ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী-সতীনের ফাঁসি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১০:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী ও সতীনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় প্রদান করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান। দণ্ডিতরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আ. গনি বিশ^াসের  ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মোছা. চম্পা খাতুন। দণ্ডিতরা পলাতক রয়েছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত রায়ে জানা যায়, ঝিনাইদহের হলিধানী বাজারে মাজেদা খাতুন ডিম ও তরকারির ব্যবসা করতেন। সেই সূত্রে আসামি শহিদুলের সাথে তাঁর পরিচয় হয়। পরে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে মাজেদা রামচন্দ্রপুর গ্রামে সতীন ও স্বামীসহ একসাথে বসবাস করতেন। একসময় শহিদুল মাজেদার নিকট ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবি করেন। মাজেদা এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রায়ই তাকে নির্যাতন করতো। ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি মাজেদা ঘরে শুয়েছিলেন। এসময় তার স্বামী শহিদুল ও প্রথম স্ত্রী চম্পা খাতুন মাজেদাকে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে তার মুখমন্ডল, স্তন ও যৌনাঙ্গ ঝলেসে যায়। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

মাজেদার কোনো আত্মীয়-স্বজন না থাকায় স্থানীয় চৌকিদার শহিদুল ইসলাম ওই দিনই ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।  পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিলে চার্জশিট প্রদান করেন। ১০ বছরের অধিক সময় ধরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ১১(ক)/৩০ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে দোষী সাব্যস্ত করে বিজ্ঞ আদালত মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাড. বজলুর রহমান বলেন, বিজ্ঞ আদালতের রায়ে তিনি খুশি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী-সতীনের ফাঁসি

আপলোড টাইম : ০৮:১০:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী ও সতীনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় প্রদান করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান। দণ্ডিতরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আ. গনি বিশ^াসের  ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মোছা. চম্পা খাতুন। দণ্ডিতরা পলাতক রয়েছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত রায়ে জানা যায়, ঝিনাইদহের হলিধানী বাজারে মাজেদা খাতুন ডিম ও তরকারির ব্যবসা করতেন। সেই সূত্রে আসামি শহিদুলের সাথে তাঁর পরিচয় হয়। পরে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে মাজেদা রামচন্দ্রপুর গ্রামে সতীন ও স্বামীসহ একসাথে বসবাস করতেন। একসময় শহিদুল মাজেদার নিকট ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবি করেন। মাজেদা এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রায়ই তাকে নির্যাতন করতো। ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি মাজেদা ঘরে শুয়েছিলেন। এসময় তার স্বামী শহিদুল ও প্রথম স্ত্রী চম্পা খাতুন মাজেদাকে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে তার মুখমন্ডল, স্তন ও যৌনাঙ্গ ঝলেসে যায়। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

মাজেদার কোনো আত্মীয়-স্বজন না থাকায় স্থানীয় চৌকিদার শহিদুল ইসলাম ওই দিনই ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।  পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিলে চার্জশিট প্রদান করেন। ১০ বছরের অধিক সময় ধরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ১১(ক)/৩০ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে দোষী সাব্যস্ত করে বিজ্ঞ আদালত মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাড. বজলুর রহমান বলেন, বিজ্ঞ আদালতের রায়ে তিনি খুশি।