুঝ করে দেওয়া হয় স্টোর অফিসার লিংকন ঢালীর নিকট। কিন্তু মালামাল বুঝ করে নিলেও মালের চালান কপিতে সই না করে পরে সই করে দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে এবং বলে টাকা ছাড়া চালান কপিতে সই হবে না। পরে কোনো উপায় না পেয়ে গত মঙ্গলবার চালান কপি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে যেতে চাই। তিনি শুনে বাধ্য হয়ে চালান কপিতে সই করে দেন।’ চিনিকল সূত্রে আরও জানা যায়, এর পূর্বেও ডিস্টিলারিতে প্রয়োজনের দুই গুণ বিল করে অর্থ হাতিয়ে নেন তিনি। পরে জানাজানি হলে স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে তা মিটিয়ে নেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্টোর অফিসার লিংকন ঢালী বলেন, ‘গোডাউনে ইঁদুরের কারণে চিনির বস্তা নষ্ট হয়। আরও বেশকিছু বিষয় রয়েছে। যে কারণে হিসেবে গড়মিল হয়েছে। তবে লবণের বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে। টাকা আত্মসাৎ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ সঠিক নয়।’

এ বিষয়ে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘গোডাউনের স্টোরকৃত চিনি ও টাকার হিসেবে ৭৮ হাজার টাকা গড়মিল পাওয়া গেছে। স্টোর অফিসার লিংকন ঢালীকে ওই টাকা জমা দেওযার জন্য লিখিতভাবে বলা হয়েছে। লবণের বিষয়টি পূর্বে মীমাংসা হয়েছে। তবে ঠিকাদারের কাছে অর্থ নেওয়ার বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।’